Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Joydip Chakroborty

না লেখা

আমি  থতমত খেয়ে গেলাম। পাঁচ বছর পরে এই বসন্তের রাতে সত্যিই ঋতি নিজেই ডাকছে আমায়!

ছবি: বৈশালী সরকার।

ছবি: বৈশালী সরকার।

জয়দীপ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

কোনও দিনই সময়ে কোনও কাজ করে উঠতে পারিনি আমি। আজও পারলাম না। অথচ আজ আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম ঠিক সময়ে ঋতির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে। আর কখনও তো তার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ ঋতি আমায় দেবে না। তাই আজ যতটা সময় পাওয়া যায় চোখ ভরে দেখে নেব ওকে। অন্য সময় হলে আমি এই দেড়-দু’কিলোমিটার পথ হেঁটেই যেতাম। একা একা পথ হাঁটতে আমার ভাল লাগে। বিশেষ করে এমন বসন্তবিকেলে, যখন দখিন দিক থেকে মন কেমন করা হাওয়া বয় আর সেই হাওয়ায় পাতায় পাতায় শব্দ তুলে গুনগুন করে গান গায় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছেরা...

আগে এই রাস্তায় একটা বাস চলত। এখন চলে না। এ দিকটা বেশ নির্জন বলে রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম। যানবাহন বলতে অটোরিকশা আর টোটো। অটোর ভাড়া অনেক। এইটুকু পথের জন্যে অতগুলো টাকা দিতে গায়ে লাগে। বিশেষত আমার মতো কম রোজগেরে মানুষের পক্ষে এটা বিলাসিতাই।

বিলাসিতা আগে এক বারই করে ফেলেছিলাম। তখন বুঝতেও পারিনি ও কাজটা আমার মতো হাড়হাভাতেকে মানায় না। বুঝলে হয়তো ঠিক সময়ে নিজেকে সামলে নিতাম। কিন্তু কিছুতেই ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা যে করা হয় না আমার...

সে দিন ঋতি আমাকে বলেছিল, “জীবনটা কবিতা নয়, কল্পনার ডানা মেলে পাখির মতো আকাশে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে সংসার গড়া যায় না। যে দিন আকাশ থেকে বাস্তবের মাটিতে পা রাখবি, আমার কাছে আসিস। ভেবে দেখা যাবে ’খন...”

বলার চেষ্টা করেছিলাম, “তুই সঙ্গে থাকলে আমি জাদুকর। আকাশেও প্রাসাদ বানাতে পারি...”

“খেপা কোথাকার...” ঋতি হেসে উঠেছিল আমার কথা শুনে। বুঝতেই পারছিলাম, আমার কথা একটুও বিশ্বাস করছে না ও।

“এক বার সুযোগ দিয়েই দেখ না...” তবুও মরিয়া হয়ে বলে উঠেছিলাম আমি।

“এ সব বিলাসিতা তোকে মানায় না,” তখনই প্রথম ঋতি কথাটা বলেছিল আমায়, “এ সব আগডুম বাগডুম না ভেবে তুই চাকরিবাকরির চেষ্টা কর বরং...”

আমি তার পর থেকে জ্ঞানত কোনও বিলাসিতা করিনি। ঋতির জন্যে লেখা কবিতাগুলো সব জমিয়ে রেখেছি। ওকেও দিইনি, কোনও পত্রিকাতেও পাঠাইনি। পাঠাবই বা কেন? ও কবিতা তো আম-পাঠকের নয়, ওরা শুধুই ঋতির...

মাস্টার্স কমপ্লিট। মনে মনে আমিও তাগিদ বোধ করছি, একটা চাকরি জোটানো সত্যিই দরকার।

বেশ কিছু দিন ধরে লেগে থেকে, কী আশ্চর্য, চাকরি একটা জুটিয়েও ফেললাম। প্রাইভেট স্কুলে। সঙ্গে সকাল বিকেল টিউশন। সেই টাকায় বিলাসবহুল না হোক, ডাল-ভাতের একটা সংসার চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আমি আবার এক দিন ঋতির সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। ঋতি তো বিলাসিতা পছন্দ করে না। আমার সামান্য রোজগারের ছেঁড়া-ফাটা সংসার সে নিশ্চয়ই সেলাই-ফোঁড়াই করে চালিয়ে নিতে রাজি হয়ে যাবে...

কিন্তু সব শুনে ঋতি বলল, “বড্ড দেরি করে ফেলেছিস।”

মাটির দিকে মাথা নামিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি।

ঋতি বলল, “সামনের অঘ্রানে আমার বিয়ে...”

কার সঙ্গে ঋতির বিয়ে আমার জানতে ইচ্ছে করছিল না। জানতে চাইলামও না। মনে মনে শুধু বললাম, “অঘ্রান মাসে কেন বিয়ে করছিস ঋতি? অঘ্রান মাসে বিয়ে করলে কেউ সুখী হয় না। আমার মা বলত, ওই মাসে বিয়ে করলে মেয়েদের জ্বলে পুড়ে মরতে হয় আজীবন...”

ঋতি বলছিল, “সায়ন্তনকে চিনিসই তো। মনটা বাচ্চাদের মতো, কিন্তু বড্ড মাথা গরম। কারও সঙ্গে কিছুতেই ভাগ করে নিতে চায় না আমাকে। তুই আর যেন এ দিকে আসিস না...”

আমার রাগ হয় না। হলও না। শুধু অস্ফুটে বললাম, “তোর জন্যে লেখা কবিতাগুলোর কী হবে?”

“এখন তোর কাছেই রেখে দে। আমি যখন মরব, আমার চিতার ওপরে দিয়ে দিস,” ঋতি খিলখিল করে হেসে উঠল।

ঋতির বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে কবিতা লেখা কাগজগুলো এক বার স্পর্শ করে নিলাম। তার পর এলোমেলো পায়ে হাঁটা লাগালাম। অঘ্রানেই আমাদের বন্ধু সায়ন্তনের সঙ্গে ঋতির বিয়ে গেল সত্যি সত্যি।

আমি, ঋতি, সায়ন্তন আমরা সকলে একই মফস্‌সল শহরে থাকি। ছোটবেলা থেকে একই স্কুলে লেখাপড়া করেছি তিন জন। সায়ন্তনের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তবু আমি সে বাড়িতে যাইনি কখনও নিজে থেকে। যাইনি, কারণ ঋতি আমাকে হুটহাট করে তার কাছে যেতে বারণ করে দিয়েছিল। তবে প্রায় প্রতিদিনই, রাত্রিবেলা টিউশন পড়িয়ে ফেরার সময় ইচ্ছে করে ঘুরপথে হেঁটে আমি ঋতির বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম। ওদের বাড়ির উল্টো দিকে লাইটপোস্টের নীচে একা চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকতাম আমি। জায়গাটা প্রান্তিক। রাতে রাস্তায় লোকজন থাকত না। আমি নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে জানলার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতাম। পর্দায় অর্ধেক ঢাকা জানালার ও পাশে ঋতির অবয়ব ভেসে উঠলে মনের ভেতরটা আলো হয়ে উঠত আমার। আমি তখন বিড়বিড় করে ঋতির জন্যে লেখা কবিতাগুলো আবৃত্তি করতাম। মনে হত ঋতি যেন রাতের অন্ধকার আর ল্যাম্পপোস্টের অনুজ্জ্বল আলোছায়ায় মিশে থেকে আমার সেই কবিতা শুনছে। শীতকাল এলে কুয়াশার ওপারে ঋতির ঘরের জানালা বন্ধ থাকত। তবু আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম। মনে হত বন্ধ জানালার ও দিকে ঋতিও দাঁড়িয়ে আছে আমার জন্যে। অপেক্ষায়। এই অপেক্ষা শেষ হবার নয় তা জেনেও।

পরশু আমি যখন লাইটপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে আছি, ঋতির ঘরের জানলার পর্দা হঠাৎ সরে গেল। ভয় পেয়ে দূরে সরে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালাম আমি। ঋতি। জানালার ও পাশে গরাদের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে ইশারায় ডাকছে আমাকে। আমি থতমত খেয়ে গেলাম। পাঁচ বছর পরে এই বসন্তের রাতে সত্যিই ঋতি নিজেই ডাকছে আমায়!

ঋতি হাতছানি দিয়ে আবার ডাকল আমায়।

ঋতি ডাকলে আমি না গিয়ে কি পারি? প্রায় উড়ে উড়েই রাস্তা পেরিয়ে গেলাম আমি। দরজা খুলে ঋতি দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে নিচু গলায় বলল, “হাঁদার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ভেতরে আয়।”

আমি ইতস্তত করতে লাগলাম। সায়ন্তনকে খুঁজতে লাগলাম চারদিকে। সায়ন্তনকে আমি ভয় পাই। সায়ন্তনের মন বাচ্চাদের মতো হলেও মাথা ভীষণ গরম। আমার সঙ্গে ঋতিকে দেখলে ঋতিরও বিপদ...

ঋতি তাড়া লাগাল, “ভেতরে আয়। শিগগির।”

আমি প্রশ্ন করলাম, “সায়ন্তন...”

“কেউ বাড়ি নেই। আমি একা। ও মা-কে সঙ্গে নিয়ে মামার বাড়ি গেছে। কোন্নগরে। কাল ফিরবে...” আমাকে হাত ধরে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরের দরজা বন্ধ করল ঋতি। তার পরে হাত ধরেই আমাকে ঘরে নিয়ে গেল। জানলা বন্ধ করল।

আমার আফসোস হল। ঋতির জন্যে লেখা কবিতাগুলো আজ আমার সঙ্গে নেই।

ঋতি আমার খুব কাছ ঘেঁষে বসল। আমার কাঁধের ওপরে কনুই রেখে মুখের ওপরে ঝুঁকে পড়ে বলল, “রোজ আমার জানালা থেকে অত দূরে দাঁড়িয়ে থাকিস কেন তুই কাঙালের মতো?” আরও একটু এগিয়ে আসতে ইচ্ছে করে না কখনও তোর?”

কোনও শব্দই কি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে? আমি মুখ নিচু করে নীরব রইলাম।

“আরও একটু এগিয়ে আসার ইচ্ছে হয় না কেন তোর কখনও?” ঋতি আবার জিজ্ঞেস করল।

“তুই যে বারণ করেছিলি,” আমি দুর্বল গলায় বলি।

“আমার সব কথা অক্ষরে অক্ষরে শুনতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে তোকে দিয়েছে বলতে পারিস?” আমাকে অবাক করে দিয়ে ঋতি ঝাঁঝিয়ে উঠল।

আমি গুটিয়ে গেলাম। আমার দিকে একটুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সেই আগেরই মতো খলবল করে হেসে উঠল ঋতি। প্রসঙ্গ পালটে জিজ্ঞেস করল, “এখনও তুই আমার জন্যে কবিতা লিখিস?”

আমি চোখ তুললাম। ঋতির মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম আমি। এ কী চেহারা হয়েছে ওর? কত রোগা হয়ে গেছে। চোখের নীচে কালি। কী হয়েছে ওর? ঋতি কি তা হলে ভাল নেই?

ঋতি আবার জিগ্যেস করল, “বল না, এখনও তোর কবিতা লিখে দিতে ইচ্ছে করে আমার জন্যে?”

“হ্যাঁ,” মাথা নাড়ি আমি, “শুধু তোর জন্যেই তো কবিতা লিখি আমি ঋতি।”

“একটা কবিতা চাইব তোর কাছে, দিবি?” ঋতির চোখে আকুতি।

“আজ যে সঙ্গে করে একটাও কবিতা আনিনি আমি।”

“অমন কবিতা নয়,” ঋতির চোখে জল টলমল করে উঠল, “একটা সত্যিকারের কবিতা বুনে দিয়ে যা না আজ আমার মধ্যে। যাকে আঁকড়ে ধরে আরও কিছু দিন বাঁচতে পারি। টাচ উড, আর কক্ষনও, কোনও দিন তোর কাছে কিচ্ছু চাইব না আমি...”

আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম ঋতির দিকে। এ কী অসম্ভব কথা! ঋতি কি পাগল হয়ে গেছে!

ঋতি তত ক্ষণে সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরেছে আমাকে। বিকৃত গলায় ফিসফিস করে বলে চলেছে, “একটা কবিতার বীজ দিয়ে যা আমাকে প্লিজ়। কেউ জানবে না। গোপনে তোর সেই কবিতা শরীরে ধারণ করব আমি। বড় করব তাকে। তোর দিয়ে যাওয়া কবিতাকে নিয়েই থাকব আজীবন...”

“কী করছিস তুই, ছাড়...” এক ধাক্কায় ওকে সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়াই আমি। “এ ভাবে হয় না ঋতি, সত্যিই হয় না... পছন্দ করুক না করুক, সায়ন্তন আমার বন্ধু... তুই বরং ভাল ডাক্তার দেখা,” বলতে বলতে মাতালের মতো দরজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকি আমি প্রাণপণ।

ঋতির কান্নাভেজা ক্রুদ্ধ কণ্ঠস্বর আছড়ে পড়ল কানে, “কাপুরুষ, ইমপোটেন্ট কোথাকার...”

বাইরেও জোর হাওয়া বইছে। কালো মেঘ এসে আধখানা চাঁদটাকে আড়াল করে ফেলেছে তত ক্ষণে। বুঝতে পারছিলাম ঝড় আসছে।

*****

আজ শেষ বার ঋতির কাছে পৌঁছতে দেরি হোক আমি চাইনি। বেশি ভাড়া দিয়ে আমি অটোতেই চেপেছিলাম। তবু শেষরক্ষা হল না। যখন পৌঁছলাম, ঋতি লোহার ট্রলির ওপরে নির্বিকার চিত হয়ে শুয়ে ঘড়ঘড় শব্দে গনগনে লাল চুল্লির মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। কাল থেকে অনেক ধকল গেছে ওর। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়া থেকে পোস্টমর্টেমের কাঁটাছেঁড়া, নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছে ঋতির।

সায়ন্তনের সঙ্গে যে কয়েকজন শ্মশানে এসেছে তারা আমাকে পাত্তাই দিল না। সায়ন্তন শুধু এক বার চুল্লির থেকেও গনগনে চোখে দেখল আমাকে। দেখুক। আমার আর কিছু এসে যায় না। ঋতি চলে গেছে। এ পৃথিবীতে আমারও থাকার প্রয়োজন নেই আর। যাওয়ার আগে একটাই কাজ বাকি। কবিতাগুলো পকেটে রয়ে গেছে। চুল্লিতে ঢুকে যাওয়ার সময় নিশ্চিত সায়ন্তন আমাকে ওগুলো ঋতির বুকের ওপরে রাখতে দিত না। অতএব অপেক্ষা করতে হবে। আমি একা বসে রইলাম দূরে।

সকলে চলে গেলে আদিগঙ্গার অগভীর জলের পাশে কাদায় নামলায়। এইখানেই ঋতির দেহাবশেষ পুঁতে দিয়ে চলে গেছে ওরা। আমি পকেট থেকে ঋতির জন্যে লেখা কবিতাগুলো বার করলাম। ওই তো ঋতি হাত বাড়িয়েছে। আমার সমস্ত কবিতা ঋতির হাতে দিয়ে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়লাম। পৃথিবীতে সব কাজ সম্পূর্ণ হল আমার। পকেটে রাখা ঘুমের ওষুধের ফয়েলগুলোর ওপরে গভীর স্নেহে হাত রাখলাম আমি। ঠিক তখনই এক পাল কুকুর ডেকে উঠল তীক্ষ্ণস্বরে। পিছন ফিরে দেখলাম, এক অদ্ভুত বিচলন তাদের মধ্যে। আমাকে কী যেন বলতে চাইছে ওরা। আমাকে যেন নিয়ে যেতে চাইছে কোথাও...

দ্রুত পাঁক থেকে ওপরে উঠে আমি অনুসরণ করলাম ওদের।

একটু এগোলেই ময়লাপোতা। মফস্‌সলের সমস্ত জঞ্জাল প্রতিদিন এসে জমা হয় এইখানে। সেই জঞ্জালের স্তূপে ফেলে যাওয়া কাপড়ের পুঁটুলির মধ্যে একটা সদ্যোজাত শিশু। জীবিত। কাঁদছে...

একটু আগে আমার সমস্ত কবিতা বিসর্জন দিয়ে ভারমুক্ত হয়েছিলাম। বুঝলাম আসলে কিছুই লিখিনি আমি এত দিন। আমার যে কবিতা ঋতি সাজিয়ে তুলতে চেয়েছিল আমার হয়ে, সে কবিতা আমায় নিজেকেই সাজিয়ে তুলতে হবে এ বার।

পকেট থেকে ঘুমের ওষুধের ফয়েলগুলো বার করে গঙ্গার কালচে জলের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিই আমি। তার পর দৌড়ে গিয়ে আবর্জনার মধ্যে থাকা সেই পুঁটুলিটাকে যত্ন করে তুলে আনি বুকের ভেতরে। সামনে যে অনেক কাজ। মাথা ঠান্ডা রেখে এগোতে হবে আমায়।

কুকুরগুলো আমাকে ঘিরে ধরে আনন্দে লেজ নাড়াচ্ছে তখন।

আকাশে চাঁদ উঠল এইমাত্র। সেই অপার্থিব আলোয় গঙ্গার কালো জলও সোনা হয়ে গেল মুহূর্তে।

অন্য বিষয়গুলি:

Joydip Chakroborty Short story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy