ছবি: সুব্রত চৌধুরী
তখনও রোদটা নরম। মাজারের প্রাচীন ইটের শরীরে এসে পড়েছে সেই রোদ। সবুজ চাদরে ঢাকা তাঁর স্মৃতি। তিনি এ গ্রামের মহানায়ক। শের শাহের আমলের, মধ্যযুগের কবি মালিক মহম্মদ জায়সি।
দিল্লি থেকে লখনউ, চৌধুরি চরণসিংহ বিমানবন্দরে নেমেছি সকালে। পথের ধুলো উড়িয়ে দু’ঘণ্টায় অমেঠী, তার পর জায়স গ্রামে। তার পর হাঁটতে হাঁটতে এই সমাধি প্রাঙ্গণ। মেঝে সাদা মার্বেলের। সবুজ দরজা। হলদে দেওয়াল। মাথায় সবুজ গম্বুজ। বর্তুলাকার স্থাপত্য। সমাধিতে ছড়ানো লাল গোলাপের পাপড়ি। এক ধারে জল রাখার মাটির ঘড়া। ১৫৪২ সালে এই গ্রামেই মারা যান কবি জায়সি। লোকশ্রুতি, রাজা রামসিংহ মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি রচনা করেন। বাইরে লম্বা উঠোনে রোদ পোহাচ্ছিলেন সমাধিক্ষেত্রের সুপারভাইজার ইউনুস। মধ্যবয়স্ক, অবিন্যস্ত দাড়িগোঁফ। মাথায় মলিন সাদা টুপি।
ইউনুস আমাকেও একটা সাদা টুপি দিলেন ভিতরে যাওয়ার আগে। তিনিই জানালেন, এখানে মসজিদ ট্রাস্ট আছে। তবে মাজারে হিন্দু-মুসলমান, গ্রামের সব ধর্মের মানুষই আসেন নিয়মিত। আমি এসেছি এক কল্পনার উৎস সন্ধানে।
কল্পনার নাম পদ্মাবতী। চলতি নাম পদ্মিনী। এই গ্রামে বসেই ষোড়শ শতাব্দীর কোনও এক সময় কবি জায়সি জন্ম দিয়েছিলেন পদ্মাবতীর। দিল্লিতে টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে পদ্মাবতী নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে দেখেছি বিতর্ক, মারামারি। রাজস্থানের করণী সেনার বিক্ষোভে গুলি, সেন্সর বোর্ড ছবি প্রদর্শন বন্ধ করার আগেই কোনও কোনও রাজ্য সরকার ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল। অমেঠী থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রামনগরে কিন্তু এ সব নিয়ে কোনও উত্তেজনা, মারামারি নেই। গ্রামের সাধারণ চাষিও জানেন, এ তাঁদের কবির কল্পনা।
জীবনের দীর্ঘ সময় কর্মসূত্রে দিল্লিতে, তাই গ্রাম শুনলে প্রথমেই একটা রোম্যান্টিসিজম পেয়ে বসে। কিন্তু এই জায়স গ্রামে এসে দেখছি, ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় গোছের গ্রাম এ নয়। রাহুল গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র। সদ্য পুরনির্বাচন হয়ে গিয়েছে, সকালে চায়ের দোকানে সে সব নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা আছে। কর্মব্যস্ত বাজার আছে। এই গ্রামের পদ্মিনীরা সাদা ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে আকাশি আর সাদা সালোয়ার-কামিজ পরে সাইকেলে স্কুলে যাচ্ছে। মুসলমান আছেন, হিন্দু আছেন। মুসলমানদের মধ্যে শিয়ারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আছে দুই ধর্মের মিলনে তৈরি সুফি সম্প্রদায়ও।
হাঁটতে হাঁটতে এসেছি খেতের দিকে। ছোট ছোট বসতি। মাটির বাড়ি, দাওয়া। গত কাল অন্নপূর্ণা উৎসব ছিল গ্রামে। পুজোয় মেয়েরা মনস্কামনা পূরণের ব্রত করে। মাটির দাওয়ায় বসে নতুন গুড় জ্বাল দিচ্ছিল অষ্টাদশী শীতল। শীতলকে জিজ্ঞাসা করলাম, পদ্মাবতীকে তুমি চেনো?
আরও পড়ুন: খোয়া যাবে না তো টাকা, চিন্তা সেটাই
ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে চেয়ে থাকল সে। এ বার আমারই লজ্জা পাওয়ার সময়। শহুরে সাংবাদিক গ্রামে এসেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছি, পদ্মাবতীর নাম শোনোনি? ওর ঠাকুরদা বসে হুঁকো খাচ্ছিলেন। অল্প হেসে বললেন, ‘‘শীতল বেটি জানে না। তবে আমি জানি।’’ শুধু পদ্মাবতী নয়, কবি জায়সির কথাও জানেন তিনি। হিন্দু চাষি পরিবার। জানেন, শুধু মাজার নয়, এখানে কবির স্মারক ভবনও আছে। মাজারে রাজীব গাঁধী, সঞ্জয় গাঁধী গিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে রাজীব গাঁধীই কবির স্মারক ভবন তৈরি করেন, তাও তিনি জানেন।
অবসর: জায়সির স্মারক ভবন প্রাঙ্গণে ক্রিকেট খেলায় মশগুল স্থানীয় শিশু-কিশোররা
শুধু শহরে নয়, সময় বদলায় গ্রামে-গঞ্জেও। বাজারে ঢুকতেই দেখেছি সাইনবোর্ড। অমেঠী বিউটি পার্লার। টিনের ওপর রং-করা মেয়েদের ছবি। এ কালের পদ্মিনীরা রাজা রতনের মন পেতে বিউটি পার্লারে যায়।
কবি জায়সি আজও এখানে জনপ্রিয়। সুফি কবির স্মারক ভবনের দাওয়ায় এখন স্থানীয় ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। হতে পারে নবীন প্রজন্মের অনেকে তাঁর কথা জানে না। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ আজও তাঁকে শ্রদ্ধা করে। তাঁর কাহিনি মানুষের আড্ডায় মুখে মুখে ঘোরে। অমেঠী থেকে দিল্লি রেলগাড়ি আছে কবির নামে, এলাকায় স্কুল আছে কবি জায়সির নামে।
এই গ্রামেই জন্মেছিলেন জায়সি? নিশ্চিত ভাবে কেউ জানেন না। জৌনপুরের সুলতানি সাম্রাজ্যে জায়স তখন নামকরা বাণিজ্যকেন্দ্র, সুফি সাধকদের হরবখত যাতায়াত। সেই জায়সকেই কবি মহম্মদ তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে অমর করে দিয়ে গেলেন। মহম্মদ তাঁর নাম, মালিক জাতি-পরিচয়। ত্রয়োদশ শতকে আলাউদ্দিন খিলজির আমলে পারস্য, তুরস্ক থেকে ‘মালিক’ পদবিধারীরা অনেকে জীবিকার খোঁজে দিল্লি আসতেন। শীতের দুপুরে আচমকা মনে হল, আলাউদ্দিন খিলজি না থাকলে পদ্মাবতীর স্রষ্টাও এ দেশে জন্মাতেন না।
এই অবধি ইতিহাস, বাকিটা মিথ। সেই মিথ বলে, জায়সির শৈশবেই তাঁর বাবা মারা যান, কয়েক বছর পর মা-ও! সারা মুখে বসন্তের দাগ, রোগের আক্রমণে একটি চোখ নষ্ট। ভ্রাম্যমাণ এক দল সুফি সাধক অনাথ শিশুটিকে সঙ্গী করে নেন। তাঁদের সাহচর্যেই জায়সি বেদ, বেদান্ত, পুরাণ এবং কোরান শেখেন। জৌনপুরের সুফিরা তখন অনেকেই চিস্তি ঘরানার। জায়সি আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে নিজেকে সৈয়দ আশরাফ সিমনানি, শেখ মুবারক শাহের শিষ্য বলে বর্ণনা করেছিলেন। এঁরা সকলেই চিস্তি ঘরানার। আফগানিস্তানের হিরাট শহরে শুরু হয়েছিল এই ধর্ম আন্দোলন। শরিয়ত নয়, মানুষকে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে ভালবাসা ও সহিষ্ণুতাই এঁদের ঐতিহ্য।
অতঃপর বড় হয়ে বিয়ে-থা, সংসারধর্ম, চাষবাস। কারও কারও ধারণা, এই সময়েই কাব্যগ্রন্থ লিখে তিনি শের শাহের মিত্র রাজা জগৎ দেবের নজরে পড়েন। সেখান থেকে অমেঠীর তৎকালীন রাজা রামসিংহের (আমার মনে হয় বড় জমিদার, আমরা আজকাল তাঁদের রাজা বলে থাকি) সভায়। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘পদ্মাবত’। এটিই পদ্মাবতীর কাহিনি। তাঁর অন্য বইগুলোর মধ্যে আছে ‘কান্হাবত’, কৃষ্ণের জীবন। আর একটি রচনা ‘আখরি কলম’। এ বইগুলো কেন পুনঃপ্রকাশিত হচ্ছে না, সেই অভিযোগ তুললেন স্থানীয় কবি জগদীশ পীযূষ। জানালেন, এখানে স্কুলে জায়সির কবিতা পড়ানো হয়। আমরা মুম্বইয়ের ফিল্ম নিয়ে গোটা দেশ ঝগড়া করি, কিন্তু তাঁর কাব্য নিয়ে জাতীয় স্তরে কোনও আলোচনাই হয় না।
সকাল গড়াতে গড়াতে দুপুর। অমেঠী জেলার এক পুরসভা জায়স। নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য আছে এবং নেই। যেমনটা হয় আর কী। বিস্তীর্ণ গ্রামও আছে। এই গ্রামীণ এলাকার মধ্যেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রাজীব গাঁধী ইন্সটিটিউট অব পেট্রোলিয়ম টেকনোলজি। জায়স রেল স্টেশনের কাছেই।
কোথায় ছিল কবির বাড়ি? কোথায় কবির আত্মীয়স্বজন, উত্তরাধিকারীরা? একটি বাড়ির খণ্ডহর দেখিয়ে গ্রামবাসীরা বললেন, এই নাকি সেই বাড়ি যেখানে বসে তিনি পদ্মাবত কাব্য রচনা করেছিলেন অওধি ভাষায়। জনপ্রিয় এই প্রেমগাথা ফার্সিতেও অনুলিপি করা হয়েছিল, মজলিশে গাওয়া হত।
এই প্রেমগাথাটাই ভুলে গিয়েছে আজকের উন্মত্ত ভারত। জায়সি তাঁর কবিতার শুরুতেই বলছেন, স্রষ্টা নিজেকে আলোয় উদ্ভাসিত করলেন। সেই আলোই কৈলাস পর্বত। তার পর তৈরি করলেন সেই বিশাল ডিম। সকল মহাদেশ, সকল প্রাণী রয়েছে সেখানে। তৈরি করলেন মেরু পর্বত।… শুধু কৈলাস পর্বতের কথা বলেই ক্ষান্ত হলেন না কবি। মনুসংহিতায় যে রয়েছে ডিম থেকে বিশ্বসৃষ্টি, মায় মেরু পর্বত— সবই স্বচ্ছন্দে বলে গেলেন তিনি।
শ্রদ্ধা: অমেঠীতে জায়সির সমাধিতে চাদর চড়াচ্ছেন স্থানীয় মানুষ
শের শাহের কথা বলতে গিয়ে লিখলেন, গঙ্গা-যমুনায় যত দিন জল থাকবে, তাঁর নামের ঔজ্জ্বল্য অক্ষুণ্ণ থাকবে। তিনি কর্ণ এবং দরবেশ হাতেমতাই-এর মতো নিঃসঙ্কোচে সব দান করেন। পৃষ্ঠপোষক রাজা-বাদশাদের সম্বন্ধে মধ্যযুগ বাড়িয়ে লেখে ঠিকই, কিন্তু সামাজিক সংকেতটা বুঝতে কষ্ট হয় না। এক নিশ্বাসে স্রষ্টা, পয়গম্বর, মনু, কৈলাস পর্বত— সকলের কথা বলা যায়। প্রত্যেকেই ঐতিহ্যের অঙ্গাঙ্গি অংশ।
এই ঐতিহ্যে পদ্মিনী বলে কেউ নেই। জায়সির কাব্যনায়িকা পদ্মাবতী জন্মেছিলেন সিংহল দ্বীপে, সেখানকার মেয়েরা সকলেই পদ্মিনী। বাৎস্যায়নের কামসূত্রে হস্তিনী, শঙ্খিনী, চিত্রিণী ও পদ্মিনী নামে চার রকম নারীর কথা বলা হয়েছে, পদ্মিনীরাই তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী।
এই পদ্মাবতীর হীরামন নামে এক তোতাপাখি ছিল। রাজকন্যা পাখিকে ছাড়া থাকতে পারেন না, ফলে রাজা পাখিকে কোতল করার হুকুম দিলেন। পাখি উড়ে গেল, ধরা পড়ল এক ব্যাধের জালে। ব্যাধ তাকে চিতোরের রানা রতনসেনের কাছে বিক্রি করে দিল। অবন ঠাকুর যতই রাজপুতানার ‘রাজকাহিনি’ লিখুন, জায়সির চিতোর অন্য। শব্দের খেলা খেলছেন কবি, বারংবার লিখছেন চিতা-উর। চিতা মানে চিদ বা চিত্ত। তার সঙ্গে উর বা হৃদয় যোগ করে চিতা-উর। সিংহলের দুর্গের কথায় লিখছেন, পাঁচ সেনাপতির অধীনে সে দুর্গে নয়টি দরজা পাহারা দেয় প্রহরীরা। নয়টি দরজা মানে শরীরের চোখ, মুখ, নাক, পায়ুদ্বার ইত্যাদি নয়টি ছিদ্র। পাঁচ সেনাপতির কথা তো উপনিষদেই আছে। প্রাণ, অপান, সমান, ব্যান ইত্যাদি পাঁচ বায়ু। দুর্গের সিঁড়ি পেরিয়ে উপরে দশ নম্বরের গোপন দরজায় পৌঁছানো যায়। নাথ যোগীরা এই দশম দ্বারের অর্থ জানেন। মস্তিষ্কের ব্রহ্মরন্ধ্র। সেখানেই কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত হয়। শীতের রোদে ঘুরতে ঘুরতে মনে হল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অহেতুক চেঁচামেচি না করে জায়সির কবিতাটা বরং লোককে বুঝিয়ে দিতে পারতেন।
রতনসেন তোতাপাখির থেকে পদ্মাবতীর কথা শুনে সিংহল যাত্রা করলেন। অতঃপর শিবের মন্দিরে তপস্যা। শিব বর দেন না, তখন কাব্যের এক জায়গায় রতনসেন চিতা সাজান, পদ্মাবতীকে না পেলে তিনি আগুনে প্রাণ দেবেন। সেই কামাগ্নি যাতে পৃথিবীকে ছারখার না করে দেয়, তাই শিব-পার্বতী এসে রতনসেনকে বর দেন। জায়সি স্রেফ রাজপুত রমণীদের জহর ব্রতের কথা বলেননি। তাঁর কাহিনিতে রতনসেন মানবচিত্ত, চিতোর মানবশরীর, পদ্মাবতী চরম সত্য বা ফিরাসত! আর আলাউদ্দিন খিলজি কিছুই নন, মায়া। বারাণসীর শিবভক্ত সাংসদ এক বার জায়সি পড়ে দেখতে পারেন, অনেক ‘মন কি বাত’ পেয়ে যাবেন।
অবশ্য পুরো বইটা পড়লে হিন্দুত্বের অনেক অসুবিধাও আছে। অবন ঠাকুরের ‘পদ্মিনী’তে আলাউদ্দিন খিলজির সামনে বাঁদী গান গায়, ‘হিন্দুস্থানে এক ফুল ফুটেছিল— তার দোসর নেই, জুড়ি নেই।’ পদ্মাবতীর গল্প অন্য। রাঘব চেতন নামে এক লোভী ব্রাহ্মণকে রানা রতনসেন নির্বাসন দিয়েছেন। রাঘব চেতন দিল্লির শাহেনশাহকে পদ্মাবতীর কথা বলে উসকে দেয়। রানা রতনসেন রাজ্য বাঁচাতে যুদ্ধযাত্রা করেন, দেবপাল নামে এক রাজপুত রাজা সুযোগ বুঝে পদ্মাবতীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। পদ্মাবতী প্রত্যাখান করেন। শুধু মুসলমান বাদশাহ নয়, হিন্দু ব্রাহ্মণ ও রাজারাজড়াদের মধ্যেও অনেক ভিলেন থাকে।
সেই কবিতার উৎস সন্ধানে আজ এসেছি এই গ্রামে। বাস স্টপে সুনীলের নীরা তিন মিনিট কেন দাঁড়িয়েছিল, বাস লেট করেছিল কি না এ সব জানতে চাওয়া যেমন, হাল আমলের পদ্মাবতী বিতর্কও যেন সে রকম বাতুলতা। যে অমেঠীতে এই কল্পনার কবিতার জন্ম, সেই অমেঠীর মহাকবি নিজেই এক সুফি পির। আজও তাঁর সমাধিতে মানুষ ধর্ম ভুলে চাদর চড়়াতে আসেন। সন্ত কবির তাঁর ভক্তিরসে আপ্লুত করেছিলেন সব ধর্মের মানুষকে। ঠিক সে ভাবেই অমেঠীতেও এসে দেখছি, পদ্মাবতীর স্রষ্টা নিজে পির, কিন্তু তাঁর সৃষ্ট চরিত্রকে নিয়ে রাজস্থানে বিজেপি নেতারা উত্তাল।
সমাধির বাইরে মহাকবির কবিতার চারটি পঙ্ক্তি নোটবুকে লিখে নিয়েছি।
‘বৃক্ষ লাগি এক ভাই দুই ডারা,
আই রহতি নানা প্রকারা,
মাটু কে বকত, পিতাকে বিন্দু,
কহলাবে তুরুক অউ হিন্দু।’
গ্রামের শিক্ষকমশাই আমাকে কবিতাটির মর্মার্থ বুঝিয়ে বলেছিলেন: ‘‘মহাকবি বারংবার বলেছেন, হিন্দু-মুসলমান একই বৃন্তে দু’টি ফুল!’’ গাড়িতে উঠে ফের লখনউ। মনে হচ্ছিল, অমেঠীর শ্রেষ্ঠ উপহার এই কবিতা। এই কবি-কল্পনায় দ্বেষ ছিল না, ভালবাসা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy