স্মৃতিচিত্র: সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। ডান দিকে, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তিনি। ছবি সৌজন্যে: আলোকচিত্র অভিলেখ্যাগার, রবীন্দ্রভবন।
বছরের প্রথমেই, অর্থাৎ ১২৯২ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর সম্পাদনায় ‘বালক’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশ পেল। পঁচিশ বছর বয়সি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এই পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষ। তাঁর কথায় জানা যায়, দাদা সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর আগ্রহেই বালকদের পাঠ্য এই সচিত্র কাগজ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত হয়— ‘তাঁহার ইচ্ছা ছিল, সুধীন্দ্র, বলেন্দ্র প্রভৃতি আমাদের বাড়ির বালকগণ এই কাগজে আপন আপন রচনা প্রকাশ করে।’ প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত তেরোটি রচনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের লেখা ছিল পাঁচটি। দু’টাকা মূল্যের এই প্রথম সংখ্যায় ‘দার্জিলিং-যাত্রা’ নামে একটি ভ্রমণকাহিনি ছাপা হল, তাতে ছিল, ‘...তিন-দরিয়া থেকে যখন গাড়ি ছাড়ল, তখন চতুর্দিকে মেঘ, ঘন কুয়াশার মতো সাদা হয়ে চারিদিক ঘিরে রয়েছে। মেঘের ভিতর দিয়ে গাড়ি চলতে লাগল। আশেপাশের ঘরবাড়ি ছাড়া দূরের কিছুই দেখা যায় না, সমস্ত মেঘে ঢাকা। এক ক্রোশ উপরে যখন গাড়ি উঠল তখন ঝমঝম করে বৃষ্টি হতে লাগল। বৃষ্টি হচ্ছে, মেঘ ঈষৎ কেটে আসছে, নীচের পাহাড়ে চেয়ে দেখি সেখানে দিব্যি রৌদ্র ফুটফুট করছে। এই অপরূপ আশ্চর্য দৃশ্য দেখতে দেখতে মনে হল পৃথিবী ছেড়ে উপরে স্বর্গের পথে যাচ্ছি।...’
আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে সাতাশ বছর বয়সি এক যুবকের এই লেখা পড়ে ভ্রমণপথের অপূর্ব দৃশ্য যেন আজও চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এঁরই পরিচয় দিতে রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতি’-র শুরুতে লেখেন— ‘আমরা তিনটি বালক একসঙ্গে মানুষ হইতেছিলাম। আমার সঙ্গীদুটি আমার চেয়ে দুই বছরের বড়ো।...’ সঙ্গী দু’জনের এক জন রবীন্দ্রনাথের সহোদর সোমেন্দ্রনাথ এবং অপর জন এই ভ্রমণকাহিনির লেখক, সম্পর্কে কবির ভাগ্নে হলেও বয়সে বড়, সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের দু’জনকে গাড়ি চড়ে স্কুলে যেতে দেখে বালক রবি কেঁদেছিলেন এবং গৃহশিক্ষকের চপেটাঘাত-সহ উপদেশ শুনতে হয়েছিল— ‘এখন ইস্কুলে যাবার জন্য যেমন কাঁদিতেছ, না যাবার জন্য ইহার চেয়ে অনেক বেশি কাঁদিতে হইবে।’
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের বড় মেয়ে সৌদামিনী দেবীর প্রথম পুত্র সত্যপ্রসাদ সে বার ‘বালক’ পত্রিকায় বেশ কয়েকটি ছবিও এঁকেছিলেন। পরের সংখ্যায় দার্জিলিং-সংক্রান্ত তাঁর আরও একটি ভ্রমণকাহিনি বেরোল, নাম ‘কাঞ্চন-শৃঙ্গা’। এই পত্রিকায় আষাঢ় সংখ্যায় এক ধরনের নতুন খেলা, ‘প্রবাদ প্রশ্ন’-র প্রবর্তনও করেন তিনি। ঠাকুরবাড়ির রীতি অনুযায়ী সত্যপ্রসাদের পিতা সারদাপ্রসাদ ঠাকুরবাড়ির ঘরজামাই ছিলেন। সেই সুবাদে সত্যপ্রসাদ মহর্ষির ছেলেদের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছিলেন। কবি এক বার মৈত্রেয়ী দেবীকে ছেলেবেলার গল্প বলেছিলেন, ‘সত্য উপুড় হত, আমি তার পিঠে চড়ে আমসত্ত্বর হাঁড়ি নামাতুম। পণ্ডিতমশায় ঐটি পেয়ে ঠাণ্ডা থাকতেন।’
রবীন্দ্রনাথ ও সোমেন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যপ্রসাদেরও উপনয়ন দিয়েছিলেন দেবেন্দ্রনাথ। ছোটবেলায় জোড়াসাঁকোর বাহিরবাড়িতে রাস্তার ধারের লম্বা বারান্দায় খেলতে খেলতে সত্যপ্রসাদ তাঁর ছোটমামাটিকে ভয় দেখানোর জন্য ‘পুলিসম্যান’ ‘পুলিসম্যান’ বলে হাঁক দিলে বালক রবি ভয়ে একছুটে অন্তঃপুরে গিয়ে সোজা মায়ের কাছে আশ্রয় নিত।
সত্যপ্রসাদ বরাবরই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। কবির কথায়, ‘আমাদের তিনজনের মধ্যে সত্যই পড়াশোনায় সেরা ছিল।’ পরীক্ষায় ভাল রেজ়াল্টের জন্য প্রায়ই পুরস্কার পেতেন এবং বালক রবি গুণেন্দ্রনাথের কাছে খুব গর্বের সঙ্গে সেকথা বলতেন, ‘গুণদাদা, সত্য প্রাইজ পাইয়াছে।’ গুণেন্দ্রনাথ ছিলেন মহর্ষির তৃতীয় ভাই গিরীন্দ্রনাথের ছোট ছেলে। ১৮৮১ সালে একুশ বছরের যুবক রবীন্দ্রনাথের যখন দ্বিতীয় বার বিলেত যাওয়া ঠিক হল, অভিভাবকরা সত্যকেও বিলেতের কুপার্স হিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঠের জন্য রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১১ এপ্রিল কলকাতা বন্দর থেকে ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ নামক জাহাজে চেপে ইংল্যান্ডের দিকে যাত্রা করেন মামা-ভাগ্নে। তবে জাহাজ চেন্নাই পৌঁছনোর পর সত্যপ্রসাদ নাকি কবিকে বলেছিলেন, ‘চলো, ফেরো।’ কারণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘ভান করিল অসুখ— রক্ত আমাশয়। সে কথাই বিশ্বাস করিয়াছিলাম।... তাহার সঙ্গেই ফিরিলাম।... সত্যর এই আচরণে বিরক্ত হইয়াছিলাম কিন্তু কিছু বলি নাই।’ ফিরে এলে অভিভাবকরা খুব প্রসন্নমনে ব্যাপারটিকে গ্রহণ করেননি, অথচ আশ্চর্য ব্যাপার, দেবেন্দ্রনাথ কিন্তু সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
১৩০৩ সালের ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার কার্তিক সংখ্যায় একটি বিজ্ঞাপনে, ‘প্রতিমূর্ত্তি সমেত/ রবীন্দ্রবাবুর কাব্য গ্রন্থাবলী / প্রকাশিত হয়েছে। ইহাতে কুড়ি খানি কাব্য মুদ্রিত হইয়াছে।... এই গ্রন্থাবলী তিন প্রকার সংস্করণে বাহির হইতেছে। সুলভ...মধ্যম... এবং উৎকৃষ্ট সংস্করণ।’ শেষে লেখা, ‘আমার নিকট প্রাপ্তব্য শ্রীসত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। ৬ নং দ্বারকানাথ ঠাকুরের লেন, জোড়াসাঁকো কলিকাতা।’ এই বিজ্ঞাপনের বয়ানই সাক্ষ্য দেয় যে, কবির লেখা প্রথম কাব্য গ্রন্থাবলির প্রকাশক ছিলেন কবির এই ভাগ্নে। বইয়ের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথের স্বীকারোক্তি ছিল এমন, ‘আমার সমস্ত কাব্যগ্রন্থ একত্র প্রকাশিত হইল। এজন্য আমার স্নেহভাজন প্রকাশকের নিকট আমি কৃতজ্ঞ আছি।’ ৪৭৬ পৃষ্ঠার এই বইটি এক হাজার কপি ছাপিয়ে ছিলেন সত্যপ্রসাদ। যদিও এর দশ বছর আগে, ১২৯৩ সনে সত্যপ্রসাদ নিজের খরচে রবীন্দ্রনাথের ২৪২ পাতার উপন্যাস ‘রাজর্ষি’ এক হাজার কপি ছাপিয়ে প্রকাশ করেছিলেন।
‘গাহর্স্থ্য নাট্যসমিতি’ বা ‘খামখেয়ালী সভা’ কিংবা ‘সাধনা’ বা ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার পরিচালন সমিতি— সত্যপ্রসাদ ছিলেন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কার্যাধ্যক্ষ। দেবেন্দ্রনাথ তাঁর এই বড় নাতিটির উপর খুবই ভরসা করতেন। এই কারণেই ১৮৯৭ সালের জুলাই মাসে মাসিক দু’শো টাকা বেতনে তাঁকে ঠাকুরবাড়ির সেরেস্তার ম্যানেজার পদে নিযুক্ত করেন। তখন থেকেই ঠাকুরবাড়ির আয়ব্যয়ের হিসেবের খাতায় তিনি ‘একজামিনড’ বলে সই করলে তবে তাঁর, নীচে চোখ বন্ধ করে রবীন্দ্রনাথ প্রতিস্বাক্ষর করতেন। সে সময় দেবেন্দ্রনাথ বয়সজনিত কারণে চোখে ভাল দেখতে পেতেন না, তাই যাবতীয় মাসিক জমাখরচের সংক্ষিপ্তসার মাসের প্রথমে মহর্ষির কাছে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দিতে হত। পরে সেই গুরুদায়িত্ব পালন করতেন সত্যপ্রসাদ। সত্যপ্রসাদের হিসেবের খাতা থেকে জানা যায়, ঠাকুরবাড়ির অনেককেই তিনি টাকা ধার দিয়ে সঙ্কটমুক্ত করেছেন। রবীন্দ্রনাথও শান্তিনিকেতন আশ্রমে কুয়ো খোঁড়ার জন্যও ১৯০৮ সালে সত্যপ্রসাদের কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন। বিলেতে যাওয়ার জন্য এক বার সত্যেন্দ্রনাথকেও তিনি তিরিশ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। এই ভাবেই সত্যপ্রসাদ ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের কাছে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন।
মহর্ষির শেষ উইলটি সলিসিটর মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়নাথ শাস্ত্রী এবং সত্যপ্রসাদের সাক্ষাতেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। উইল তৈরির পর পরিবারের সদস্যদের অনেকেই মনঃক্ষুণ্ণ হন। পারস্পরিক দোষারোপও চলতে থাকতে। রবীন্দ্রনাথও তখন শান্তিনিকেতনে আশ্রম গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন। ফলে বৈষয়িক ব্যাপার থেকে নিজেকে ক্রমশ সরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন। এই অবস্থায় ঠাকুরবাড়ির একতলায় বিধবা মা সৌদামিনী দেবী ও স্ত্রীপুত্র-সহ বসবাসের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও এক রকম বীতশ্রদ্ধ হয়ে সত্যপ্রকাশ তাঁর সেরেস্তার কাজে ইস্তফা দিতে চাইলেন। এ কথা জানার পর রবীন্দ্রনাথ তড়িঘড়ি করে তাঁকে ১৯০২ সালের ১৮ এপ্রিল চিঠি লিখে জানান, ‘তোমার চিঠি পেয়ে যথার্থই মনটা বড় ব্যথিত হল। বিষয়কর্ম্মের যে শ্রান্তি ও লাঞ্ছনা তা আমি হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছি। ...তুমি যে শান্তির জন্যে লালায়িত হয়ে চিঠি লিখেছ সে ভাবটা আমি মনের মধ্যে বেশ বুঝতে পারচি।’ আরও বলেছেন, ‘কিন্তু তুমি অবসর নিলে সমস্ত কাজ অচল হয়ে উঠবে। ...আমাকে আবার দৌড়াদৌড়ি করে মরতে হবে— আর ত সে পারব না।’ কেন দূরদর্শী মহর্ষি-সহ গোটা ঠাকুর পরিবার বিষয়আশয়ের মতো জটিল ব্যাপারে তাঁর উপর নির্ভর করতেন, সে কথা রবীন্দ্রনাথের কলমে সে দিন ফুটে উঠেছিল, ‘আমাদের সংসারের ভার তোমার উপরে থাকাই ঠিক— কারণ তুমি আত্মীয় অথচ আমাদের সংসারের ফলভোগী নও। আমাদের নিজেদের মধ্যে যে কেউ কাজ দেখবে তাকেই অন্যেরা অবিশ্বাস ও ঈর্ষা করবে, মনে করবে সে গোপনে নিজেরই সুবিধা করে নিচ্চে।’ সত্যপ্রসাদের জায়গায় বাইরের কেউ নিযুক্ত হলে যে তিনি টিকবেন না, রবীন্দ্রনাথ সে কথা চিঠিতে পরিষ্কার করে লিখেছিলেন সেদিন। ফলে এই ভাগ্নেকেই অনুরোধ করেন কাজটি করে যেতে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে সহজেই বোঝা যায়, তৎকালীন বঙ্গদেশের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের পারিবারিক কূটকচালি কেমন ছিল। সে যাত্রায় সত্যপ্রসাদ রবীন্দ্রনাথের অনুরোধে থেকে যান এবং ঠাকুরবাড়ির দেখাশোনার তদারকিও আগের মতোই করে যান।
১৯০৫ সালে মহর্ষির দেহত্যাগের পর জোড়াসাঁকোর বাড়ি ফাঁকা হতে শুরু করে। বহু আগেই সত্যেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচী চলে গিয়েছেন। কবির বড় ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথেরও গোটা পরিবার শান্তিনিকেতনবাসী, রবীন্দ্রনাথও দু’দশক ধরে যাতায়াত করেন, টানা থাকেন না। কবির আর এক দাদা হেমেন্দ্রনাথের পুত্ররা এ বাড়িতে থাকলেও বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। ফলে সদর কাছারিতে ম্যানেজার হিসেবে সত্যপ্রসাদই নিজের পরিবার-সহ সেখানেই থাকতেন।
১৯০৯ সালে জোড়াসাঁকোর সঙ্গে সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করে কাশী চলে যাওয়ার জন্য অব্যাহতি চান সত্যপ্রসাদ। এ বার রবীন্দ্রনাথ কষ্ট পেলেও রাজি হন। মর্মাহত হয়ে তাঁকে লিখেছিলেন, এ বাড়ির সঙ্গে তাঁর আজন্মকালের বন্ধন, বাড়ির সমস্ত ইটকাঠের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন। ‘তারপরে তোমার উপরে খুব একটা নির্ভরের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেছে। অমনিই ত জোড়াসাঁকো শূন্যপ্রায়— তুমি ওখানে থাকলে তবু মনে হয় বাড়ি বলে একটা পদার্থ আছে। ...তুমি চলে গেলে বাড়িটা অনেকটা পান্থশালার মত হয়ে দাঁড়াবে। ...এই জন্যেই যতদিন পারা যায় তোমাকে এখানে ধরে রাখবার চেষ্টা করা যাচ্ছিল।’ শেষে বলেছেন এক অমোঘ কথা, ‘জোড়াসাঁকো ত আমাদের পক্ষে ফাঁক হয়ে এসেছে এবারে তুমি গেলে আরো ফাঁক হয়ে যাবে।’ পরের বছর জানুয়ারি মাস থেকে তাঁর মাসিক দেড়শো টাকা পেনশন মঞ্জুর হয়।
তবে টান আস্তে আস্তে আলগা হয়ে আসছিল সত্যপ্রসাদের। ১৯২০ সালে মা সৌদামিনী দেবী মারা যাওয়ার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ১৯২৩ সালে জোড়াসাঁকোর সঙ্গে সুদীর্ঘ ৬৪ বছরের সম্পর্কের বন্ধন কেটে সত্যপ্রকাশ ভদোদরায় পুত্র সুপ্রকাশের কাছে চলে যান। জোড়াসাঁকোর প্রাঙ্গণ ক্রমশ শূন্য হয়ে ওঠার সেই শুরু।
তথ্য ও গ্রন্থঋণ: বালক পত্রিকা বৈশাখ, ১২৯২; জীবনস্মৃতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশ্বভারতী; রবীন্দ্রজীবনী ১ম-৩য় খণ্ড- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী; রবিজীবনী ১ম-৯ম খণ্ড - প্রশান্তকুমার পাল, আনন্দ; রবীন্দ্রভবন, বিশ্বভারতী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy