Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস

স্বাধীনতা তুমি...

প র পর কয়েক দিন বাবা বাড়ি নেই। ঝন্টুকাকাও নেই পাড়ায়। তার মানে দুজনে কোথায় ধান্দা করতে গেছে। আবার তিন চার দিন পরে ফিরে আসবে। সকাল নেই, দুপুর নেই বাড়িতে ঢুকেই হাঁক পাড়বে, ‘কী হল? এক কাপ চা হবে তো?’

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

সঞ্জয় দাশগুপ্ত
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

• (গত সংখ্যার পর) •

প র পর কয়েক দিন বাবা বাড়ি নেই। ঝন্টুকাকাও নেই পাড়ায়। তার মানে দুজনে কোথায় ধান্দা করতে গেছে। আবার তিন চার দিন পরে ফিরে আসবে। সকাল নেই, দুপুর নেই বাড়িতে ঢুকেই হাঁক পাড়বে, ‘কী হল? এক কাপ চা হবে তো?’

বাবা নেই বলে খাঁ খাঁ দুপুরে হঠাৎ পায়ের শব্দে চমকে ওঠার ভয়টাও নেই বুধুয়ার। ঠাকুমা ঘুমিয়ে। মা ছাদে। ইস্কুল থেকে ফিরে এসে তার আর ছোটনের অখণ্ড অবসর। তাই পরের দিনই বন্দুকটা একটা চাদরের তলায় লুকিয়ে সোজা তার নিজস্ব ঠেকে নিয়ে যেতে কোনও বেগ পেতে হল না বুধুয়াকে।

ঠেক মানে সেই সরকারদের আমবাগান। বিশাল ভাঙা দেওয়াল। ইট বার করা অংশগুলো শুধু অবশিষ্ট আছে। দেওয়াল ফুঁড়ে গাছ বেরিয়েছে। চতুর্দিকে আগাছার ঘন জঙ্গল। তারই মধ্যে কয়েকটা ঘরের অবয়ব এখনও বোঝা যায়। দেওয়ালের খাঁজ। ভাঙা জানলার একাংশ। এক ফালি অলিন্দ। সেই রকমই একটা পোড়ো ঘরে তার ‘ঠেক’। তার বন্ধুরা ছাড়া কেউ জানে না এই জায়গাটার কথা। আর জানে ছোটন।

এটা তার বন্দুক নিয়ে খেলা করার জায়গা। গুলতি দিয়ে পাকা আম নামিয়ে আনার জায়গা। মাঝে মাঝে বন্দুক তাক করে বহু দূরের গাছের ডাল মট করে ভেঙে দেওয়ার আনন্দ কুড়োবার জায়গা। অবশ্য যদি টোটা ভরা থাকে, তা হলেই। বাবার লুকিয়ে রাখা বন্দুকগুলোয় অনেক সময় গুলি ভরাই থাকে। তখন খুব মজা। না থাকলে বন্দুকটা নাড়াচাড়া করে দেখাই সার! টোটা কোথায় পাওয়া যায় জানা নেই বুধুয়ার।

দু’-এক বার যে সব বন্দুক এনেছে বাবা, সে সব বন্দুকের গুলি ভরার জায়গাটাই অদ্ভুত। ট্রিগারের ঠিক পিছনটায় ম্যাগাজিন ফিট করার জায়গা। বিল্টুদা বুঝিয়ে দিয়েছিল তাকে। ওগুলোকে নাকি বলে সেমি-অটোম্যাটিক। খুব দাম। সে সব জিনিস সচরাচর বাড়িতে রাখে না বাবা। হাতে এলে সে দিনই মাল হ্যান্ডওভার করে পার্টির থেকে ক্যাশ নিয়ে নেয়। না হলে পুলিশের ফালতু ঝামেলা। বিল্টুদাই বলেছিল সব। এক বার বাবা একটা সেমি অটোম্যাটিক এনে রান্নাঘরের হাঁড়ি, কড়াইয়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল। ওটা একটু নেড়েচেড়ে দেখার ইচ্ছে ছিল বুধুয়ার, কিন্তু পর দিন দুপুরে আর বন্দুকটা দেখতে পায়নি সে।

‘এটা কী রে দাদা?’ যথারীতি ছোটন সেঁটে আছে তার সঙ্গে।

সে ছোটনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল। কিন্তু ছোটন তো জানে দুপুরবেলা দাদা কোথায় থাকতে পারে। ইট-বার-করা ধ্বংসস্তূপের নির্জন, ছায়া-ঘেরা দেওয়ালের খাঁজে বসে বন্দুকটা গভীর মনোযোগে নেড়েচেড়ে দেখছিল বুধুয়া। হঠাৎ আগাছার ঝাড় নড়ে উঠতে দেখে তাকাল সে দিকে। গাছগাছালির গভীর সবুজ ছায়া সরিয়ে বেরিয়ে এল ছোটন। তার দিকে অবশ্য মন দেওয়ার অবস্থা নেই বুধুয়ার। তাই ছোটনের প্রশ্নটার জবাব দেওয়াও হল না। বুধুয়া তখন চোখ লাগিয়েছে বন্দুকের ব্যারেলের উপর লাগানো সেই চকচকে নলটায়। আর তার জগৎ জুড়ে নেমে এসেছে বিস্ময়!

দূরবিন তো আগেও দেখেছে সে। খেলনা দূরবিন। বাবা কিনে দিয়েছিল রথের মেলা থেকে। চোখে ঠেকালে দূরের জিনিস কাছে এসে গেছে মনে হয়! তাই বলে এত কাছে! একেবারে হাত ছোঁয়া দূরত্বে! আর এত স্পষ্ট! গাছের ডালে বসা শালিক পাখিটার ডানায় তুলির টান দিয়েছে যেন কেউ! হালকা খয়েরি, গাঢ় খয়েরি। পাতার ফাঁকে সবুজ রোদের ছায়া। শালিকের ঠোঁটের ফিকে হলুদ রং, পালকের প্রতিটি রোঁয়া! গাছের পাতায় শিরা উপশিরার স্পষ্ট আঁকিবুকি।

‘কী রে, বল না! কী দেখছিস?’ ছোটন অধৈর্য হয়ে উঠছে।

অন্য দিকে বন্দুক ঘোরাল বুধুয়া।

এ কী! তাদের পিজি কলোনি তো এখান থেকে বেশ দূর! কলোনির মুখেই গুলসানদের বাড়ি! সে বাড়ির ছাদে দুপুরের এলোমেলো হাওয়ায় লাট খাচ্ছে একটা লাল শাড়ি। সাদা সাদা পাতার নকশা। পাড়ের কাছে একটা জায়গা সামান্য ফেঁসে গেছে। এত পরিষ্কার সব কিছু দেখা যাচ্ছে! এ তো অসম্ভব ব্যাপার! এটা দেখাতেই হচ্ছে ওদের!

‘ছোটন শোন,’ বুধুয়ার কণ্ঠে চাপা উত্তেজনা।

‘কী?’

‘এক দৌড়ে গিয়ে চরণ আর নান্টুকে ডেকে আনতে পারবি? বল বাদামপাড়ার টিলায় চলে আসতে। ডেকে নিয়ে আয়, তার পর তোকেও ধরতে দেব এটা। দেখবি, সাংঘাতিক জিনিস।’

‘আচ্ছা! দিবি কিন্তু দেখতে! মা কালীর দিব্যি?’

‘মা কালীর দিব্যি!’

‘এখুনি ডেকে আনছি।’ গাছগাছালির ঘন সবুজের মধ্যে তিরবেগে অদৃশ্য হয়ে গেল ছোটন।

বাদামপাড়ার নাম বাদামপাড়া কেন, কেউ জানে না। কোনও রকম বাদামের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই জায়গাটার। ওখানে এখন মূলত দেহাতিদের বাস। এরা হিন্দিভাষী। এ পাড়ায় বাঙালি নেই বললেই চলে। পাড়ার নামটাতেই যা একটু বাংলা ভাষার ছোঁয়া। এখানকার বাসিন্দারা বেশির ভাগই যাদব। কয়েক ঘর কুর্মি। অধিকাংশ লোকেরই রেল-নির্ভর জীবিকা। অনেকেই কাছাকাছি স্টেশনে লাইনম্যানের কাজ করে। কেউ যায় জামতাড়া, কেউ আরও দূরে, বরাকর। অনেকেই আবার যায় উলটো দিকে চিত্তরঞ্জনের রেল কারখানায়। বুধুয়ারা রোজ ইস্কুল যায় এই পাড়ার মধ্য দিয়ে। এখান থেকে তাদের দলে যোগ দেয় চরণ, শঙ্কর, খলুয়ারা। তাই এ পাড়ায় বন্ধু আছে বুধুয়ার, তা ছাড়াও অনেকের মুখ চেনা।

কিন্তু আজ বাদামপাড়ার মধ্যে ঢুকল না সে। পাড়াটাকে ডান হাতে রেখে একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যায় টিলাটা। দু’পাশে ধানখেত শুরু হয়েছে। রাস্তা ছেড়ে মাঠের মধ্যে নেমে পড়ে ছুটতে শুরু করল বুধুয়া। টিলাটা একটু একটু করে কাছে আসছে। কিছুটা হেঁটে, কিছুটা দৌড়ে মিনিট দশেকের মধ্যে সে পৌঁছে গেল টিলার মাথায়। একটু একটু হাঁপাচ্ছে। দূর থেকে দেখতে পাচ্ছে ছোটনকে। ধানের চারা এখন ছোটনের বুক সমান। একটা লাল হাতকাটা গেঞ্জি পরে আছে ছোটন, আর কালো হাফপ্যান্ট। কচি সবুজের পেলব আন্দোলন। তার মধ্যে একটা অস্থির লাল-কালো বিন্দু। টিলার দিকে ছুটছে ছেলেটা। পিছনে নান্টু আর চরণ। বন্দুকটা কাঁধে নিল বুধুয়া। চোখ রাখল নলটাতে।

এ জিনিস তার বাড়িতেই কখনও আগে আসেনি, নান্টু আর চরণের তো কথাই নেই! নলে চোখ রেখে দুজনেই হতবাক। বরাকর নদীটা যেন এক পা দূরত্বে চলে এসেছে। পা বাড়ালেই জলের স্পর্শ পাওয়া যাবে যেন। অথচ নদীটা এখান থেকে বহু দূর। ট্রেকারে যেতে অন্তত ঘণ্টাখানেক সময় লাগে! বেশিও হতে পারে। জামতাড়া থেকে ইস্পাতের ফলার মতো সোজা এসেছে রেল লাইন। ব্রিজ পার হয়ে, একটা ছোট্ট বাঁক নিয়ে ঢুকেছে পশ্চিমবঙ্গে। বাদামপাড়া, শিউলিবাড়ির কাছে ঘেঁষেনি। বেশ অনেকটা দূর দিয়ে বেঁকে চলে গেছে চিত্তরঞ্জনের দিকে।

‘দেখ দেখ, জামতাড়া স্টেশনের সাইনবোর্ডের লেখাটাও পড়া যাচ্ছে স্পষ্ট!’

চরণ বন্দুকটা এগিয়ে দিল বুধুয়ার দিকে। সত্যিই তাই! দুপুরবেলা প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা। প্ল্যাটফর্মের মাথায় টিনের শেড। এক প্রান্তে হলদে-কালো সাইনবোর্ড। হলুদ রঙের উপর মোটা করে আঁকা কালো কালো অক্ষর। প্রথমে হিন্দি, তার পর ইংরেজি, তলায় একটু ছোট অক্ষরে বাংলা। বুধুয়া হিন্দি, ইংরেজি দুটোই পড়তে পারে। জে-এ-এম-টি-এ-আর-এ। একেবারে হাত ছোঁয়া দূরত্বে। হাত বাড়ালেই যেন অক্ষরগুলোর গায়ে আঙুল বুলিয়ে দেওয়া যাবে।

‘দাদা, ওই দেখ ট্রেন!’

ছোটন যে সঙ্গে আছে, ভুলেই গিয়েছিল বুধুয়া। তারা তিন বন্ধু নতুন যন্ত্রটার বিস্ময়ে মশগুল! কিন্তু ছোটনের এখনও সেই বয়স হয়নি। বন্দুকটা একটু নাড়াচাড়া করেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সে। টিলাটা বেশ বড়। টিলার উপর এদিক-সেদিক ছুটে খেলা করে বেড়াচ্ছে। কখন যে ছোটন অন্য প্রান্তে চলে গেছে, খেয়াল করেনি বুধুয়া। সে এখন আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে ট্রেনটার দিকে।

ছোটনের ডাক শুনে তারা তিন জনই ঘুরে তাকাল। খুব আস্তে আস্তে চলছে ট্রেনটা। এখানটায় প্রায়ই সিগনালের নানা সমস্যা হয়। বিল্টুদার বন্ধু লাটুয়া এখন ট্রেনে পকেটমারি করে। সে এক দিন বলেছিল, এই জায়গাটায় ট্রেনের স্পিড এত কমে যায় বলে সে প্রায়ই এখানে লাফিয়ে নেমে যেতে পারে। জামতাড়া বা চিত্তরঞ্জন অবধি গেলে আবার টিকিট-চেকার বা জিআরপি’র কনস্টেবলদের বখরা দেওয়ার ব্যাপার আছে। সবাই তার মুখ চিনে গেছে। এখানে নামলে সে বালাই নেই। তা ছাড়া বাড়িও কাছে। লাটুয়া শিউলিবাড়িতেই থাকে। ‘তোর নাকি শালা হেব্বি টিপ! চলতি ট্রেনে মারতে পারবি?’

নান্টুর কথা শুনে বন্দুক থেকে চোখ তুলে তাকাল বুধুয়া।

‘ট্রেনে গুলি করব কী রে? কারুর লাগলে? একেবারে সোজা মামাবাড়ি চালান করে দেবে!’

‘লাগাবি না! লোক মারতে বলছি নাকি তোকে? ট্রেনের গায়ে মার না। বা কামরার মাথায় ওই গোল গোল চাকতিগুলোয় মার।’

‘তোর কি শালা মাথাটা খারাপ হয়ে গেল? ওর টিপ ভাল, আমরা সবাই জানি। তাই বলে এতটা দূর থেকে চলন্ত ট্রেনের মাথায় মারা? শালা এ কি ডাকু গব্বর সিং নাকি?’

কয়েক দিন আগেই টিভি’তে শোলে দেখিয়েছে। চরণের বাড়িতে টিভি আছে। সেখানেই বসে দেখেছে তারা তিন জন। পুরনো ছবি হলে কী হবে, ট্রেন আর ঘোড়ার সিনটা তাদের তিন জনেরই খুব ভাল লেগেছে। চরণের কথা শুনে আবার নলটায় চোখ লাগাল বুধুয়া।

ট্রেনটা হঠাৎ এক হাত দূরত্বে চলে এসেছে!

‘মারা যাবে না, কারণ এটায় টোটা ভরা নেই বোধহয়!’ নলে চোখ রেখেই কথাটা বলল বুধুয়া।

‘নেই? তুই দেখে নিয়েছিস?’ চরণ একটু হতাশ!

‘আরে না। দেখব কী করে? শালা কোথা দিয়ে টোটা ভরে বুঝতেই পারলাম না!’

‘তা হলে বুঝলি কী করে নেই?’

‘বাবা বন্দুকে গুলি ভরে রাখে না এমনিতে। খুব মাঝেমধ্যে টোটা ভরা বন্দুক এনে লুকিয়ে রাখে। আর সেগুলো বেশি দিন বাড়িতে রাখেও না। দু’-এক দিনের মধ্যে হাওয়া করে দেয়। এটা আজ নিয়ে চার দিন পড়ে আছে।’

কথা বলতে বলতেই নলের মধ্যে দিয়ে চলন্ত ট্রেনটাকে ট্র্যাক করছিল বুধুয়া। ‘ট্র্যাক করা’ শব্দটা তার টিভি দেখে শেখা। ডিসকভারি চ্যানেল। বন্দুকটা বেশ হালকা হলেও ব্যারেলটা অন্যান্য অংশের তুলনায় অস্বাভাবিক রকমের ভারী। আর মোটা। এত মোটা ব্যারেলের বন্দুক আগে কখনও দেখেনি বুধুয়া। হঠাৎ দেখলে মনে হয়, বন্দুকের নলের উপরে একটা ইস্পাতের নল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যারেলটাকে জামা পরিয়ে দেওয়ার মতন। আর উপরের নলটার তো কথাই নেই! ওটা নাকি টেলিস্কোপ! অন্তত নান্টুর তাই মত। সে নাকি ইংরিজি ছবিতে এ জিনিস দেখেছে। একে বলে টেলিস্কোপিক সাইট।

কথাটা ঠিকও হতে পারে, গুলও হতে পারে। তাদের ভাষায় ঢপ! নান্টুকে বিশ্বাস নেই! কিন্তু নাম যা-ই হোক, জিনিসটার কোনও জবাব নেই! ঝক্কাস মাল! একেবারে জাদু!

ব্যারেলটা বুধুয়ার বাঁ হাতের তালুর উপর স্থির। ঠান্ডা, ধাতব নল। তার আলতো আদরের স্পর্শ। টেলিস্কোপটার মধ্য দিয়ে একাগ্র দৃষ্টি। গা’টা চকচকে, মসৃণ, কিন্তু গায়ের একটা অংশ দু’আঙুলের মধ্যে ধরে, ডায়ালের মতো এদিক-ওদিক ঘোরানো যায়! এক দিকে ঘোরালে লক্ষ্যবস্তু ঝাপসা হয়ে আসে। আবার উলটো দিকে ঘোরালেই একটু একটু করে স্পষ্ট হয়ে ওঠে অবয়ব। একেবারে হাত বাড়ানো দূরত্বে চলে আসে। যন্ত্রটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে বুধুয়া। ঘুরিয়ে এক বার ঝাপসা করে দিচ্ছে ছবিটাকে। আবার অন্য দিকে ঘুরিয়ে স্পষ্ট করে তুলছে। টেলিস্কোপটার কাচের মধ্যে দুটো দাগ দেখা যাচ্ছে। একটা অপরটাকে ছেদ করেছে। ঠিক যেন একটা যোগ চিহ্ন, ইস্কুলে অঙ্ক স্যর যাকে বলেন, ‘প্লাস সাইন’। গায়ের ডায়ালের মতো জায়গাটা ঘোরালে ছবিটার সঙ্গে যোগ চিহ্নটা কিন্তু ঝাপসা হচ্ছে না। ওটা সব সময়ই স্পষ্ট!

• (ক্রমশ) •

অন্য বিষয়গুলি:

mystery novel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE