Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
ছোটগল্প
Short story

খদ্দের

পুব পাড়ায় দেবকুমার নতুন মুদি দোকান করেছে। সাজানো গোছানো, ঝকঝকে তকতকে।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

বিপুল রায়
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১০:২৬
Share: Save:

সন্তোষদা পাস্তা পাওয়া যাবে?” টুলে বসে গতকালের বাসি খবরের কাগজ পড়ছিল সন্তোষ দাম। সকাল গড়িয়ে দুপুর হব হব। দোকানের আশপাশটা এই সময় একটু ঝিমিয়ে থাকে। সন্তোষ দামের দোকান লাগোয়া বাড়ি। বাড়ির ভিতর থেকে সেই ভোর থেকেই চিৎকার চেঁচামেচি কানে আসে। এখন অনেকটা শান্ত।

মুখ থেকে খবরের কাগজ সরিয়ে দেবদাসের দিকে হাঁ করে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে রইল সন্তোষ। তার পর ক্ষীণ গলায় বলল, “পোস্ত চাইছ কি?”

হাসল অনন্ত। তার পর মাথা নেড়ে বলল, “না না, পোস্ত নয় পাস্তা। আমি কি আর অতশত জানি ছাই। মেয়ে বলল, ও নাকি বন্ধুর বাড়িতে খেয়ে এসেছে। বিদেশের খাবার। এখন এ দেশে গ্রামেগঞ্জেও পাওয়া যাচ্ছে। খুব সহজেই তৈরি হয়ে যায়। ব্যস্ত জীবনে চটজলদি খাবার।”

“নামই শুনিনি। এখন তো প্যাকেট করা অনেক ফাস্ট ফুড আসছে। যদি খদ্দের হয় তা হলে আমিও রাখব,” ম্লান মুখে আলতো হাসল সন্তোষ।

অনন্ত বিরক্তিতে ভুরু কুঁচকোল, “যা চাই, তা-ই নেই। দোকানটা তুলে দাও। খদ্দের এসে এসে ফিরে গেলে আর কেউ আসতে চাইবে! তা ছাড়া দেবকুমার নতুন দোকান খুলেছে। সব রাখছে। বাজারের চেয়ে দামও কম। ফ্রেশ মাল, ইলেকট্রনিক্স ওজন মেশিনে নিখুঁত ওজন। অনেক জিনিসের সঙ্গে আবার ফ্রি আইটেমও দিচ্ছে দেখে এসো গিয়ে।”

খবরটা পেয়েছে সন্তোষ। পুব পাড়ায় দেবকুমার নতুন মুদি দোকান করেছে। সাজানো গোছানো, ঝকঝকে তকতকে। তার দোকানের মতো বস্তা, টিন বা কাচের বয়ামে ভর্তি নয়। সুদৃশ্য প্যাকেটে শেল্ফে সাজানো। তার দোকানের মতো ভ্যাপসা, গুমোট, বদ্ধ, তেলচিটে নয়। দেবকুমারের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকানে সব সময় মনকাড়া সুগন্ধ ঘুরপাক খাচ্ছে।

দেবকুমারের ছেলের বৌও নাকি দোকানে বসে। জিন্সের টাইট প্যান্ট আর আঁটোসাঁটো টপ পরে সেই নাকি খদ্দের সামলায়। দোকানে খদ্দেরদের গতিবিধি দেখার জন্য সিসি টিভি পর্যন্ত আছে।

অনন্ত শেষ পর্যন্ত আধ কিলো খোল নিয়ে চলে গেল। তার ছাদে মরসুমি ফুলের টব আছে। তাতে খোল পচা দিতে হয়। পুব পাড়ায় দেবদাসের নতুন দোকানে সে জিনিস পাওয়া যায় না।

সন্তোষের দোকানের সামনে বারো ফুটের পিচের রাস্তা। দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। বড় বড় খানাখন্দ। তার উপর পিছনের গয়লাপাড়া থেকে গাইগরু ছেড়ে দেয়। ইদানীং একটা ষাঁড় এসে হাজির হয়েছে। ষাঁড় শিবের বাহন। সুতরাং তাকে কেউ ঘাঁটায় না। আদর করে পাড়ার ছেলেরা ষাঁড়টার নাম দিয়েছে, ভোলা। ভোলাও এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে। খাবারের লোভে সে প্রায়ই সন্তোষের দোকানের সামনে মুখ বাড়িয়ে দাঁড়ায়।

সন্তোষের নজরে পড়ল, এক জন বয়স্ক মানুষ তার দোকানের দিকে আসছেন। কিছুটা এসে দাঁড়িয়ে পড়লেন। সেই ভোলা অন্য দিক থেকে তার দোকানের দিকেই আসছে। এ এক উটকো ঝামেলা! এমনিতেই খদ্দের কমে গেছে, গোদের উপর বিষফোড়া ভোলা।

গোটা চারেক আলু বের করে ভোলার সামনে ধরল সন্তোষ। মুহূর্তে খেয়ে ফেলল ভোলা, তার পর তাজা গোবর ছড়িয়ে দিল সন্তোষের দোকানের সামনে। মহা জ্বালা!

ভোলা চলে যাওয়ার পর বয়স্ক মানুষটি এলেন। এই অঞ্চলের প্রায় সবাই সন্তোষের মুখ চেনা। জন্ম থেকেই আছে সে এখানে। বয়স তেষট্টি পেরিয়ে গেছে। মানুষটা এসে দোকানের সামনে রাখা টুলে
বসে পড়লেন। বড় বড় শ্বাস নিলেন। তার পর ক্লান্ত স্বরে বললেন, “ভাই, নস্যি হবে?”

এখন নস্যি নেওয়া মানুষ কমে গেছে। তবে সন্তোষের কয়েক জন বাঁধা খদ্দের আছে, যারা ছোট্ট কৌটো বা ডিবে করে নস্যি ভরে নিয়ে যায়। মানুষটা দু’নাকে নস্যি টেনে বলল, “এক নম্বর জিনিস দিয়েছেন ভাই। এখন কোথাও এক নম্বর পাওয়া যায় না। দু’নম্বরিতে দেশটা ছেয়ে গেছে।”

“কোথায় এসেছেন এ দিকে? আপনাকে তো দেখিনি আগে!” সন্তোষ জানতে চাইল।

বয়স্ক মানুষটি ক্লান্ত স্বরে বললেন, “মেয়ের বাড়িতে এলাম। এখানে এর আগেও এসেছি। কত কী বদলে গেল! আপনার দোকানটা সেই একই আছে। বছর দশেক আগে এক বার এসেছিলাম। মনে আছে আপনার দোকান থেকে সে বার নস্যি কিনেছিলাম। আজ সকালে জামাই বাবাজীবনকে নস্যির কথা বললাম। কোথা থেকে এনে দিল, নাকে নিয়েই বুঝলাম দু’নম্বরি। আপনার দোকানটা আমার মনে ছিল। জামাইকে বললাম, ‘দেখো তো, তোমাদের কাছাকাছি কোন একটা দোকান থেকে গত বার নস্যি কিনেছিলাম, সেখানে পাও কি না।’ জামাই বলল, ‘বাবা, আপনি সন্তোষকাকুর দোকানের কথা বলছেন। দোকানটা আর তেমন চলে না। পারলে আপনি যান। তা হলে একটু হাঁটাও হবে।’

কী আর করব? এখন তো মেয়ে-জামাইয়ের কাছেই বাদবাকি জীবনটা কাটাতে হবে।”

বয়স্ক ভদ্রলোক চলে যাওয়ার পর আবার খদ্দেরের অপেক্ষায় বসে রইল সন্তোষ। গত তিন মাসের মধ্যে দোকানের বিক্রি অর্ধেক হয়ে গেছে। তা হলে খদ্দেররা কি সব পুব পাড়ার দেবকুমারের নতুন দোকানে ভিড় করছে? দোকানের ডান পাশে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ দিল সন্তোষ। আজ পয়লা অক্টোবর। গত বছর এই তারিখে মাসিক বাজারের জন্য দোকানে অন্তত তিরিশটা ব্যাগ জমা পড়েছিল। ঠিক বারো দিন পর দুর্গাপুজোর সপ্তমী। বাঙালিরা এই সময় ব্যাগ ভর্তি করে বাজার করে। হয়তো বাজার অন্য বারের চেয়েও বেশি করছে, কিন্তু তার কাছে কেউ আসছে না।

বিড়ি ধরায় সন্তোষ। বিড়ির ধূসর ধোঁয়া বদ্ধ ঘরে ঘুরপাক খায়। প্রাগৈতিহাসিক গন্ধ ঘরটার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকে। গুড়ের টিনের গায়ে গোটা পাঁচেক আরশোলা লুকোচুরি খেলে। একটা বাচ্চা ইঁদুর ডালের বস্তার পাশ থেকে মুখ বাড়িয়ে সন্তোষকে লক্ষ করে। এ সব বছরের পর বছর ধরে চলছে। সন্তোষ কত মরা ইঁদুর লেজ ধরে বাইরের ফাঁকা মাঠে ছুড়ে দিয়েছে, কত আরশোলাকে চিত হয়ে পা ছুড়তে ছুড়তে শেষ নিশ্বাস ছাড়তে দেখেছে।

“সন্তোষদা, মাথায় দেওয়ার সুগন্ধি তেল আছে?”

আচ্ছন্ন ভাবটা কেটে যায় সন্তোষের। কোমরের ডান দিকটা কিছুটা টলে গেছে তার। তাই বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। কোমরে ডান হাতের ঠেস দিয়ে টুল ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। উজ্বল চোখে দেখে যশোধরাকে। ব্যস্ত হয়ে বলে, “হ্যাঁ হ্যাঁ, আছে। দিচ্ছি।”

পুরনো বিবর্ণ কাঁঠাল কাঠের তেল চিটচিটে দেরাজ থেকে তেলের শিশি বার করল। পরনের লুঙ্গি দিয়ে চেপে চেপে ভাল করে মুছে ওজনদাঁড়ির পাশে নামিয়ে রাখল।

যশোধরা অনুযোগের সুরে বলল, “তোমার দোকান সেই একই রয়ে গেল। এখন এ ভাবে কি ব্যবসা টানতে পারবে সন্তোষদা? চার পাশটা কত দ্রুতই না বদলে যাচ্ছে। তুমি নিজে সেই আগের মতোই রয়ে গেলে! দোকানটাকেও সাজালে না।”

যশোধরার হাতে নতুন একশো টাকার নোট। ঝুলন্ত ওজনদাঁড়ির পাশ থেকে সেই নোটটা এগিয়ে দিতে দিতে যশোধরা নাক কুঁচকে বিদ্রুপের সুরে বলল, “দোকান থেকে আরশোলার নাদির গন্ধ আসছে। একটা ধবধবে সাদা আলো তো জ্বেলে রাখতে
পারো, সন্তোষদা?”

যশোধরা চলে যায়। বাবার আকস্মিক মৃত্যুর সময় সন্তোষের বয়স ছিল উনিশ বছর। কলেজে বি এ পড়ত। পড়া ছেড়ে দিয়ে আজ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর হল দোকানের কাজে লেগেছে। সেই থেকে টানা চলছে। যশোধরা তখন বারো তেরো বছরের বালিকা। আসত লেবেনচুস, আচার, চানাচুর নিতে। দোকানের সামনে বড় বড় বয়াম সাজানো। তার মধ্যে কোনওটায় ঝাল চানাচুর, কোনওটায় তেঁতুলের আচার, আবার কোনওটায় লজেন্স। সন্তোষ তাকে কাচের বয়াম থেকে তুলে দিত।

দেখতে দেখতে সন্তোষের চোখের সামনে বড় হয়ে উঠল যশোধরা। কিশোরী বয়সেও প্রায় প্রতিদিন এসে দোকান থেকে ডাল, চিনি, চা, নুন নিয়ে যেত। যুবতী হওয়ার পর অবশ্য কমই আসত যশোধরা। তবু প্রতিদিন সন্তোষের সঙ্গে দেখা হত। তার দোকানের সামনে দিয়ে কলেজ যেত। সন্তোষ দোকানে একা বসে থাকলে তার দিকে তাকিয়ে হাসত। যশোধরার কলেজ যাওয়ার সময়টায় সে ইচ্ছে করে বাইরে এসে দাঁড়াত। সেও তেরছা চোখে যশোধরাকে দেখে নিঃশব্দে হাসত।

তার পর এক দিন যশোধরার বিয়ে হয়ে গেল। মেয়েটার কপাল খারাপ। বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে যশোধরার স্বামী ট্রেন অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেল। এখন যশোধরা বাপের বাড়িতেই থাকে।

আজ পয়লা বৈশাখ। সন্ধ্যা নামছে। রাস্তায় স্ট্রিট লাইট জ্বলে উঠছে। গতকাল নতুন এলইডি লাইট লাগিয়ে দিয়ে গেছে পুরসভা থেকে। চারপাশটা সাদা আলোয় ধবধব করছে। দোকানের টুলে বসে আছে সন্তোষ। দোকানে মিটমিট আলো। গণেশ ঠাকুরের মূর্তিতে টাটকা রজনীগন্ধার মালা থেকে নেশা ধরানো সুবাস ভেসে আসছে।

একটু আগে ষশোধরা এসে পঞ্চাশটা দু’হাজার টাকার নোট দিয়ে গেছে। দোকানের সেলামি। তা ছাড়া প্রতি মাসে ভাড়া আসবে চার হাজার করে। শিবু হাজরা দু’লাখ সেলামি আর প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা ভাড়া দেবে বলেছিল। সন্তোষ শিবুকে দেয়নি। যশোধরাকে অনেক কমে দিয়ে দিল। আগামী কাল থেকেই দোকানের ভোল বদলে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। বিউটি পার্লার বলে কথা। দেয়ালে বসবে বিশাল আয়না, ফল্‌স সিলিং, উজ্বল লাইট।

সন্তোষের মনে কত স্মৃতি ভাসছে। এই ছোট্ট দোকানে তার পঁয়তাল্লিশটা বছর কেটেছে। আশপাশে কত পরিবর্তন হল। এক তলা বাড়ি দোতলা, তিন তলা হল, ফাঁকা জায়গায় আকাশছোঁয়া ফ্ল্যাটবাড়ি উঠল। মল, রেস্তরাঁ, সাইবার কাফে, ওয়াইন শপ। কাচের দরজা, এসি, সিকিয়োরিটি গার্ড।

কিছুটা দেরি করেই এল যশোধরা। তাকে আজই দোকানের চাবি দিয়ে দিতে হবে। যশোধরা দেরি করতে রাজি নয়। এখনও এ তল্লাটে তেমন সাজানো-গোছানো বিউটি পার্লার হয়নি। এই সুযোগটা নিতে চায় সে। যশোধরার সঙ্গে ইনটিরিয়র ডিজ়াইনার সুখেন পালও এসেছে।

সুখেন সকৌতুকে বলল, “সন্তোষদা, শেষ পর্যন্ত তো হার মানতে হল। আমি কবে থেকে বলছি তোমাকে, দোকানটা ভাল করে সাজাও। তুমি তো আমার কথা কানেই তুললে না।”

সুখেনের কথার উত্তর দিল না সন্তোষ। সত্যিই তো সে দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে। গত বেশ কয়েক দিন মাল তোলেনি সন্তোষ। কাচের বয়াম, মুড়ির টিন ফাঁকা। দীর্ঘ কাল বংশ পরম্পরায় থাকা আরশোলা, নেংটি ইঁদুররা অন্য আবাসস্থলের খোঁজে বেরিয়ে গেছে।

ষশোধরার হাতে দোকানের চাবিটা দিয়ে বাইরে এসে দাঁড়াল সন্তোষ। একটু আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন আকাশ পরিষ্কার। সন্তোয হাঁটতে হাঁটতে পুব পাড়ার দেবকুমারের নতুন দোকানের সামনে এল। গ্লো-সাইন বোর্ডে লেখা, নিবেদিতা স্টোর্স। দোকানের ভিতরে সুবেশা এক তরুণীকে কাচের মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে।

কাচের দরজা ঠেলে ঢুকল সন্তোষ। ভিতরে ঢুকেই ঠান্ডা শীতল হাওয়া অনুভব করল। বেশ মিষ্টি গন্ধ হাওয়ায়। সুদৃশ্য তাকে সাজানো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। হাঁ হয়ে দেখে সন্তোষ।

হঠাৎ তার কানে বাজল সুরেলা কণ্ঠ, “স্যর, বলুন কী লাগবে?”

সেলসগার্লটি দারুণ সাজগোজ করেছে। আঁটোসাঁটো টপ-প্যান্টে যৌবন যেন বশ না মেনে ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে। দোকান সাজাতে কোনও দিকেই কসুর করেনি দেবকুমার। মেয়েটি চকলেট বারের বড় প্যাকেট নিয়ে সন্তোষকে বোঝাতে শুরু করল, “একটা নিলে একটা ফ্রিতে পাবেন স্যর।”

উৎসাহিত হয়ে উঠল সন্তোষ। এত দরাজ! কিন্তু দাম দেওয়ার সময় হোঁচট খেল। একটা নিলে আর একটা মোটেই ফ্রি নয়। একটাতেই দুটোর দাম ধরা। বরং কায়দা করে এক সঙ্গে দুটো গছিয়ে দিচ্ছে।

কাচের স্লাইডিং দরজা ঠেলে দোকানের বাইরে বেরোনোর সময় এক জনের মুখোমুখি পড়ে গেল সন্তোষ। মানুষটাকে চিনতে পারল সে। সেই বৃদ্ধ যিনি তার দোকানে নস্যি কিনতে গিয়েছিলেন।

বৃদ্ধ অন্যমনস্ক ছিলেন, তাকে খেয়াল করলেন না, বিড়বিড় করে বললেন, “ভাল নস্যির খোঁজে ঘুরছি। সেই দোকানটায় ছিল, হঠাৎ দেখছি দোকানটা উঠে গেছে। দেখি এখানে পাই কি না...”

স্বত্ব ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও ছোট্ট দোকানটার জন্য হঠাৎ মনটা হু হু করে উঠল সন্তোষের।

অন্য বিষয়গুলি:

Short story rabibasariyo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy