Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ২২
Abhinandan Sarkar

মায়াডোর

মঞ্জীরা বোনের দিকে তাকাল। মিহিকা একটা জংলা ছাপ কাফতান পরে আছে, সদ্য স্নান করে বেরিয়েছে সে। কাফতানের কাঁধ ভিজিয়ে দিয়েছে চুলের গোছ।

ছবি: বৈশালী সরকার

ছবি: বৈশালী সরকার

অভিনন্দন সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:২৭
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: মঞ্জীরাকে নানা ভাবে বোঝায় মিহিকা। ইচ্ছের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করে। আকাশদীপের অফিসে বসে তাকে একটি কবিতা শোনায় ডাম্বো। বাবাকে অনুরোধ করে তার মাকে ছেড়ে দিতে। কারণ তার মা আর পুরনো সম্পর্কে ফিরে যেতে চায় না। হতভম্ব আকাশদীপের সামনে মঞ্জীরার সই করে দেওয়া ডিভোর্স পিটিশনটা রেখে চলে যায় মিহিকা আর ডাম্বো। মঞ্জীরা বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। কিন্তু আকাশদীপের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করা মঞ্জীরার পক্ষে সম্ভব হয় না।

পর্দা সরিয়ে মিহিকা ঘরে ঢুকল, তার হাতে একটা ট্রে। সেই ট্রে-তে দুটো কফি মাগ আর একটা বিস্কুটের কৌটো। বিছানায় ট্রে রেখে মিহিকা হাসল, “গুড মর্নিং, দিদিয়া।”

মঞ্জীরা বোনের দিকে তাকাল। মিহিকা একটা জংলা ছাপ কাফতান পরে আছে, সদ্য স্নান করে বেরিয়েছে সে। কাফতানের কাঁধ ভিজিয়ে দিয়েছে চুলের গোছ।

সে ঘরে ঢুকতেই যেন রোদের ঝাঁক আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল, ঘরময় খেলে গেল প্রসন্ন বাতাস।

মিহিকা কফির কাপ তুলে আগে নিজেই চুমুক দিয়েছে, তার ঠোঁটে রহস্যময় হাসি, “দিদিয়া, দুটো নিউজ় আছে। একটা গুড নিউজ়, আর একটা ভেরি গুড নিউজ়। কোনটা আগে শুনবি বল।”

মঞ্জীরা বাবু হয়ে বসেছে বিছানায়, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুলছে বিস্কুটের কৌটো, “ওরে বাবা। তুই গুড নিউজ়টাই বল আগে। ভেরি গুড নিউজ় সহ্য হবে না আমার।”

মিহিকা ঠোঁট চেপে হাসল, চামচ ঘোরাচ্ছে কফির মাগে, তার পর বলল, “জীয়ন কাল আমাকে প্রোপোজ় করেছে।”

মিষ্টি করে হাসল মঞ্জীরাও, চোখ বড় করে জিজ্ঞেস করল, “তাই! যাক, জীয়নবাবু তা হলে শেষমেশ সাহস জুগিয়ে উঠতে পারলেন? শুনে তুই কী বললি?”

“বলব আবার কী? ক্যাবলা একটা! সামান্য প্রেম নিবেদন করতে হাত কেঁপে, গলা শুকিয়ে... সেই দৃশ্য যদি তুই দেখতিস দিদিয়া। ভারী আমার বীরপুরুষ! আমি শান্ত করে বসিয়ে, ফ্রেশ লাইম সোডা খাওয়ালাম। তার পর বললাম, আজীবন আমার কাফের ম্যানেজারি করতে রাজি থাকলে তবেই আসিস, না হলে বাবার পেন্টসের গোডাউনে বসে বিরহী প্রেমিকের মতো কবিতা লেখগে যা। এই প্রস্তাবে রাজি থাকলে তোর লাইম সোডা ফ্রি। না হলে যাওয়ার সময় ক্যাশবাক্সে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে যাবি, বুঝলি?”

মিহিকার কথা বলার ভঙ্গিতে হেসে উঠল মঞ্জীরা, “জীয়ন কী বলল? ভেবলে গেছিল নিশ্চয়ই! সত্যি, তোকে যে কী ভয় পায় ছেলেটা!”

“কোথায় আর ভেবলে গেল? আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে কাফের মধ্যেই প্রায় জড়িয়ে ধরে আর কী!”

ডাকাবুকো মেয়েদের গালে লজ্জার আবির ছড়িয়ে যাওয়া এক অসামান্য দৃশ্য। সেই লজ্জা লুকোতেই সম্ভবত মিহিকা মাথা নিচু করল।

নীরবে হাসছে মঞ্জীরাও। পৃথিবী পাল্টে যাচ্ছে প্রতিদিন, ডাম্বো বড় হচ্ছে, নতুন জীবন শুরু হচ্ছে মিহিকার। সকালটা সত্যিই সুন্দর আজ।

মিহিকা মুখ নিচু করে বসে আছে, একটু পরে সে বলল, “দিদিয়া, ভেরি গুড নিউজ়টা শুনবি না?”

মঞ্জীরা হাসল, জিজ্ঞেস করে ফর্মালিটি করার দরকারই ছিল না। মিহিকা বলবেই।

মিহিকা যেন হঠাৎই একটু বেশি রকম উচ্ছ্বাস দেখাল, “দিদিয়া, শুনলে জাস্ট ছিটকে যাবি। উত্তীয়দার বিয়ে।”

মঞ্জীরা কফির কাপে চুমুক দিয়েই ঠোঁট সরিয়ে নিল, হঠাৎ তীব্র ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়লেও এতটা চমকে যেত না সে।

মিহিকা খুবই আন্তরিক ভাবে বলল, “ছ্যাঁকা লাগল দিদিয়া? এত গরম তো থাকার কথা নয়।”

মঞ্জীরা শুনতেই পেল না। সে বলল, “তুই কোথা থেকে খবর পেলি?”

“লাস্ট উইকে ফোন করেছিল, তখন বলল। তোকে আর বলাই হয়ে ওঠেনি। আমার সঙ্গে কথা হয় তো মাঝে মাঝে।”

মঞ্জীরা ভেবেছিল কোনও কথাই বলবে না, তবু বলে ফেলল, “বাহ! সত্যিই ভেরি গুড নিউজ়। তোর কাফের খবর কী?”

“কাফে কাফের মতোই চলছে, ফাটাফাটি একেবারে। শোন না, নর্থ বেঙ্গলেরই মেয়ে। বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করে বিয়ে। আমি তো শুনে হেসেই বাঁচি না। ভেবে দেখ উত্তীয়দার মতো একটা
ড্যাশিং ছেলে গলায় গামছা দিয়ে বাড়ির পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গে...”

মঞ্জীরা বোনকে থামিয়ে দিল, “কলেজ-টলেজ যাচ্ছিস মাঝে মাঝে? আগের বার অ্যাটেনডেন্সে কী সমস্যা হয়েছিল মনে আছে তো!”

“সে আমি সামলে নেব দিদিয়া, আমার প্রক্সি দেওয়ার লোক আছে। উত্তীয়দা বলছিল, কুচবিহারের কাছাকাছি পোস্টিং পেয়ে যাবে বিয়ের পর। আমি আবার লেগ পুল করলাম, বিয়ের পর নতুন বৌকে ছেড়ে কে-ই বা থাকতে চায় বলো? শুনে উত্তীয়দার সে কী লজ্জা! হা হা হা!”

মঞ্জীরা অন্তহীন আড়মোড়া ভাঙছে, “অনেক বেলা হল রে। উঠি এ বার। এর পর শিয়োর
লেট হব।”

উঠে দাঁড়িয়েছে মিহিকা, কফির কাপদুটো ট্রে-তে তুলে বেরিয়ে যাচ্ছে ধীর পায়ে, “শুধু উত্তীয়দাটা কলকাতা ছেড়ে চলে যাবে ভেবেই খারাপ লাগছে। আমার জন্য কী না করেছে লোকটা।”

প্রকাণ্ড দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পায়ে পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে মিহিকা।

মঞ্জীরা বোনের চলে যাওয়াটা দেখছিল। তার মুখ থমথম করছে। বুকের অন্দরমহল ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ পঙ্গপালের দল।

পৃথিবী সত্যিই দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, ডাম্বো বড় হয়ে যাচ্ছে। যে মেয়েকে জন্মাতে দেখল, দিদিয়া
যার পিছনে লাগলে কাঁদতে কাঁদতে মাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরত, সেই একরত্তি মেয়েকে চিনতে অসুবিধে হচ্ছে মঞ্জীরার।

কত সহজে খবরটা মঞ্জীরাকে দিয়ে গেল মিহিকা। এটা তার ‘ভেরি গুড নিউজ়’!

বুকে এক অজানা কীটের দংশন উপেক্ষা করতে পারছিল না মঞ্জীরা। সেই দংশন সয়েই স্নান-খাওয়া, সেই দংশন চেপে রেখেই শহরের রাজপথে
নামা, সেই দংশন বয়ে বয়েই কাটল এলোমেলো অফিস-বেলা।

সাউথ সিটির ডিপার্টমেন্ট স্টোরের কাজটা বেলা থাকতে থাকতে মিটে গেল মঞ্জীরার। নিজের অজান্তেই কখন যেন বাসে চেপে বসেছে সে।
এই বাস তার অফিসে ফিরছে না, বাড়ি ফেরার বাসও নয়।

গন্তব্য যতই এগিয়ে আসতে লাগল ততই ছটফট করতে লাগল মঞ্জীরা। শেষমেশ যখন সে বাস থেকে নামল, তখন রীতিমতো বুক ধড়ফড় করছে তার।

পায়ে পায়ে দোতলায় উঠেছে মঞ্জীরা। কাচের সুইং ডোর ঠেলে অফিসের ভিতর ঢুকল সে। শেষবেলার আলস্য ঘিরে আছে উত্তীয়র ব্যাঙ্কের লবি।

মঞ্জীরার প্রথমেই চোখ গেল উত্তীয়র চেয়ারে। উত্তীয় নেই। তার চেয়ার ফাঁকাও পড়ে নেই। গোলগাল, ফর্সা বয়স্ক এক ভদ্রমহিলা হেসে হেসে এক জন কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলছেন। কাস্টমার ভদ্রলোকও হাসছেন খুব। ব্যাঙ্কে কাস্টমারের হাসিমুখ আজকাল পৃথিবীর বিরলতম দৃশ্যগুলির একটি।

মঞ্জীরা প্রশস্ত ব্যাঙ্ক-লবি পেরিয়ে একদম শেষ প্রান্তে কাচের ঘরে নক করে মাথা গলাল, “মে আই কাম ইন স্যর?”

গৌরগোপাল ঘাড় গুঁজে মোবাইলে গেম খেলছিলেন। আজ তাঁর মেজাজ শরিফ। এই গেমে রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি, পেরিয়ে গেছেন লেভেল টোয়েন্টি।

গৌরগোপাল ভুরু কুঁচকে মাথা তুললেন, মুহূর্তকাল পরেই চিনতে পেরেছেন, ফোন টেবিলে নামিয়ে রেখে বললেন, “আসুন আসুন, কী খবর বলুন।
এনি প্রবলেম?”

কেবিনে ঢুকে চেয়ারে বসেছে মঞ্জীরা, “না, সব ঠিকঠাকই আছে, কিন্তু আপনাদের সার্ভিস ম্যানেজারকে দেখছি না তো?”

গৌরগোপাল কিছু ক্ষণ অপ্রসন্ন মুখে চুপ করে রইলেন। তার পর বললেন, “তার কথা আর বলবেন না। সে এক আশ্চর্য প্রাণী! এত বছরের সার্ভিস লাইফে তার মতো এফিশিয়েন্ট ওয়ার্কার আমি কমই দেখেছি। আবার এ কথাও ঠিক যে, তার মতো উলোঝুলো মাইন্ডের ছেলেও দেখিনি আগে। যা খুশি করে চলেছে। একটা প্রোমোশন ডিউ আছে অথচ এখনই এসে হোম টাউনে ট্রান্সফারের অ্যাপ্লাই করে বসল।”

মঞ্জীরার কপালে ভাঁজ পড়ল, নীচের ঠোঁট আলতো কামড়ে রেখেছে সে।

গৌরগোপাল বললেন, “এই তো দেখুন কয়েক দিন হল বিনা নোটিসে অ্যাবসেন্ট, আগে আগে হলে আমি ফোন-টোন করে খবর নিতাম। বাউন্ডুলে ছেলে, কোথায় না কোথায় পড়ে আছে। আজকাল বুঝে গেছি সে সব করে কোনও লাভ নেই। ও ছেলের যা মর্জি তাই করবে। আমার হয়েছে যত বিপদ, বুঝলেন।”

মঞ্জীরা বলল, “উনি কি অলরেডি পোস্টিং পেয়ে গেছেন ওঁর হোম টাউন ব্রাঞ্চে?”

“পায়নি, তবে পেতে কত ক্ষণ? কে-ই বা আর এ-ওয়ান সিটির ফেসিলিটি ছেড়ে অন্য শহরে পোস্টিং চায়? আমার আর কী দায় বলুন, তাও কম বোঝানো তো বোঝাইনি! তা সে আমার কথা শুনলে তবে তো!”

মঞ্জীরার চোখের সামনে চেম্বারের আলো ম্লান হয়ে গেল, তার মনে একটা ক্ষীণ ধারণা ছিল মিহিকা তার সঙ্গে মজা করেছে। সেটা যে কত বড়
ভুল, তা প্রমাণ হয়ে যাওয়াতেই কি এত অস্থির লাগছে মঞ্জীরার!

সে উঠে দাঁড়াল, “আচ্ছা চলি, ভাল থাকবেন।”

কিন্তু গৌরগোপাল তখনও নিজের ঘোর থেকে বেরোননি। তিনি বলে চললেন, “ফোন করলে সুইচড অফ, দিনের পর দিন অফিস আসছে না। আমার কী মনে হয় জানেন তো, হি অলরেডি লেফট, হি ইজ় নো মোর ইন দিস টাউন।”

এক বুক কীটের দংশন নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল মিহিকা, বেরিয়ে এল কয়েকটি শব্দের প্রবল অভিঘাত নিয়ে: হি ইজ় নো মোর ইন দিস টাউন।

সকালের রোদেলা ভাব আর নেই। বিষণ্ণ বিকেল নামছে শহরে। সারা দিন আকাশ দাপিয়ে রৌদ্র বিকিরণ করার পরে ক্লান্ত সূর্যদেবের ঘোড়ারাও জিরিয়ে নিচ্ছে একটু। আর কিছু পরেই আঁধারে ঢেকে যাবে চার দিক। মঞ্জীরা এক ঝলক তাকিয়ে দেখল তাদের চিরপরিচিত কাফেটার দিকে। অদ্ভুত এক দোলাচলে ভুগছে সে। তার মনে হচ্ছে হাওয়ায় অক্সিজেন যেন হঠাৎই অনেকটা কমে এসেছে। দমচাপা এক কষ্টে থমথম করছে পৃথিবী।

মঞ্জীরা হাত তুলে একটা হলুদ ট্যাক্সি দাঁড় করাল।

পড়ে আসা বেলা যখন আঁধারে মিশে গেল, ঠিক সেই সময় নাগাদ হলুদ ট্যাক্সিটা উত্তীয়র ফ্ল্যাটের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেল মঞ্জীরাকে।

লিফ্টে যাওয়াই যায়, মঞ্জীরা তবু সিঁড়ি নিল। এটা এক বিচিত্র মনস্তত্ত্ব। মঞ্জীরার মনে ঘোর সন্দেহ, উত্তীয় অনেক আগেই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গেছে। তবু যত বেশি ক্ষণ সম্ভব আশাটা জিইয়ে রাখতে চায় সে। সিঁড়ি ভেঙে গেলে সেই আশার আয়ুষ্কাল দীর্ঘায়িত হবে কিছুটা হলেও।

তিন তলায় উত্তীয়র ফ্ল্যাটের সামনে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল মঞ্জীরা। দরজার বাইরে কোল্যাপসিবল গেটে তালা। গেটের ভাঁজে অন্তত তিন-চার দিনের খবরের কাগজ রাখা আছে।

মঞ্জীরা কিছু ক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে রইল। তার পর পাশের ফ্ল্যাটের ডোরবেল বাজিয়েছে ইতস্তত করে। বাজিয়েই চমকে উঠেছে।

ভিতর থেকে ভেসে আসছে উত্তেজিত সারমেয়-স্বর। রোমিয়ো!

দরজা খুলেছেন এক জন বয়স্ক ভদ্রলোক, সাহেবি গায়ের রং। পরনে গাঢ় নীল গাউন। লম্বা দোহারা চেহারা। পুরনো দিনের বাংলা ছবিতে নায়িকার কড়া ধাতের বাবার মতো গেট-আপ। জিজ্ঞাসু চোখে তিনি তাকিয়ে আছেন মঞ্জীরার দিকে, তাঁর ডান ভুরু কপাল পেরিয়ে প্রায় চুল ছুঁই ছুঁই।

মঞ্জীরা বলল, “আপনার টেন্যান্ট উত্তীয় মজুমদারের খোঁজ করছিলাম। উনি কি এখন এখানে থাকেন না?”

ভদ্রলোক গম্ভীর স্বরে বললেন, “থাকেন না এটা বলা মুশকিল, আবার থাকেন এটাই বা বলি
কী করে?”

মঞ্জীরা থতমত খেয়ে গেল। তার মানসিক অবস্থা ঠিক এ ধরনের হেঁয়ালি শোনার উপযুক্ত নয়।

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Abhinandan Sarkar Bengali Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy