ছবি: সৌমেন দাস
অনন্ত ডোরবেলের দিকে হাত বাড়াতেই বাড়িটার ভেতর থেকে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। সে চমকে ওঠে। বয়স্ক পুরুষকণ্ঠ তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, “দরজা খোলা আছে। অনুগ্রহ করে ভেতরে আসুন। ভেতরে এলে কয়েকটি চেয়ার দেখতে পাবেন, তার একটায় বসে পড়ুন। আপনি যেমন আমার কথা শুনছেন, তেমনই আপনার কথা আমি শুনতে পাব।”
অনন্ত ঘরের ভেতরে আসে। তার ডান হাতে একটা কালো ব্যাগ। বাঁ হাতে ছাতা। সে এ দিক-ও দিক তাকিয়ে পুরো ঘরটা দেখে।
আবার সেই পুরুষকণ্ঠ, “প্লিজ় বসুন। সামনের টেবিলে নিউজ়পেপার আছে। পড়তে পারেন।”
অনন্ত ভুরু কুঁচকে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তার পর বিরক্ত গলায় বলে, “আমি কাগজ পড়তে আসিনি। আপনি জানেন কেন এসেছি। ভণিতা না করে সামনে আসুন।”
“এ কী! রাগছেন কেন? হঠাৎ রেগে যাওয়া হার্টের পক্ষে ভাল নয়। শুধু শুধু নিজের হার্টটাকে ঝামেলায় ফেলছেন! আমি কিন্তু আপনার ক্ষতি চাই না। আর বিষয়টা এখনও পুলিশকে জানানোর মতো মনে হয়নি। অবশ্য মেজাজ বিগড়ে গেলে দুম করে থানায় ফোন করে বসতেই পারি! গলা শুনে নিশ্চয়ই বুঝছেন, আমার বয়স প্রায় আপনার ডাবলের বেশি। তাই বলছি চুপচাপ বসুন।”
“আমি সেই কারণেই আপনাকে আলফাল কথা না বলে সামনে আসতে বলেছি। কথা বলে বিষয়টা মিটিয়ে নিই। আমার অনেক জরুরি কাজ আছে।”
“এই কাজটিকেও জরুরি ভাবুন। এই বুড়োকে একটু শান্তি দিন। বয়স বাড়লে দেখবেন কথাও বাড়ে। শুধু বাড়ে না, কিছু কিছু সময় মাত্রাছাড়া হয়ে পড়ে। এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কিছু গবেষণা হয়েছে। জানেন কিছু?”
বেশ জোরেই উত্তর দেয় অনন্ত, “না!”
“এত জোর দিয়ে কথা বলবেন না। আমার অসহ্য লাগে! যত দিন যাচ্ছে, আমার কান তত বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফিসফিস করে কেউ কিছু বললেই শুনতে পাই, হয়তো এক দিন কেউ মনে মনে কিছু ভাবলেই, আমার কান তা ধরতে পারবে। তা কী যেন বলছিলাম?”
“বয়স বাড়লে কথা বাড়ে, এ বিষয়ে কিছু বলছিলেন,” অনন্ত বিরক্তি চেপে উত্তর দেয়।
“ইয়েস! মনে পড়েছে। তবে আসল কথাটা বলি। বয়স বাড়লে কথা বাড়ে, কিন্তু কথা বলার মতো মানুষ কমে যায়। বুড়োমানুষের কাছে পড়ে থাকে হাজার-হাজার কথা। শোনার কেউ নেই। এক দিন তোমারও এমন হবে। তুমিই বলছি তোমায়। তত দিনে হয়তো কথা শোনার জন্য কিছু মানুষ এজেন্সি খুলে বসবে, যাদের কোম্পানির ট্যাগলাইনে লেখা থাকবে, ‘আমরা দেয়ালের মতো সব কথা শুনি’।”
“আমার কাজ আছে। তাই আপনি সামনে এসে যা বলতে চান তাড়াতাড়ি বলুন।”
আবার ডোরবেল বাজে, পর পর তিন বার।
ভেতর থেকে যান্ত্রিক স্বর বলে, “ভেতরে চলে আসুন, দরজা খোলা আছে। ভেতরে ঢুকেই দেখুন এক জন বিরক্ত মুখে বসে আছেন, তাঁর নাম অনন্ত গোস্বামী। পেশায় শিক্ষক। ওঁর পাশে বসুন। তিন বার ডোরবেলের আওয়াজ শুনে আমি নিশ্চিত, আপনি এক জন মহাবিরক্ত মাঝবয়সি পুরুষ মানুষ। আপনার আর এঁর আসার কারণ এক। এমন আরও কয়েক জন আসবেন। দয়া করে শান্ত হয়ে দু’জন গল্পগুজব করুন, আমি আসছি।”
বছর চল্লিশের এক জন পুরুষমানুষ ঘরের ভেতরে আসে। এ দিক-ও দিক তাকিয়ে অনন্তর পাশে একটা চেয়ারে বসে।
অনন্ত নিজের পরিচয় দেয়, “আমি অনন্ত গোস্বামী। নদের চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ে হিস্ট্রি পড়াই। আপনি?”
“আমি পার্থ চাকলাদার। নিজস্ব বিজ়নেস আছে।”
“আপনাকেও নিশ্চয়ই ফোন করে ভিডিয়ো ক্লিপিংস পাঠিয়ে ডেকে এনেছে?” প্রশ্ন করে অনন্ত।
“হুম, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিল।”
“আমাকেও। আচ্ছা, নম্বর পেল কেমন করে?”
“জানি না, তবে পুলিশ-টুলিশের চক্করে পড়তে চাই না। বিজ়নেস করে খাই। শুধু শুধু কেন ঝামেলায় জড়াব বলুন!” বলে পার্থ।
“ঠিক বলেছেন।”
“লোকটা এসেছিল? দেখলেন?”
“না।”
ওদের কথার মাঝে আবার ডোরবেল বাজে।
ভেতর থেকে যান্ত্রিক গলা ভেসে আসে, “চলে আসুন। ভেতরে দু’জন বসে আছেন। একই কারণে আপনারা এসেছেন। প্লিজ়, তাদের পাশে গিয়ে বসুন। আমি আসছি।”
এ বার দু’জন ঘরের ভেতর আসে। ছেলেটির বয়স কুড়ির মতো, মেয়েটি তার সমবয়স্ক। তারা দু’জন অনন্তর পাশে গিয়ে বসে।
ছেলেটি বলে, “আমি সিড, সিদ্ধার্থ বসু। ও নিনা, নিনা চক্রবর্তী। আমরা সেম কলেজ, সেম ব্যাচ।”
পার্থ ও অনন্ত নিজেদের পরিচয় দেয়। সিড বলে, “সে দিন আমার খুব তাড়া ছিল। দুম করে বুঝতেও পারিনি কী হতে চলেছে। গতকাল আমাদের দু’জনের নম্বরেই একটা মেসেজ আসে। তার পর আসে ভিডিয়ো ক্লিপিংটা। আমি ফোন করেছিলাম সেই নম্বরে। কেউ ধরেনি। পরে মেসেজটা পাই।”
সিড থামতেই নিনা বলে, “একই মেসেজ আমার কাছেও আসে। তাতে লেখা ছিল, পুরো ঘটনাটা মুছে ফেলতে চাইলে দুপুরে এই ঠিকানায় আসতে হবে। কাউকে জানালে বিপদ বাড়বে। এ সব নাকি এখন খুব ভাইরাল-টাইরাল হয়।”
পার্থ চেঁচিয়ে ওঠে, “ভাইরাল হওয়ার ভয় আমাকেও দেখিয়েছিল।”
অনন্ত বলে, “আমাকেও। তেমন কিছু হলে আবার মানসম্মান নিয়ে টানাটানি! তাই...”
পার্থ কথা শেষ করতে পারে না, ডোরবেল বাজে, বেজেই চলে।
ভেতর থেকে যান্ত্রিক গলা আগের মতোই বলে, “আর চেঁচাতে পারছি না। প্লিজ় কেউ ওঁকে আসতে বলুন। ওঁর নাম শ্যামল দত্ত। পরিবেশ বাঁচাতে সভাসমিতি করেন। মাটির মানুষ। খুব হেল্পফুল। তবে আজ যে কেন মেজাজ হারাচ্ছেন, কে জানে! এই মেজাজটা যদি উনি সে রাতে দেখাতেন, তা হলে আপনাদের কাউকেই এখানে আসতে হত না।”
অনন্ত দরজার দিকে তাকিয়ে বলে, “আসুন, দরজা খোলা আছে।”
মাঝবয়সি এক জন মানুষ ঘরে আসে। লোকটা ওদের পাশে বসতে বসতে বলে, “আমি শ্যামল দত্ত। পরিবেশ নিয়ে কাজ করি। সে দিন ভুল করে চশমা ছাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। চশমা ছাড়া আমি দু’হাত দূরের কিছু দেখতেই পাই না। তাই সে দিন আমি বিষয়টি বুঝতেই পারিনি। তা না হলে আমার মতো এক জন মানুষ কিছু না বলে চলে যায়! আমি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি, করবও না। সে দিন চশমাটা থাকলে দেখিয়ে দিতাম আমি কী করতে পারি!”
অনন্ত খানিকটা অবজ্ঞার সুরে বলে, “আমাদের বলে লাভ নেই! আমরাও আপনার মতো। ডাক পেয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে এসেছি।”
শ্যামল দত্ত ফ্যাকাশে হাসে, কোনও মতে বলে, “ওহ্!”
সিড বলে, “উনি এখনও আসছেন না কেন?”
নিনা এ দিক-ও দিক তাকিয়ে বলে, “কেন যে শুধু শুধু এখানে আসতে গেলাম! আমার ভয় করছে।”
অনন্ত বলে, “ভয় পাবেন না। আমরা তো আছি।”
ভেতর থেকে আবার সেই কণ্ঠস্বর ভেসে আসে, “বাহ্! অসাধারণ! এই তো চাই। খুব হাততালি দিতে মন চাইছে। আপনারা এ বার দয়া করে দক্ষিণের জানলার পাশে যান। গেলেই দেখতে পাবেন, বড় রাস্তার সামনে দুটো দোকানের মাঝে একটা ছোট্ট শহিদ বেদি। ওটা আমার ছেলের। ঠিক তার সামনে ঘটেছিল ঘটনাটা। পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী জিনিস হল, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ। মসৃণ একটা কফিনে সে দিন সুমু এসেছিল। সুমু নামটা রেখেছিল ওর মা। আমি রেখেছিলাম, দেবপ্রিয়। আমার সুমু নামটা একদম ভাল লাগত না। ধীরে ধীরে কেমন করে যেন ভাল লেগে গেল। সুমুর কফিনের উপরে ছিল জাতীয় পতাকা। বাড়ির চার দিকে লোকে লোকারণ্য। কান্না আর গর্ব আমায় দু’দিক থেকে টানাটানি করছিল। তবু কোথাও আমার ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটা সাধারণ বাবা, টিপিক্যাল একটা বাবা বার বার বলছিল, যদি ছেলেটা অন্য কোনও চাকরিতে থাকত! এই তোমাদের মতো... তা হলে বেঁচে যেত। বলেওছিলাম আমি। ওর মা আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। ও শেষ দেখাটাও দেখতে পারেনি মা’কে। দু’দিন বাদে ফিরেছিল। ছেলেকে বার বার বুঝিয়েছি, সে শোনেনি। ও বলত, এত বড় দায়িত্বের কাজ ছেড়ে পালিয়ে আসতে পারবে না। ওর যুদ্ধের সময় লেখা ডায়েরিটা আমি বার বার পড়ি, ওর অক্ষরের মধ্যে ফুটে ওঠে কার্গিল। শত্রুদের হাত থেকে কী ভাবে টাইগার হিলকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় সেনারা... সব যেন চোখের সামনে দেখতে পাই।
“সুমু লিখছে, ‘আমরা ১৮ জন গ্রেনেডিয়ারের দল পাহাড়ের এক্কেবারে উপরে উঠে গেলাম। আর পাহাড়ের উপরে উঠতেই পাকিস্তানের দিক থেকে শুরু হয় ব্যাপক গোলাবর্ষণ। প্রতিঘাতে না গিয়ে প্রথমে প্রতিরক্ষার পথে হাঁটতে শুরু করি আমরা। আর প্রতিরক্ষা চালিয়ে গিয়ে টাইগার হিলের ওপর থেকে এক চুলও নড়িনি। কারণ আমরা জানি এর পর ধীরে ধীরে প্রতিঘাতের রাস্তায় যাব।’ ”
একটানা বলার পর একটু থেমে আবার বলতে থাকেন, “পাকিস্তানের দিক থেকে ক্যাপ্টেন কর্নেল শের খান তত ক্ষণে পাকসেনা নিয়ে এগিয়ে আসছেন। সুমুরা চাইছিল ওদের নেতাকে শেষ করতে। লড়াই হয়, এক সময় টাইগার হিল ছেড়ে নামতে থাকে পাকিস্তানি সেনা... আপনারা হয়তো বিরক্ত হচ্ছেন। অন্য কারণে ডেকে এনে এ সব কেন বলছি। তাই না! আসুন, ডান পাশের দরজাটা খুলে আমার ঘরে আসুন।”
ওরা সবাই দ্রুত দরজার দিকে যায়। এবং ছিটকে চলে আসে।
অনন্ত বিড়বিড় করে, “শয্যাশায়ী এক জন মানুষ আমাদের এখানে ডেকে এনেছে!”
পার্থ চেঁচিয়ে ওঠে, “কে আপনি? অযথা একটা বিষয় নিয়ে শুধু শুধু ঝামেলা পাকিয়ে যাচ্ছেন কেন?”
শ্যামল দত্ত বলে, “এমন ভাববেন না, আমাদের যোগাযোগ নেই। কে আছে আপনার সঙ্গে, তা বার করতে দু’মিনিটও লাগবে না। সে দিন কী এমন দোষ করেছি আমরা! মেয়েটাকে অত রাতে একা কে বেরোতে বলেছিল। আমরা?”
পার্থ চেঁচিয়ে ওঠে, “ঠিক বলেছেন। খামোখা আমরা ঝামেলায় কেন যাব! নিনা কিন্তু একা বেরোয়নি। সঙ্গে সিড ছিল।”
ভেতর থেকে ভেসে আসে, “সে দিন রাত দশটা চল্লিশে আপনাদের সামনে একটা মেয়েকে দুটো ছেলে জোর করে একটা গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল। মেয়েটা চিৎকার করছিল, ‘হেল্প! হেল্প!’ আপনারা তখন মেয়েটির চার দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। কেউ ওকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলেন না। দ্রুত কিছুই হয়নি ভেবে চলে গেলেন। বিষয়টা ক’দিন কাগজে খুঁজেছিলেন। পাননি তাই তো! পাবেন কেমন করে, আপনারা চলে যাবার পর দুটো কুকুর ছুটে এসেছিল, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাজে ছেলে দুটোর উপরে। মেয়েটা বেঁচে গিয়েছিল। জানি না মেয়েটা কে, আমার শুধু জানতে ইচ্ছে করছিল, আপনারা কেমন মানুষ!”
ওরা সবাই মাথা নিচু করে থাকে।
ভেতর থেকে ভেসে আসে, “চার বছর হল আমি বিছানায়। উঠতে পারি না। দু’জন আয়া আছে। আগে জানলা দিয়ে শহিদ বেদিটা দেখতাম। এখন সে ক্ষমতাও নেই। তাই ছেলের বন্ধুরা এই সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর সব আমার সামনে সেট করে দিয়েছে। আমি সারা দিন আগের মতো ছেলের সঙ্গে কথা বলি। সে দিনের ঘটনার পর আমি ছেলেকে বললাম, দেখ, তুই বলেছিলি, দায়িত্ব ছেড়ে আসা যায় না। তোকে কেন ছেড়ে আসতে বলতাম দ্যাখ!
“ছেলে বলল, ‘ওঁরা ভুল করেছেন বলে সব মিথ্যে হয়ে যায় না বাবা। হয়তো সে দিন পারেননি, অন্য সময় এই মানুষগুলোই ঝাঁপিয়ে পড়ে কাউকে বাঁচাবেন।’
“আমি বললাম, অসম্ভব, আমি বিশ্বাস করি না।
“ছেলে হাসল, বেঁচে থাকতে যেমন হাসত।
“ফুটেজ থেকে আপনাদের খুঁজে পেতে অনেক ঝামেলা গেছে। কাজটা করেছে একটা প্রাইভেট এজেন্সি। টাকা এখন সবটাই কেমন সহজ করে দিয়েছে। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, তোমাদের এক বার সামনে থেকে দেখি। কেন জানো?”
সকলে একত্রে বলে, “কেন?”
উত্তর আসে, “দেখতে চেয়েছিলাম দায় এড়িয়ে পালিয়ে বাঁচা কিছু মানুষ। দেখলাম, এ ভাবে গা-বাঁচানো মানুষদের আমার ভাল লাগল না। আমার ছেলে পালিয়ে এলে তোমাদের মতো বেঁচে থাকত। যারা ভাবে আমি কেন, অন্যরা এগিয়ে যাক, তাদের চেয়ে আমার শহিদ বেদি ভাল। তবে আজ যখন তোমরা নিনার ভয় পাওয়ার সময় ওকে বললে, ‘ভয় পেয়ো না, আমরা আছি,’ ঠিক তখনই বুঝলাম, আমার ছেলে ঠিক বলেছিল। সে দিন তোমরা দায়িত্ব পালন করোনি। আজ এক সঙ্গে কিছু ক্ষণ থাকতেই নিজেদের এক ভেবেছ। আমি ভাইরাল-টাইরাল বুঝি না। ও সবে যেতে চাই না। শুধু জানতে চাই তোমাদের কাছে, আমার ছেলে কি ভুল করেছিল?”
সবাই সমস্বরে বলে ওঠে, “না।”
বৃদ্ধের মুখে যেন একটু শান্তির ছাপ ফুটে ওঠে, তিনি বলেন, “আজ রাতে ছেলেকে বলব, তুই ঠিকই বলেছিস, এক বার ভুল হলেই সব ভুল, সব খারাপ হয়ে যায় না। আপনারা সময় পেলে আবার আসবেন। একটা ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নিয়ে। ভয় নেই, আপনাদের পালিয়ে বাঁচা সেই দিনটার কথা আর কেউ জানবে না... বিদায়!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy