পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে নতুন করে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। সেই আবহেই কি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার আতঙ্কে ভুগছে পাকিস্তান? সোমবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফ দাবি করেন, ‘‘আমরা আমাদের বাহিনীকে তৈরি রাখছি।’’ কেন তিনি এই মন্তব্য করেছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পহেলগাঁও হত্যালীলার জন্য ভারত কাঠগড়ায় তুলেছে পাকিস্তানকে। যদিও পাকিস্তান প্রথম থেকেই দাবি করছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি ‘নিরপেক্ষ তদন্তেরও’ দাবি জানিয়েছে তারা। পহেলগাঁও-কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় ভারত বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ‘শক্তি প্রদর্শনও’ করেছে ভারতীয় বাহিনী। তবে সরাসরি নয়, ভিডিয়োর মাধ্যমে।
ভারতের হুঁশিয়ারির পর এ বার নিজেদের বাহিনী তৈরি রাখছে পাকিস্তান। আসিফের কথায়, ‘‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আমরা সেই পথেই হাঁটছি।’’ শাহবাজ শরিফের সরকারের মন্ত্রীর দাবি, ‘‘ভারতীয় আক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরকারকে জানিয়েছে।’’ তবে কোনও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি আসিফ।
আরও পড়ুন:
আসিফের দাবি, ‘‘পাকিস্তান উচ্চ সতর্কতা পরিস্থিতিতে রয়েছে।’’ ভারত এবং পাকিস্তান— দুই দেশের কাছেই রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। অনেকের আশঙ্কা, ভারত এবং পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে! এই প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘‘আমাদের অস্তিত্বের উপর যদি সরাসরি হুমকি থাকে, কেবল তখনই পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করা হবে।’’ পাকিস্তানকে আগেও সতর্ক থাকার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেছিলেন, ‘‘আমরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’’ ইতিমধ্যেই পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির পাক সেনার নির্দিষ্ট কয়েকটি কোর এবং ইউনিটকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
জ্যোতির বিদেশ সফরের খরচ জুগিয়েছিল দুবাইয়ের এক সংস্থা! তাদের পাকিস্তান-যোগ এখন হরিয়ানা পুলিশের নজরে
-
মোদি, রাজনাথের মুখে পরমাণু হুমকি প্রসঙ্গ, বিদেশ সচিব জানালেন হুমকি দেয়নি পাকিস্তান
-
‘১৭ বছর ধরে ভারতে কাজ করছি, আমরা তো ভারতীয়ই’! কোর্টে তুরস্কের সংস্থা, কী যুক্তি কেন্দ্রের
-
‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রাণ— চোখে চোখ রেখে বদলা, পাকিস্তানি সেনাদের মেরে ঘাঁটি গুঁড়িয়েছে পুঞ্চ ব্রিগেড
-
‘আমি ওর সঙ্গে কাশ্মীরেও গিয়েছি’ কলকাতার বন্ধু সৌমিত কী জানালেন জ্যোতির সফর নিয়ে