ছবি: মহেশ্বর মণ্ডল
এখানেই কোথাও কপালকুণ্ডলার মন্দির। গাড়ির গতি কমাল প্রিয়দর্শী। টিনের চালে ছাওয়া ছিমছাম একটা ছোট বাড়ির সামনে বেতের চেয়ারে বসে রোদ পোয়াচ্ছে মধ্য-পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। খালি গা, লুঙ্গি পরা। গাড়িটা থামাতেই হল। সামনে ক’টা ফুলগাছ আর বেগুনের চারা। লোকটার মুখটা চেনা প্রিয়দর্শীর। ভীষণ চেনা। সাড়ে তিন কিংবা চার দশক পেরিয়েছে বটে, বিস্রস্ত চুলগুলো কিন্তু একই রকমের। শুধু রংটা বদলেছে, ঘনত্বও কমেছে খানিক। মুখও কিছুটা ভাঙাচোরা। সময়ের ছাপ স্পষ্ট। গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে প্রিয়দর্শী জিজ্ঞেস করল মন্দিরের পথ। লোকটা কথা না বলে গভীর আলস্যে হাত তুলে সামনের দিকটা দেখিয়ে দিল। মোটর-সওয়ারিদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত ওরা।
গাড়ি থেকে নেমে পড়ল প্রিয়দর্শী। সুকন্যা অবাক। একেই গ্রামের বাড়িতে দু’টো দিন কেটে গিয়েছে। কলকাতায় অজস্র কাজ। প্রিয়দর্শী নিয়ম করে মাসে এক বার গ্রামের বাড়িতে এলেও সুকন্যা ন’মাসে ছ’মাসে এক বার শ্বশুর-ভিটেয় তার সঙ্গী হয়।
ফেরার পথে এ বার কপালকুণ্ডলার মন্দির দেখাটা প্রিয়দর্শীর আইডিয়া। আগে মাঝে মাঝেই ওরা হারিয়ে যেত এমনই সব অজানা জায়গায়। এমন হয়নি বহু দিন। তবে আজ একটা বিয়ের নেমন্তন্ন আছে। কলকাতায় ফিরে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। এর মধ্যে প্রিয়দর্শী আবার গাড়ি থেকে নেমে সময় নষ্ট করছে! সুকন্যা বিরক্ত হল।
প্রিয়দর্শী কিন্তু পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল লোকটার দিকে। এত দিন পরেও লোকটাকে চিনতে তার ভুল হয়নি একেবারেই। প্রিয়দর্শী নিশ্চিত। কিন্তু সেই সঙ্গে যে আরও এক জনের খবর চাই তার। চাই ছেলেবেলা থেকে জমে থাকা জীবন নিয়ে অনেক অচেনা প্রশ্নের অজানা উত্তরও। লোকটাও হতবাক। বারান্দার এক পাশে মাছ বিক্রির বড় হাঁড়ি, পাত্র আর দাঁড়িপাল্লা। মাছের আঁশটে গন্ধ। প্রিয়দর্শীর মিলে যাচ্ছে সব। সে লোকটাকে বলল, ‘‘এক গ্লাস জল খাওয়াতে পারেন?’’ লোকটা খানিক আগে ইচ্ছে করে কথা বলছিল না, আর এখন বাক্রুদ্ধ। সে এ বার হাঁক দেয়, ‘ফুলমণি...’ ব্যস! প্রিয়দর্শী এই নামটাই শুনতে চাইছিল। তার সামনে খুলে গিয়েছে বহু বছর আগেকার থমকে যাওয়া এক রহস্যের দরজা। গ্লাস হাতে দরজা ঠেলে বেরিয়ে আসে এক বৃদ্ধা। মধ্য সত্তরের। এটা বোঝা যায় যে, এক সময় বেশ আকর্ষণীয়া ছিল এই রমণী। চোখ দু’টো বেশ বড় বড়। এক দিন এই চোখে প্রিয়দর্শী এক সঙ্গে দেখেছে কান্নার স্রোতস্বিনী আর চিতার লেলিহান শিখা।
কপালকুণ্ডলার মন্দির দেখা হল। কলকাতার পথে এখন প্রিয়দর্শী আর সুকন্যা। প্রিয়দর্শীর মধ্যে যে গ্রামীণ অতীত দানা বেঁধে আছে, তা মাঝে মাঝেই ডানা ঝাপটায়। এ কারণে অতীতেও বহু বার বিব্রত হতে হয়েছে সুকন্যাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে তাদের প্রেমপর্বের সময় থেকেই। তবে আজকাল তার প্রকাশ কমে আসছিল অনেকটাই। আজকের ঘটনায় তাই সুকন্যা তার নিজের স্বভাবেই চুপ করে গিয়েছে। এটাই ওর রাগ প্রকাশের অভিব্যক্তি। এ সব ক্ষেত্রে প্রিয়দর্শী কিঞ্চিৎ হালকা চালে কথা বলে রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করে। এটাই তাদের কেমিস্ট্রি। আজ কিন্তু প্রিয়দর্শীর নজর নেই সে দিকে। সুকন্যার অভিমান তাই আরও বাড়ে। প্রিয়দর্শী কি চেনে ওই লোকটা আর ওই বুড়িকে? বুড়িটা ওই লোকটার কে? ডাকল নাম ধরে, কিন্তু লোকটার চেয়ে তো বয়সে অনেক বড়!
প্রিয়দর্শীও যেন একটা ঘোরের মধ্যে। ছোটবেলা থেকে বয়ে চলা এক রহস্যের সমাধান হয়েছে আজ। ফুলমণি ওদের গ্রামেরই মেয়ে। ওর বরও। মানে আগের বর। স্বপন। স্বপন এক কালে ছিল খুব গরিব। কপর্দকশূন্য শ্রমিক। তবে খাটতে পারত খুব। কাঠ চেরাইয়ের কাজ করত। পরিশ্রম আর বুদ্ধি দিয়ে কী করে যেন কিনে ফেলল ছোটখাটো একটা চেরাই কল। চল্লিশ পার করেই স্বপন গ্রামের মোটামুটি ধনীদের এক জন হয়ে উঠেছিল। পুজো-পার্বণে আর ফাংশনে মোটা চাঁদা দেওয়া শুরু করল। সে বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় বুড়ো বটতলায় শিবের মাথায় যে ঘটা করে জল দেওয়া হল, তখনকার খাওয়া-দাওয়ার পুরো খরচটাই স্বপনের দেওয়া। শীতলা মন্দিরের চাতালের খড়ের চালাটা বদলে অ্যাসবেস্টস করার টাকাটাও দিয়েছিল স্বপন। ফুলমণিকে যখন বিয়ে করে স্বপন, তখন তার প্রায় ভাত জোটে না এমন অবস্থা। চেহারা, চাকচিক্য, বিদ্যেবুদ্ধিতে স্বপন ছিল নিতান্তই সাদামাটা। ফুলমণির মতো আকর্ষণীয় বৌ তার কী করে জুটল সেটাও আশ্চর্যের। স্বপনের মতো গোমড়ামুখোকে কী কোনও দিনই পছন্দ করেছিল ফুলমণি? আসলে প্রিয়দর্শীরা তখন বেশ ছোট।
তথ্যগুলোকে জিগ্স ধাঁধার খাঁজে খাঁজে বসানো তাই বেশ কঠিন প্রিয়দর্শীর পক্ষে।
হঠাৎই একটা দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে গেল স্বপন। ফুলমণির তখন ভরা যৌবন। পাঁচ ছেলে-মেয়ের মা হলেও। এমন সময়েই ফুলমণি প্রেমে পড়ে খোকনের। তাকে প্রেম বলবে না কি নিছকই এক অবৈধ সম্পর্ক, তা নিয়ে পরবর্তী কালে প্রিয়দর্শীর সঙ্গে অনেক তর্ক হয়েছে তার সে সময়কার গ্রামের বন্ধুদের— হারু, বীরেন, বাবুল, মাকু আর বাপ্পার। সে সময়ে ওরা প্রাইমারির একদম শেষ ধাপে। যা-ই হোক, খোকনের তখন বয়স বছর কুড়ি, একটু কমও হতে পারে। গ্রামের হাটখোলার বাজারে মাছ বিক্রি করত। ফুলমণির বড় ছেলের থেকে সামান্যই বড় হবে খোকন। দেশ-গাঁয়ে এমন ঘটনা লুকোচাপা থাকে না একদম। প্রথমে ঢি-ঢি, তার পর উত্তাল হয়ে ওঠে পরিবেশ। জটিলতা বাড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিবেশী, ক্লাব, মাতব্বররা। খোকনও একাধিক দিন মার খায়। গ্রামের কী সব সভা-টভার ছেলেদের কাছে।
তার পর ঠিক কী হয়েছিল মনে নেই প্রিয়দর্শীর। তবে পরিষ্কার মনে আছে, ফুলমণির একটা বিচারসভা বসেছিল গ্রামের শীতলা মন্দিরের চাতালে। প্রিয়দর্শী, বাবুল, মাকুর দল দাড়িয়াবান্ধা খেলছিল সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। বড়বাড়ির বাগানের পাশের মাঠে। গ্রামের মাতব্বররা, ক্লাবের হত্তাকত্তারা, আর স্বপন-ফুলমণির পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিল বিচারসভায়। সেই বয়সেই প্রিয়দর্শীর মনে হয়েছিল, ঘটনাটা কেমন যেন গোলমেলে। গেল পুজোয় অতগুলো টাকা চাঁদা দিল স্বপন। সে টাকা যারা নিল, সেই ছেলেগুলো কী বিচার করবে? ছিল গ্রামের আরও অনেকেই। কেউ মজা দেখতে। কারও বা স্বপনের উপর তীব্র ঈর্ষা। কারও আবার ফুলমণির উপর অজানা রাগ। আচ্ছা এটাই কি খাপ পঞ্চায়েত? ‘খাপ’ শব্দটা অবশ্য এ অঞ্চলের নয়। আমাদের রাজ্যের সংস্কৃতি নাকি অতটা খারাপ নয়— এ কথাই শুনে এসেছে ছোটবেলা থেকে। কিন্তু এটা কি সেই জিনিসই নয়?
প্রিয়দর্শীর বাবা নারায়ণ ছিলেন গ্রামের স্কুলের হেডমাস্টার। অঙ্ক করাতেন। গ্রামীণ সমাজে কেউকেটা একজন। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েও সামাজিক প্রেক্ষিতে সেই জায়গাটা অর্জন করতে পারেনি প্রিয়দর্শী। না গ্রামে, না কলকাতায় তার পাড়ায়। গ্রামে এখনও সে নারানবাবুর ছেলে। যাই হোক, নারায়ণের কথায় ওজন ছিল, আর তার বিচারের দাম ছিল। ফুলমণির সে বিচারসভায় নারায়ণ কিন্তু যাননি। তাঁকে অবশ্য ডাকতে এসেছিল গ্রামের লোকজন। নারায়ণ যেতে অস্বীকার করলেন। বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, কোনও ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই জোর খাটতে পারে না, খাটা উচিতও নয়।’ মাতব্বররা খুবই হতাশ হয় নারায়ণের কথায়। আপাতদৃষ্টিতে। বাস্তবে হয়তো খুশিই হয় এই ভেবে যে, বিচারসভায় নারায়ণ থাকলে বিচারটা অন্য রকম হয়ে যেতে পারত।
বিচারে পুরোপুরি দোষী সাব্যস্ত হয় ফুলমণি। এমনটাই তো হওয়ার ছিল। প্রিয়দর্শীর মতো বাচ্চারাও জানত। প্রিয়দর্শীর মনে হয়েছিল, যেন চোখ বোজা পেঁচার বিচারে নেড়া বেচারির তিন মাসের জেল আর সাত দিনের ফাঁসি হয়ে গেল। সবার সামনেই ফুলমণির মা আর ভাই কী বেদম মার মারল তাকে! যজ্ঞডুমুরের ডাল ভেঙে। কাউকে অমন মার খেতে প্রিয়দর্শী আর কখনও দেখেনি তার জীবনে। খুব রাগ হয়েছিল বাবার উপরে। মনে হয়েছিল বাবা গিয়ে এক বার দাঁড়ালে ওই মহিলাকে অমন মারার সাহসটাই হত না কারও। বাবা মারা গিয়েছেন গত বছর। তখনও পর্যন্ত ছিল এই ক্ষোভ। কী আশ্চর্য! প্রিয়দর্শী আর তার বন্ধুদের সমস্ত সহানুভূতি কেন যেন জমা হয়েছিল ফুলমণির উপরেই।
অত মার খেল ফুলমণি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে পর দিন সকালে স্বপনের ঘর ছাড়ল। এক কাপড়েই। কিংবা হয়তো অমন মার খেল বলেই ঘর ছেড়ে বেরোতে পারল। ওর ছোট মেয়েটা তখন চার বছরের। একাই বেরিয়ে গেল ফুলমণি। খোকনের সঙ্গে। নতুন ঘর বাঁধবে বলে। গ্রাম ছেড়ে। প্রথম প্রথম বালক প্রিয়দর্শী আর তার বন্ধুরা কানাঘুষোয় শুনেছে যে, ওরা নাকি দূরে কোথাও আছে। এক সঙ্গেই। প্রথম প্রথম অনেকেই বলেছিল, অমন মেয়ে বেশি দিন থাকবে না খোকনের সঙ্গেও। পালাবে অন্য কোথাও। সেটাই ওদের ভবিতব্য। উল্টোটাও বলেছিল অনেকে। খোকনই নাকি ক’দিন পরে পালাবে ওকে ছেড়ে। সেটাই নাকি স্বাভাবিক। প্রিয়দর্শীদের তাই খুব জানতে ইচ্ছে করত এই গল্পের পরিণতি, যা একেবারেই অজানা থেকে গিয়েছিল এত দিন।
পথের ধারের ধাবায় গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয় সুকন্যা। প্রিয়দর্শীর চোখদু’টো আজ ভীষণ অন্য রকম। যেন কোনও এক স্বপ্ন দেখছে। এমন প্রিয়দর্শীকে সে দেখেছে অনেক আগে। ছাত্রজীবনে। স্বপ্নমদির সেই চোখদু’টোকে বহু বছর পরে দেখে বড় ভাল লাগছে সুকন্যার।
প্রিয়দর্শীর মা সুপ্রীতিও বুঝতে পারেননি নারায়ণের সেই বিচারসভায় না যাওয়ার কারণ। প্রিয়দর্শীর মনে পড়ে, বাবা সুপ্রীতিকে বলছিল, ফুলমণিকে জোর করে আটকালে ফুলমণি, তার বর, ছেলে-মেয়ে, খোকন সবারই জীবন হয়ে যাবে অবিন্যস্ত, অসুখী। সেই বয়সে কথাটা বুঝতে পারেনি প্রিয়দর্শী। আজ এত দিন পরে প্রিয়দর্শী অনুভব করছে, বাবা কী তীক্ষ্ণ ভাবে চিনেছিল সমাজের মনকে। এ গল্পের পরিণতিতে দু’টো অন্তত সুখী মানুষ তো দেখা যাচ্ছে। তাই বা কম কিসে! অবশ্য সেটাই এই ব্যালেন্স শিটের নিট রেজ়াল্ট নাও হতে পারে। বালক প্রিয়দর্শীরা শুনেছিল, মেজ ছেলে আর ছোট মেয়ে নাকি ফুলমণির খুব ন্যাওটা ছিল। কখনও
কি কোনও নিভৃত দুপুরে বা হঠাৎ ঘুম-ভাঙা শেষ রাতে ফুলমণি সেই ছেলেমেয়েদের জন্যে কাঁদত— যে কান্নায় আগুন ছিল না, ছিল শুধুই দু’কূল ভাঙা প্লাবন? স্বপনের বাকি জীবনটা চুপচাপ, নিস্তরঙ্গ। সেটা কি হতাশায়, অপমানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে? না কি স্বপনেরও মনের গোপন কোণে ফুলমণির জন্যে ভালবাসা ছিল?
ফুলমণির ছেলেমেয়েরাও বড় হয়। সকলেই বড় হয় সময়ের নিয়মে। মা থাকলেও হয়, না থাকলেও হয়, মা অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গেলেও হয়। ফুলমণির মেজ ছেলের স্বভাবে নিষ্ঠুরতা প্রকট। তার পুরোটাই কি স্বপনের প্রভাব, না কি কোথাও ফুলমণির উপর তীব্র রাগের প্রকাশ? ফুলমণির ছোট মেয়ের তার লম্পট স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে সংসার করার ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা কি কোথাও ফুলমণির ছায়া থেকে তার মুক্ত হওয়ার অক্লান্ত, ব্যর্থ সংগ্রাম?
আজ মনে হচ্ছে, বাবা বেঁচে থাকতে এ সব নিয়ে আলোচনা করতে পারলে বেশ হত। নারায়ণের জীবনে দ্বিধা ছিল কম। সিদ্ধান্ত নিতেন দ্রুত। বাবার জীবদ্দশায় কোনও দিন কপালকুণ্ডলার মন্দির দেখতে যায়নি প্রিয়দর্শী। কেন যে যায়নি! আসলে সমাজের পক্ষে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ, সেটা আজও বুঝে উঠতে পারল না ও। জীবন যত এগোচ্ছে, ততই বিমূঢ়তা আর দ্বিধা যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে তাকে।
আজ কিন্তু বড় শান্তি। বাবার উপরে জমে থাকা এত দিনের অভিমান আজ বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে গিয়েছে। কপালকুণ্ডলার মন্দিরের পথে চোখে পড়ে এক বেগুনের খেত। মনে হয়, বেগুন গাছের কাঁটা-সহ তীক্ষ্ণ ডগাগুলো যেন খাপের দাপট ছিঁড়ে বেরিয়ে যাওয়া এক-একটা খাপ খোলা সম্পর্কের চাবুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy