শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
নিজের জেলার বহু বুথে এখনও দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়নি। এদিকে লক্ষ্যপূরণের দিন এগিয়ে আসছে। তাই জেলা নেতৃত্ব যেমন মাঠে নেমে কাজ করা শুরু করেছেন, তেমনই গেরুয়া শিবিরের ওই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজে হাতে মঙ্গলবার একাধিক ব্যক্তিকে তিনি বিজেপির সদস্য পদ গ্রহণ করান। এই কাজে এ দিন তাঁর হাতিয়ার দেখা গেল সেই ‘হিন্দুত্ববাদ’।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে নিজের ‘গড়’ কাঁথিতে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। এদিন কাঁথি-৩ ব্লকের অন্তর্গত কালীনগর বাজার এলাকায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি ছিল। তাতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু ফের হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘‘সব হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ করলেই আমরা জিতব। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে ৭০ ভাগ হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।’’
গত ২৭ অক্টোবর থেকে এ রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। বাংলা থেকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলায় তিন লক্ষ করে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যদিও সেই লক্ষ্য পূরণে ‘অধিকারী গড়’ পূর্ব মেদিনীপুর পিছিয়ে রয়েছে বলে জেলা বিজেপি সূত্রের খবর। এদিন কর্মসূচির শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যে ২০ লক্ষের বেশি সদস্য সংগ্রহ হয়ে গিয়েছে। কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর পর ১৭ নভেম্বর বিশেষ অভিযান হয়েছিল। একদিনে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় ২২ হাজার এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় ১৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে।’’ এরপর বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর এখন বিজেপির দুর্গ। লোকসভা নির্বাচনে ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে। আমাদের লক্ষ্য সবকটি আসনে জয়ী হব। এবং ১৬টি আসন নরেন্দ্র মোদিজীর হাতে তুলে দেব।’’
আগামী বিধানসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি যে হিন্দু সমর্থনের দিকেই তাকিয়ে, এ দিন তা আরেকবার স্পষ্ট করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দুরাই আগামী ২০২৬ সালে রাজ্যে পরিবর্তন আনবে। তবে আমরা চাই ধর্ম-বর্ণ এবং জাত পাতের ঊর্ধ্বে যাঁরা ভারতবর্ষের বিকাশ চান, তাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হোক। হিন্দুরা তো রয়েছেনই। মুসলমানরা ব্যক্তিগতভাবে চাইলে আসতে পারেন। তাঁদের যাঁরা নির্দেশ দেন, তাঁরা এমনভাবে সাম্প্রদায়িকতার বীজবপন করেন যে ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা ভোট দেন না।’’ তৃণমূলের জেলা (কাঁথি) সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়ন চলছে, আগামী নির্বাচনগুলিতে বাংলার মানুষ জাতপাতের তত্ত্বে নয়, তৃণমূলকেই সমর্থন জানাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy