পূর্বানুবৃত্তি: রফিক মিয়াঁর কাছ থেকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয় রুদ্র। অন্য দিকে সুনীল আর সন্তোষী উত্তরবঙ্গের বাংলা-বিহার সীমান্তের এক গ্রামে একটি নিষিদ্ধ পল্লিতে তদন্তের কাজে যায়। সেখানে ভিকি নামে এক দালালকে জেরা করে সন্তোষী, কিন্তু সে কিছুই কবুল করে না। এ দিকে রুদ্র আসে মৌলালি মোড়ের কাছে এক চেনা রেস্তরাঁয়। সেখানে সোনাগাছির ‘নাইট ড্রিম’ ফ্ল্যাটবাড়ির দাপুটে মালকিন ঊর্মিলা সিং আগ্রাওয়ালি আর রফিক মিয়াঁর সঙ্গে তার মিটিং।
রাত সাড়ে এগারোটা। দাদারে ডক্টর সমর্থের নার্সিং হোমের সামনে এসে দাঁড়াল ঝাঁ চকচকে কালো রঙের বিশাল একটা মার্সিডিজ বেঞ্জ। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে ঝটিতি নেমে এসে পিছনের দরজাটা খুলে দিল সাদা ইউনিফর্ম পরা ড্রাইভার। তার পর সসম্ভ্রমে সরে দাঁড়াল এক পাশে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে এল বোরখায় শরীর ঢাকা এক জন। সাধারণ ভারতীয় রমণীর তুলনায় অনেকটাই দীর্ঘাঙ্গী। ডান হাতের কব্জিতে মোটা একটা প্ল্যাটিনামের বালা। নকাবের আড়ালে শুধু চোখজোড়া দেখা যাচ্ছে। কোনও দিকে না তাকিয়ে সোজা নার্সিং হোমের ভিতরে ঢুকে গেল মহিলা।
ঢুকেই সামনে ছোট রিসেপশন ডেস্ক। মাঝবয়সি মহিলা রিসেপশনিস্ট। দেখামাত্র উঠে দাঁড়াল সসম্ভ্রমে।
“ডক্টর সমর্থ সে অ্যাপয়েন্টমেন্ট হ্যায়,” মুখের পর্দা সরিয়ে ফিসফিসে গলায় বলল দীর্ঘাঙ্গী।
“ইয়েস ম্যাডাম। ডক্টরসাহাব আপ হি কা ইন্তেজার কর রহে হ্যাঁয়,” শশব্যস্তে বলে উঠল রিসেপশনিস্ট। পরমুহূর্তেই ফোনের রিসিভারটা তুলে নিয়ে ডাকল কাউকে। ওপর থেকে তড়িঘড়ি নেমে এল এক জন আয়া, “ম্যাম কো ডক্টরসাহাব কা পাস লে যাও।”
বলল রিসেপশনিস্ট। আয়ার পিছু-পিছু লিফটের দিকে এগিয়ে গেল দীর্ঘাঙ্গী।
নার্সিং হোম থেকে মিটার তিরিশেক দুরে দাঁড়ানো ডিপ মেরুন কালারের একটা গাড়ি। গাড়ির মধ্যে বসা উসমান গ্যাংয়ের দুটো ছেলে। আফসর আর জনি। গাড়ি থেকে নেমে মহিলা নার্সিং হোমের ভিতরে ঢুকে যেতেই মোবাইলটা কানে তুলে নিল আফসর, নিচু গলায় বলল, “হানিফভাই, মাল গোডাউন মে ঘুস গিয়া।”
ফোনের ও প্রান্তে হানিফ, “ঠিক হ্যায়, ম্যায় উসমান ভাইকো খবর করতা হুঁ। তুলোগ আব নিকাল লে উঁহা সে।”
শোনামাত্র গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা জনির দিকে তাকাল আফসর, “জলদি কাল্টি লে ইঁহা সে,” এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে গেল মারুতি ভ্যান।
খান্ডালার একটা নিরালা রিসর্টে বলিউডের নামী সাইড ক্যারেক্টার অ্যাকট্রেস শীলা কক্করের পাশে শুয়েছিল কালিয়া উসমান। এই মুহূর্তে দু’জনেই জন্মদিনের পোশাকে। ঠিক তখনই বেজে উঠল বিছানার পাশে রাখা ফোনটা। কানে তুলতেই লাইনের ও পারে হানিফ, “আফসর কা ফোন আয়া থা ভাই, মাল গোডাউন মে ঘুস গিয়া।”
“বহোত বড়িয়া!” সোল্লাসে শীলার সুডৌল নিতম্বে সজোরে একটা চাপড় মারল উসমান।
প্রায় ঘণ্টাতিনেক বাদে নিভে গেল অপারেশন থিয়েটারের দরজার ওপর লাল লাইটটা। হাতের গ্লাভ্সজোড়া খুলতে খুলতে বেরিয়ে এলেন ডক্টর সমর্থ। ঘুরে তাকালেন পাশে দাঁড়ানো সিস্টারের দিকে, “টপ ফ্লোর কা ওহ বেস্ট কেবিন মে ম্যাডাম কা রহনে কা ইন্তেজাম কিজিয়ে।”
“ওকে স্যর,” ঘাড় নেড়ে চলে গেল সিস্টার। পকেটে হাত ঢোকালেন ডাক্তার। এখনই জায়গামতো খবরটা পৌঁছে দিতে হবে।
ভোর ভোর স্নান সেরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল শ্রীপর্ণা। মনের মধ্যে শিরশিরে উত্তেজনার একটা স্রোত বয়ে চলেছে অবিরত। সঙ্গে এক বুক উদ্বেগ। সময় পেরিয়ে গেছে। এ মাসে পিরিয়ড হয়নি এখনও। তবে কি... সারা শরীর থরথর করে কাঁপছিল শ্রীপর্ণার। কালই এক বার সদর হাসপাতালে যেতে হবে। মানুষটার মুখটা মনের মধ্যে ভেসে উঠছে বার বার। কত দূরে বসে রয়েছে সেই কলকাতায়। খবরটা শুনে কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করবে? চোখমুখের অবস্থাই বা কেমন হবে? লোকটাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে। দ্রুতপায়ে ঘরে ঢুকে এল শ্রীপর্ণা। টেবিলের ওপর পড়ে থাকা মোবাইলটা তুলে নিতে গিয়েও সিদ্ধান্ত বদলাল শেষ মুহূর্তে। অবাক একটা সলাজ হাসি চোখদুটোয় আর ঠোঁটের কোণে! নাঃ, আরও একটা মাস যাক। ডাক্তার দেখানো আর জরুরি টেস্টগুলো হোক। তার পর না হয়... দেয়ালঘড়িটার দিকে তাকাল শ্রীপর্ণা। ছ’টা বেজে চল্লিশ। একটু বাদেই মেয়েরা এসে পড়বে। অনেকটা দূর যেতে হবে আজ। সেই কলসগ্রামের দিকে। নতুন একটা মেয়েদের গ্রুপ খোলা হয়েছে ওখানে। তাদের ট্রেনিং সেশন রয়েছে। যত সকাল সকাল সম্ভব বেরিয়ে পড়া দরকার। এ দিকে মাঝি চাচাকেও খবর দিয়ে রাখা আছে গতকালই। নৌকো নিয়ে নিশ্চয়ই এত ক্ষণে এসে গেছে ঘাটে। যা হোক দুটো নাকেমুখে গুঁজে নেওয়া দরকার তার আগে। রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াল শ্রীপর্ণা।
পড়ন্ত বিকেলের সোনাগাছি। ঠান্ডাটা জাঁকিয়ে পড়েছে আজ। সন্ধের মুখে ব্ল্যাকের মদের দোকানে হুড়োহুড়ি, মাতালের হল্লা, রাস্তার ভিড়ভাড়াক্কা, ঠেলাঠেলি, খিস্তিখাস্তা, চেল্লাচিল্লি, বেলফুলওয়ালার লম্বা হাঁক, পারফিউম-অ্যালকোহল-বিরিয়ানির মেলানো মেশানো গন্ধ, রাস্তা আর গলির মুখে ভিড় জমাতে থাকা রংচঙে ফ্লাইং মেয়েরা, সব মিলিয়ে জমে উঠতে শুরু করেছে সোনাগাছি। অবিনাশ কবিরাজ রো-এ ‘নাইট ড্রিম’ নামের বাড়িটার দোতলায় নিজের ঘরে বিমর্ষ মুখে বসে ছিল বাড়ির মালকিন ঊর্মিলা সিং আগ্রাওয়ালি। সন্ধের মুখে ব্যস্ত সময়। সেজেগুজে প্রস্তুত হয়ে নেওয়া মেয়েরা, কাস্টমারদের বগলদাবা করে দালালদের আনাগোনা, এ সব কিছুই যেন চোখে পড়ছে না ঊর্মিলার। মনটা বড় ভারী হয়ে আছে আজ। রুদ্রসাহাবের কাছে বহোত বড়া মুখ করে বলে এসেছিল, এক হফতার মধ্যে একটা কোন খবর দেবেই। এক হফতার জায়গায় এক মাহিনা হতে চলল, খবরকা কোই পতা নেহি। পুরা ফওজ লাগিয়ে দিয়েছে কেসটার পিছে। লেকিন কোথাও থেকে কোনও টিপ আসছে না। রুদ্রসাহাব মানুষটার সঙ্গে অনেক পুরানা রিস্তা। পুলিশ আর ইনফর্মারের বাইরেও বরাবরের কৃতজ্ঞতার সম্পর্ক। সেই কত কাল আগের কথা। ঊর্মিলার একমাত্র ভাই সুরজ। এ পাড়ার আর দশটা ছেলের মতোই মদ, অওরত আর জুয়ার নেশা, সব মিলিয়ে বেধড়ক আওয়ারা জিন্দেগি, মাত্র বাইশ-তেইশ সাল উমরেই চলে গেছিল কঠিন লিভারের অসুখে। সুরজকা একলওতা বেটা রাজা। রাজকিশোর। নিঃসন্তান ঊর্মিলার জান কা টুকড়া! ও চেয়েছিল, রাজা কিছুতেই এ মহল্লার ছোকরাদের মতো এখানে বড় হবে না। রান্ডির বেটা, জিন্দেগিভর পায়ের ওপর পা তুলে বসে রান্ডির কামাই খাবে, মওজমস্তি করবে, এ রকম একটা চিরকেলে ধারণাকে বেমালুম নাকচ করে, একলওতা ভাতিজাকে পড়ালিখা শরিফ আদমি বানানোর ভূত সওয়ার হয়েছিল ঊর্মিলার মাথায়। পানির মতো রুপিয়া খরচ করে রাজাকে পড়তে পাঠিয়েছিল দার্জিলিঙের কনভেন্ট স্কুলে। রাজা স্কুল পাশ করে বেরনোর পর খুশিতে পুরা মহল্লায় মিঠাই বিলিয়েছিল ঊর্মিলা। আগ্রাওয়ালিদের খানদানে রাজাই প্রথম স্কুলের বেড়া টপকেছিল।
কলকাতার নামী একটা মিশনারি কলেজে ভর্তি হয়েছিল রাজা। বেশ কয়েক লাখ টাকা ডোনেশন দিতে হয়েছিল। পরোয়া নেই, আপনা ভাতিজা তো ইনসান কা তরহা ইনসান বনেগা, ভেবেছিল ঊর্মিলা। কিন্তু সেখানেই ঘটে গেছিল অঘটনটা।
সোনাগাছিতে নয়, নিউ আলিপুরের দিকে ঊর্মিলার কিনে দেওয়া একটা ফ্ল্যাটে থাকত রাজা। দিনরাত সেখানে কলেজের বন্ধুবান্ধবদের যাওয়া-আসা, হইহুল্লোড়, রাতভর পার্টি, বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো শহরের রাস্তায়। কলেজে রাজার সহপাঠিনী তনুজা লাখোটিয়া। রাজার মতোই ফার্স্ট ইয়ার, একই ক্লাস। ক্লাসমেটের সম্পর্ক বদলে গেছিল একটু একটু করে। এর পর হঠাৎই এক দিন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছিল তনুজা। ওর বাপ-কাকারা শহরের নামজাদা ব্যবসায়ী পরিবার। একই সঙ্গে প্রচণ্ড প্রভাবশালী। কেসটা এসে পড়েছিল রুদ্রর হাতে। দিনতিনেক বাদে নিউ আলিপুরে রাজার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তনুজা। ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী, একুশ পেরোয়নি, তার ওপর এক জন কোঠাওয়ালির ভাতিজার সঙ্গে… তনুজার রক্ষণশীল পরিবারের ইজ্জতে চোট লেগেছিল প্রচণ্ড। মাইনর গার্ল ইলোপের কঠিন কেস কানেকশন চেপে গেছিল রাজার ওপর। সব মিলিয়ে ওর জীবন যখন বরবাদ হওয়ার মুখে, একটা শেষ চেষ্টা করেছিল ঊর্মিলা। এক দিন সরাসরি পৌঁছে গেছিল রুদ্রসাহাবের চেম্বারে। সঙ্গে একটা চামড়ার ব্যাগ-ভর্তি টাকা। ব্যাগের চেন টেনে খুলে রেখে দিয়েছিল টেবিলের ওপর। বলেছিল, এর পুরোটাই সাহাবের। বদলে শুধু রাজাকে খালাস করানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আজও মনে আছে, কথাটা শোনার পর মানুষটার সারা শরীর থেকে আগুন ঝলসাচ্ছিল যেন। দানোয় পাওয়া চোখের দৃষ্টি।
“এক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাগের চেন বন্ধ করে বেরিয়ে যাও ঘর থেকে! নয়তো ওই একই কেসে এক্ষুনি লকআপে ভরে দেব তোমাকেও। সারা জীবন পিসি-ভাইপো এক সঙ্গে থাকবে,” বরফের মতো ঠান্ডা গলায় বলেছিল সাহাব। মাথা নিচু করে উঠে দাঁড়িয়েছিল ঊর্মিলা। দরজায় পা দেওয়ার মুখে করুণ চোখে ঘুরে তাকিয়েছিল এক বার, “রাজাকে খালাস করিয়ে দিন সাহাব। ইসকে বদলেমে জো ভি মাঙ্গিয়েগা, দেনে কে লিয়ে তৈয়ার হ্যায় হাম।”
জবাবে অদ্ভুত চোখে কয়েক সেকেন্ড কী যেন ভেবেছিল লোকটা। তার পর চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বলেছিল, “ফোন নম্বরটা রেখে যাও, দরকারে ফোন করব।”
সেই রাতেই ফোন এসেছিল ঊর্মিলার কাছে। কথা হয়েছিল অনেক ক্ষণ। এর পরেই মোড় ঘুরতে শুরু করেছিল কেসের। কোনও রহস্যময় কারণে মামলা তুলে নিয়েছিল তনুজার বাড়ির লোকেরা। তবে কানাঘুষোয় ঊর্মিলা শুনেছিল, লাখোটিয়াদের এক বিজ়নেস পার্টনার হঠাৎই খুন হয়ে গেছিল বছরকয়েক আগে। কলকাতার খতরনাক এক সুপারি কিলার ধরা পড়ে ডিডি-র হাতে, ঘটনার মাসখানেক পর। লকআপে রগড়ানির মুখে লাখোটিয়াদের এক ভাইয়ের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা সুপারি নেওয়ার কথা কবুল করেছিল মালটা। ওপরমহলে প্রভাব খাটিয়ে কেসটা চেপে দিয়েছিল লাখোটিয়ারা। সেকশনে যে অফিসার কেসটা এনকোয়ারি করছিলেন, তিনি রিটায়ার হয়ে যাওয়ার পর ক্লোজ়ড ফাইলটা এসে পড়েছিল রুদ্রর হাতে। ফাইলটা নিয়ে সরাসরি লাখোটিয়াদের অফিসে পৌঁছে গেছিল রুদ্রসাহাব। হেসে জিজ্ঞেস করেছিল, ফাইলটা ফের ওপেন করবে কি না। যা বোঝার বুঝে গেছিল লাখোটিয়ারা। ফলে মামলা তুলে নিতে আর বেশি সময় লাগেনি। মাসখানেকের মধ্যে খালাস পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল রাজা।
জান সে পেয়ারা ভাতিজা ছাড়া পাওয়ায় খুশিতে পাগল হয়ে গেছিল ঊর্মিলা, “রুপিয়া তো আপনি নেবেন না সাহাব, তার বদলে কী নেবেন? সির্ফ বতাইয়ে এক বার। জান ভি মাঙ্গিয়েগা তো কবুল হ্যায়।”
ফোন করে বলেছিল সাহাবকে। জবাবে উল্টো দিক থেকে গম্ভীর গলার আওয়াজ, “জান বা রুপিয়া, কোনওটাই চাই না। তার বদলে তোমার দোস্তি চাই, খবর চাই। তুমি খুব ভাল করেই জানো, আন্ডারওয়ার্ল্ডের তাবড় তাবড় সব খলিফা নানা ধরনের ক্রাইম করে শেল্টার নেয় তোমাদের মহল্লায়। তাদের মধ্যে এমন যদি কেউ থাকে যাকে আমি খুঁজছি, তার কোনও খবর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবে আমাকে। ঠিক আছে?”
“ঠিক হ্যায় সাব,” জবাব দিতে এক মুহূর্ত সময় নেয়নি ঊর্মিলা আগ্রাওয়ালি। ও প্রান্তে কেটে গিয়েছিল লাইনটা।
কথা রেখেছিল ঊর্মিলা। মাসতিনেক বাদে মালা নামে একটা মেয়ের ঘর থেকে জালে উঠেছিল হুগলির ত্রাস, কুখ্যাত তোলাবাজ রমেন সাঁতরা ওরফে কালীপটকা। কলকাতা আর সল্টলেকের অন্তত এক ডজন প্রোমোটারকে তোলা চেয়ে ধমকি আর সাতটা খুনের কমপ্লেন ছিল ওর নামে। অনেক দিন ধরে ওকে খুঁজছিল রুদ্র।
সেই থেকে একটা অন্য রকম সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দু’জনের মধ্যে। যা শুধুমাত্র টাকাপয়সা বা পুলিশ-ইনফর্মারের কেজো সম্পর্ক দিয়ে মাপা যায় না। সেই রুদ্রসাহাবকে আজ একটা খবর দিতে পারছে না ঊর্মিলা, এ আফসোস রাখার জায়গা কোথায়? হতাশা মেশানো একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল ঊর্মিলার বুক থেকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy