জ্ঞানসাধক: রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী
বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিষবৃক্ষ’ তখন ধারাবাহিক ভাবে বেরোচ্ছে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়। বছর আটেকের একটি ছেলে লুকিয়ে পড়ছে সেই উপন্যাস। নগেন্দ্রর নৌকাযাত্রা, কুন্দনন্দিনীর স্বপ্নদর্শন, পদ্মপলাশলোচনে তুমি কে— ‘বিষবৃক্ষ’র এই সব শিরোনামে আটকে যাচ্ছে রামেন্দ্রসুন্দর নামে সেই বালকের মন। পরিণত বয়সে এসে স্মৃতিচারণ করেছেন, “তখন বিষবৃক্ষের রস আস্বাদনের ক্ষমতা জন্মায় নাই— অথচ পড়িতাম, লুকাইয়া পড়িতাম।”
বাবা গোবিন্দসুন্দর ত্রিবেদী সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। সে কালে ‘বঙ্গবালা’ নামে একটি উপন্যাস এবং ‘দ্রৌপদী নিগ্রহ’ নামে নাটক লিখে সমাদর লাভ করেন। তিনি কান্দির বাড়িতে ‘বঙ্গদর্শন’ রাখতেন। ছেলে রামেন্দ্রসুন্দর পাঠশালা-পর্বেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন পত্রিকাটির সঙ্গে। পরে কান্দি ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন তিনি। ১৮৮১-তে কান্দি ইংরেজি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। ওই বছরই বাবা গোবিন্দসুন্দরের প্রয়াণ। স্কুলের পর রামেন্দ্রসুন্দর কলকাতায় এসে ভর্তি হলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর জন্ম ১৮৬৪ সালের ২০ অগস্ট, কান্দিতে। ছোট থেকেই শরীরে বড় রুগ্ণ এই ছেলে। ছেলের শরীর নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না মা চন্দ্রকামিনী দেবীর। কিন্তু মেধায় বয়স্যদের তুলনায় বহুগুণ সবল। প্রেসিডেন্সি কলেজে যখন তিনি ভর্তি হলেন, তখন তাঁর বয়স সতেরো বছর। বিয়ে হয়ে গিয়েছে বছর তিনেক আগে, ইন্দুপ্রভা দেবীর সঙ্গে। কনের বয়স তখন আট। প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর বিষয় বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন। অথচ তিনি তখন মগ্ন ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পাঠে। মনে লেখক হওয়ার বাসনা। ‘নবজীবন’ পত্রিকায় পাঠিয়ে দিলেন একটি প্রবন্ধ। যে পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার, লেখক স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র, সেখানে স্বনামে লেখা পাঠাতে সঙ্কোচ হল, তাই, “বেনামীতে পাঠাইলাম। কিন্তু পত্রিকার চতুর সম্পাদক কীরূপে প্রবন্ধলেখককে ধরিয়া ফেলিয়াছিলেন। নিজ নামেই প্রবন্ধটি বাহির হইল।” ১২৯১-এর পৌষ সংখ্যায় প্রকাশিত সেই প্রবন্ধটির নাম ‘মহাশক্তি’।
১৮৮৬ সালের বি এ পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনার্সে প্রথম হলেন, ৪০ টাকা বৃত্তি লাভ করলেন। ১৮৮৭-তে এম এ পরীক্ষাতেও বিজ্ঞানে প্রথম হয়ে পেলেন প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভূগোলের পরীক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা। ১৮৯২-এ কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন রামেন্দ্রসুন্দর। এখানে অধ্যাপনাকালে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। ছাত্র প্রবোধচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ক্লাসের শুরুতেই নানা রাসায়নিক পরীক্ষা দেখিয়ে বিভিন্ন পদার্থের সংযোগে নতুন পদার্থ উৎপাদন করে ছাত্রদের মনকে নতুনের দিকে আকৃষ্ট করতেন তিনি। তার পর পরীক্ষিত বিষয়গুলি বুঝিয়ে দিতেন। বরাবর বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই পাঠ দিতেন।
১৯০৩ সালে রিপন কলেজের অধ্যক্ষ হন তিনি। অধ্যক্ষ হিসেবেও ছিলেন অনন্য। বিশ্বাস করতেন, কলেজ নামক বিরাট যন্ত্রের প্রাণ অধ্যাপক ও ছাত্রেরা। ছাত্রদের সঙ্গে সরাসরি পরিচয়ের সুযোগ পেতে তিনি নিয়ম করেছিলেন, ছাত্রেরা কোনও বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করতে চাইলে নিজ নিজ আবেদন হাতে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবে, তিনি প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে বিচার-মীমাংসা করবেন। রোজ বিকেলে তাঁকে ঘিরে ছাত্রদের ভিড় লেগে যেত। তিনি বিন্দুমাত্র বিরক্ত না হয়ে সবার কথা শুনতেন।
অধ্যাপকদের যথার্থ সহকর্মী হিসেবে ভাবতেন বলেই অধ্যক্ষ রামেন্দ্রসুন্দর নিজের আলাদা চেম্বার ছেড়ে সমস্ত অধ্যাপকের সঙ্গে স্টাফ রুমেই বসতেন। সেখানে তাঁকে ঘিরে চলত নানা বিষয়ে জ্ঞানচর্চার সরস আলোচনা। কলেজে অধ্যাপকদের নিয়ে একটি সঙ্ঘ তৈরি করেন তিনি। যেখানে মাঝে মাঝে অধ্যাপকদের লেখা নতুন প্রবন্ধ পাঠ করা হত, জলযোগের ব্যবস্থা-সহ।
তাঁর চিরকালের অভীপ্সা ছিল, যথাসম্ভব বাংলা সাহিত্যের সেবা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া। ১৩২০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে কলকাতার টাউন হলে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের সভায় বলেছিলেন, “বিজ্ঞানমন্দিরে যাঁহারা সাধক, তাঁহারা যে ভাষা ব্যবহার করেন, তাহা অন্যের পক্ষে দুর্ব্বোধ্য। সাধনামন্দিরের বহির্দ্দেশে আসিয়া প্রাকৃত জনের নিকট তাহাদের বোধ্য ভাষায় আত্মপ্রকাশে তাঁহারা স্বভাবত সঙ্কোচ বোধ করেন; অথচ তাঁহাদের সাধনালব্ধ ফলের আস্বাদনের প্রত্যাশায় অসংখ্য নরনারী মন্দিরের বাহিরে ঊর্ধ্বমুখে ও শুষ্ক হৃদয়ে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে…” বিজ্ঞানে তাঁর আশৈশব অনুরাগ। তাঁর প্রথম পর্বের রচনারাজি বিজ্ঞান কেন্দ্রিক। ‘প্রকৃতি’ গ্রন্থের লেখাগুলি দেখলে তা মালুম হয়। কিন্তু এই রামেন্দ্রসুন্দরই যখন লেখেন ‘জ্ঞানের সীমানা’ শীর্ষক রচনা তখন বোঝা যায়, তাঁর বিজ্ঞানবোধ কোথাও জিজ্ঞাসার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকেই রামেন্দ্রসুন্দর দর্শনের দিকে এগোন। ‘জিজ্ঞাসা’ গ্রন্থের লেখাগুলি জাগিয়ে তোলে সেই দর্শনবোধ।
রামেন্দ্রসুন্দরের দিকে তাকিয়ে বিস্মিত হতে হয়— মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে অধ্যয়ন ও লেখালিখির এমন বিপুল আয়োজন পূর্ণ করা যায়! বিজ্ঞান, দর্শন, বৈদিক সাহিত্য, পুরাণ, ভাষাতত্ত্ব, ব্যাকরণ ভাবনা--- তাঁর মেধাবী মননের স্পর্শ থেকে কিছুই বাদ যায়নি। বিজ্ঞান চর্চা করতে করতেই সন্দেহ আর সংশয় তাঁকে ক্রমশ ঠেলেছে দর্শন এবং বেদ-পুরাণ চর্চার দিকে। বাদ যায়নি দেশাত্মবোধও। কেমন ছিল তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ? ‘প্রকৃতি’ গ্রন্থের ‘মৃত্যু’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, “জীবের বীজদেহ অনশ্বর। মৃত্যু বীজের ধর্ম নয়।… বীজ গৃহ ছাড়িয়া গৃহান্তরে যায়; জীর্ণ বাস ত্যাগ করিয়া নূতন বসন পরিধান করে। পরিত্যক্ত গৃহ গৃহীর অমনোযোগে ভাঙ্গিয়া যায়; জীর্ণ পরিধান কালক্রমে ছিঁড়িয়া যায়।”
বিজ্ঞাননির্ভর রচনাকে কী ভাবে সরস করে তোলা যায়, তার উদাহরণ ‘ফলিত জ্যোতিষ’ প্রবন্ধটি। ঠগবাজ জ্যোতিষ সম্পর্কে এখানে তিনি লিখেছেন, “রামচন্দ্র খাঁয়ের পুত্রের জন্মকালে বুধগ্রহ যখন কর্কট রাশিতে প্রবেশ করিয়াছে, তখন্ সেই পুত্র ভাবীকালে ফিলিপাইনপুঞ্জের রাজা হইবেন, তাহাতে বিস্ময়ের কথা কী?… আবার চন্দ্রোদয়ে সমুদ্রের বক্ষ স্ফীত হইয়া উঠে, ইহা যখন কবি কালিদাস হইতে বিজ্ঞানী কেল্বিন পর্যন্ত সকলেই নির্ব্বিবাদে স্বীকার করিতেছেন, তখন সেই চন্দ্র বৃহস্পতির সমীপস্থ হইলে লুই নেপোলিয়নের দৌহিত্রের শিরঃপীড়া কেন না ঘটিবে?... চন্দ্রের আকর্ষণে গঙ্গার জোয়ার হয়, তবে রামকান্তের জজিয়তি কেন হইবে না, এরূপ যুক্তিও চলিবে না।” প্রমাণহীন ফলিত জ্যোতিষ গ্রহণে তাই তাঁর আপত্তি।
সাধারণের কথ্য ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। ১৩২০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে টাউন হলের ওই সভায় বিজ্ঞান সভাপতির ভাষণে তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য— “পদার্থবিদ্যায় বাংলা পারিভাষিক শব্দের একান্ত অভাব রহিয়াছে, তাহা স্বীকার করি তবে অধ্যাপনার সময়ে ইংরেজি পারিভাষিক শব্দের বাংলা অনুবাদ যে নিতান্ত আবশ্যক তাহাও বোধ করি না। পারিভাষিক শব্দগুলি ইংরেজি রাখিয়া ও সাঙ্কেতিক চিহ্নগুলির ইংরেজি রাখিয়াই আর সমস্ত কথা প্রকাশ করা যাইতে পারে। কোন স্থানে ঠেকিতে বা ঠকিতে হয় না।”
রামেন্দ্রসুন্দর বিশ্বাস করতেন, শুধু পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর দেহতত্ত্ব নিয়েই বিজ্ঞান নয়। মানবতত্ত্বও বিজ্ঞানের অংশ। ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন— “যেন পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র আর দেহতত্ত্ব লইয়াই বিজ্ঞান! যেন কলের গাড়ীতে আর টিনের কানিস্তারেই বিজ্ঞান সীমাবদ্ধ! মানবতত্ত্ব যেন বিজ্ঞানের পরিধির বাহিরে… বিজ্ঞান— বিশেষ জ্ঞান। যাহা কিছু জ্ঞানের বিষয়, তাহা বিজ্ঞানের বিষয়—আব্রহ্মস্তম্ব পর্যন্ত।” এখানেই সুরেশচন্দ্র সমাজপতির মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ, “নিজত্বে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের সম্মিলন হইলে যাহা হয়, তাহাই রামেন্দ্রসুন্দর। জ্ঞানে ও বিজ্ঞানে, ধর্ম্মে ও সাহিত্যে গোঁড়ামির স্থান নাই, কিন্তু নিজত্বের যথেষ্ট অবকাশ আছে, রামেন্দ্রসুন্দর নিজের জীবনে বাঙ্গালীর উত্তর-পুরুষের জন্য এই ইঙ্গিত রাখিয়া গিয়াছেন।”
রামেন্দ্রসুন্দর তাঁর ‘সৌন্দর্য্যবুদ্ধি’ প্রবন্ধে লিখেছেন, “যাবতীয় মুখ্য মানব ধর্ম্ম প্রাকৃতিক নির্ব্বাচনে উৎপন্ন হইয়াছে, ইহা স্বীকার করা যাইতে পারে।… কিন্তু সৌন্দর্য্যবুদ্ধি মানব ধর্ম্ম। ইহাতে তাহার অন্য লাভ কিছুই নাই; কেবল বিনা কারণে খানিকটা আনন্দ লাভের উপায় ঘটিয়াছে মাত্র।” কী ভাবে সেই আনন্দ লাভ হয়? বন্ধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘পঞ্চভূত’ গ্রন্থের ‘সৌন্দর্যের সম্বন্ধ’ প্রবন্ধে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “ভাবের সত্যমিথ্যা অনেকটা ভাবনার উপরে নির্ভর করে। আমি একভাবে এই বর্ষার পরিপূর্ণ নদীটিকে দেখিতেছি, আর ঐ জেলে আর-এক ভাবে দেখিতেছে; আমার ভাব যে এক চুল মিথ্যা এ কথা আমি স্বীকার করিতে পারি না।…” রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়, ১৩০১ বঙ্গাব্দে। আর রামেন্দ্রসুন্দরের প্রবন্ধ ১৩০৭ বঙ্গাব্দে। গভীর শ্রদ্ধা ও প্রীতির সম্পর্ক ছিল দু’জনের। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধেও নেমেছিলেন এক সঙ্গে। রামেন্দ্রসুন্দর লিখলেন ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’। আর রবীন্দ্রনাথ করলেন রাখিবন্ধন উৎসব। ১৯০৫-এর ১৬ অক্টোবর, অন্য বিশিষ্টদের সঙ্গে রাখি হাতে পথে নেমেছিলেন তাঁরা দুজনেই। জালিয়ানওয়ালা বাগ কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রবীন্দ্রনাথ যখন নাইট উপাধি ত্যাগ করছেন, তখন রামেন্দ্রসুন্দর মৃত্যুশয্যায়। খবর পেয়ে বার্তা পাঠালেন কবির কাছে, “আমি উত্থানশক্তিরহিত। আপনার পায়ের ধূলা চাই।”
রবীন্দ্রনাথ এলেন। কথা হল। রবীন্দ্রনাথ বড়লাট লর্ড চেমসফোর্ডের কাছে লেখা উপাধি ত্যাগের পত্রটি পড়ে শোনালেন। কবি চলে যেতেই তন্দ্রামগ্ন হলেন রামেন্দ্রসুন্দর। আর খুলল না তাঁর দু’চোখ। দিনটি— ৬ জুন ১৯১৯। তাঁর মৃত্যুশয্যা ছুঁয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলে উঠলেন, “আমাদের চক্ষের সম্মুখে বিদ্যার একটা বড় জাহাজ ডুবিয়া গেল।”
তথ্যঋণ: সাহিত্য সাধক চরিতমালা- ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আচার্য্য রামেন্দ্রসুন্দর- নলিনীরঞ্জন পণ্ডিত (সম্পাদিত), পথিকৃৎ রামেন্দ্রসুন্দর- ডঃ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রামেন্দ্রসুন্দর জীবনকথা- আশুতোষ বাজপেয়ী, রামেন্দ্র-রচনাবলী- ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস (সম্পাদিত), রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী: এক নতুন অনুধাবন- দিলীপকুমার সিংহ (সম্পাদিত)
সৌজন্য: উদয়শঙ্কর বর্মা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy