ছবি মহেশ্বর মণ্ডল।
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ফোন বাজল। রাতে সাধারণত
ফোন সুইচড অফ রাখি, আজ খুলে রেখেছিলাম। বোনের শ্বশুর হাসপাতালে ভর্তি, সেখানে আমার নম্বরই দেওয়া। কারণ আমি হাসপাতালের কাছাকাছি থাকি।
“হ্যালো?” সভয়ে জিজ্ঞেস করি।
“ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি ভাই? কামাল করে দিয়েছ তো।”
কণ্ঠস্বর অচেনা, আবার ‘ভাই’ বলছে! নিশ্চয়ই রং নম্বর, তবু রক্ষে ফোনটা হাসপাতালের নয়। এ বার ভয়ের বদলে বিরক্তির উদ্রেক হল। বোনের শ্বশুরকে নিয়ে বিস্তর টেনশন, ছুটোছুটি গেছে।
“কে আপনি, ঘুম থেকে তুলে জিজ্ঞেস করছেন ঘুমিয়ে পড়েছি কি না... ইয়ার্কি হচ্ছে?”
“তুমি শুভেন্দু তো? চিনতে পারলে না, আমি সুনীল দাস, তোমার নম্বরটা সলিলদার থেকে নিয়ে...”
না, চেনারই কথা। পরিচয় তেমন নেই, আমাদের ফোটোগ্রাফি ক্লাবের মেম্বার। এ বার সংযত হতেই হল, হাজার হোক সিনিয়র।
“সুনীলদা, এত রাতে! কী ব্যাপার?” আমি অবাক হই।
“সবে তো সাড়ে বারোটা! যাকগে, তোমার এত ভাল খবরটা... কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে ভাবলাম এখনই দিই। পার্টি চাই জবরদস্ত, আগাম বলে রাখলাম।”
পাথর-চাপা কপাল আমার। ভাল খবর শেষ কবে পেয়েছি মনে করতে পারলাম না। হেসে বললাম, “ভাল খবরটা কী সেটা তো বলুন!” ভিতরে প্রবল উত্তেজনা।
“নিজে মুখে বলব না ভাই, মেল চেক করো।”
আচ্ছা মুশকিল, কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে ফালতু হেজিয়ে যাচ্ছে। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়!
“সেটা এখনই করা যাচ্ছে না, নেট কানেকশন নেই। পরে দেখে নেব... ছাড়লাম।” ‘ছাড়লাম’ কথাটায় প্রচণ্ড বিরক্তি আর চাপা থাকল না।
“রাগ করলে নাকি? শোনো, তোমার ছবি... কম্পিটিশনে ফার্স্ট প্রাইজ় পেয়েছে।”
এ বার ধন্দে পড়লাম। কত ছবিই তো কম্পিটিশনে দিই... কোনটার কথা বলছেন? ঘুম ছুটে গেছে অনেক ক্ষণ। এ বার রাগ আর বিরক্তির জায়গা নিল কৌতূহল।
“ফার্স্ট প্রাইজ়! আমার ছবি! বিশ্বাস হচ্ছে না দাদা।”
“তবে আর বলছি কী। ক্লাবের মেলে নিজে দেখলাম এইমাত্র।”
“কোন ছবিটা... মানে ছবির টাইটলটা দেখেছিলেন কি?”
“টাইটলটা কী যেন... কী যেন...‘এগজ়োটিক মনুমেন্ট’ গোছের কিছু একটা যেন মনে হচ্ছে।”
‘এক্সট্যাটিক মোমেন্ট’! মুহূর্তে ছবিটা ভেসে উঠল চোখের সামনে। ধড়মড়িয়ে লেপ ছেড়ে উঠে বসলাম।
“সত্যি বলছেন সুনীলদা, ফার্স্ট প্রাইজ়? না, মানে ঠিক দেখে...”
“ওই জন্যই তো বলেছিলাম ভাই, নিজে মেল চেক করো। দেখো, পার্টিতে যেন বাদ না পড়ি। ছাড়লাম, গুড নাইট।”
কম্পিটিশনে ওই ছবিটা গৃহীত হবে এই বিশ্বাস ছিল। তাই বলে একেবারে ফার্স্ট প্রাইজ়! ইচ্ছে হচ্ছিল পাড়াসুদ্ধ সবাইকে তখনই চিৎকার করে জাগিয়ে সুখবরটা দিই। বিশেষ করে তরুণদা, কল্যাণদার মতো ফোটোগ্রাফারদের, যারা নিজেদের ছবির বিরাট বোদ্ধা মনে করে, আমাকে পাত্তাই দেয় না।
পাড়ার ফুটপাতে বসেছিল মেয়েটা। অবিন্যস্ত, রুক্ষ চুল একমাথা। গায়ে ছেঁড়া সোয়েটার। সকালের সূর্যের নরম আলো তেরছা ভাবে পড়েছিল ওর পিঠে। চমৎকার ‘রিম লাইট’ তৈরি হয়েছিল ওকে ঘিরে। হাতে একটা সিনেমা পত্রিকা, ওর তন্ময় দৃষ্টি নিবদ্ধ তারই পাতায়। মুখে লেগেছিল একটা হালকা হাসি। ওই হাসির আভাস আর বইতে নিমগ্ন দৃষ্টি— পারফেক্ট ‘ক্যান্ডিড’ ছবি হয়েই ছিল। চটপট ক্যামেরা বার করে কয়েকটা শট নিলাম।
শাটারের শব্দে মেয়েটা মুখ তুলে চাইল। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মেয়েটির শরীরে প্রাক্-যৌবনের চিহ্নগুলো ফুটে উঠছে। আমায় দেখে লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি সোয়েটার টেনে শরীর ঢাকতে চেষ্টা করল।
“তোর ছবি... দেখবি?”
ধরেই নিয়েছিলাম দেখতে চাইবে। চাইল না, মুখ নিচু করেই মাথা নাড়ল। পকেট হাতড়ে একটা পাঁচ টাকার কয়েন আর পঞ্চাশ টাকার নোট পেলাম। কয়েনটাই বাড়িয়ে দিলাম, “রাখ এটা, কিছু কিনে খাবি।”
দু’দিকে মাথা ঝাঁকাল প্রবল ভাবে। ভীষণ রাগ হল, না নিবি তো বয়েই গেল। কখনওই অল্পে সন্তুষ্ট নয় এরা। পরক্ষণেই মনে হল টাকাটা কম বলে হয়তো নিতে চাইছে না। সত্যিই তো, পাঁচ টাকায় আজকাল কী-ই বা হয়। ক্লাবের স্যরদের নির্দেশ, রাস্তার গরিব বাচ্চাদের ছবি তুললে ওদের হাতে কিছু না কিছু দিতেই হবে। তাই ছবি তুলতে বেরোলে বিস্কুট, চকলেট জাতীয় কিছু একটা রাখতেই হত সঙ্গে। আজ কিছুই ছিল না। অনিচ্ছায় পঞ্চাশের নোটটাই বাড়িয়ে দিলাম। এতগুলো টাকা নিশ্চয়ই ফেরাবে না। কিন্তু আশ্চর্য, এ বারেও টাকাটা ফিরিয়ে দিল!
“ফুলি, গেলি কোথা! ইদিক আয় শিগগির... পেলাস্টিকগুনো কুইড়ে বস্তায় ভর।”
ফুটপাতের অন্য প্রান্তে আবর্জনার স্তূপ ঘেঁটে কাগজ সংগ্রহ করছিল সম্ভবত ওর মা। ফুলি দৌড়ে গেল সে দিকে।
নিজের ছবি দেখায় আগ্রহ প্রকাশ করবে না, তা না-হয় মানা গেল। কিন্তু পঞ্চাশটা টাকা অবলীলায় ফিরিয়ে দেওয়ার স্পর্ধা দেখাবে ভাবিনি। দাতা তার দয়ার দান ছুড়ে দেবে, আর গ্রহীতা কৃতার্থ চিত্তে সে দান কুড়িয়ে মাথা নত করবে— এটাই দস্তুর, এমনটাই তো দেখে এসেছি চিরকাল। কিন্তু সে দিন ওই ছোট্ট মেয়েটা আমাকে বুঝিয়ে দিল, গ্রহীতা অনুগ্রহ করে দান গ্রহণ করলে তবেই দাতা হওয়ার গৌরব। অতটুকু একটা মেয়ের কাছে যেন ছোট হয়ে গেলাম।
কিন্তু ছবির প্রিন্টগুলো দেখে নিজেরই পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে হল। মেয়েটির মুখের ওই খুশির মুহূর্তটা আশপাশের পরিবেশ নিয়ে অসাধারণ ফুটেছে। সব কষ্ট ভুলে ছবিগুলো এক ইন্টারন্যাশনাল ফোটোগ্রাফি কম্পিটিশনে পাঠিয়ে দিলাম। ছবির টাইটল দিলাম—‘এক্সট্যাটিক মোমেন্ট’।
সেই প্রতিযোগিতায় আমার ‘এক্সট্যাটিক মোমেন্ট’ প্রথম হয়েছে। আয়োজক কর্মকর্তারা অভিনন্দন জানিয়ে মেল করেছেন। ফার্স্ট প্রাইজ় আমার নামাঙ্কিত গোল্ড মেডেল, সঙ্গে অর্থমূল্য এক হাজার ডলার আর সার্টিফিকেট। এবং ছবির স্বত্ব বিক্রির জন্য আরও এক হাজার। খবরটা দেশি-বিদেশি সব কাগজে বেরোল ফলাও করে। অভিনন্দনের বন্যা। এক অপেশাদার ফোটোগ্রাফি সংস্থা সংবর্ধনা দেবে বলে আমাকে আমন্ত্রণও জানিয়ে রাখল। রাতারাতি একটা ছবি আমাকে এনে দিল পাদপ্রদীপের আলোয়। খাতির বেড়ে গেল পরিচিত মহলে। দু’দিন আগেও যারা আমাকে আমল দিত না, পার্টিতে তারাও কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে গেল। এমনকি তাদের তোলা ছবির সম্বন্ধে আমার মতামতও চাইল।
পল্লবী এসেছিল লাল গোলাপের তোড়া নিয়ে। ওর বয়ফ্রেন্ড বলে পরিচয় দিলেও বেশ বুঝতাম, ও আমাকে ব্যবহার করত। মডেল হবে বলে নিখরচায় ওর পোর্টফোলিয়ো করিয়ে নিত। অভিনন্দন জানিয়ে সেই পল্লবী বলেছিল, “এখন তোমার অনেক অ্যাডমায়ারার হবে, আমাকে কি আর মনে রাখবে?”
কয়েক মাস পর পার্ক স্ট্রিটের ব্যস্ত এলাকায় বিশাল হোর্ডিং পড়ল এক এনজিও-র। সেই হোর্ডিংয়ে শোভা পাচ্ছে ফুলির ছবি, আমার ‘এক্সট্যাটিক মোমেন্ট’। সুবিশাল ক্যানভাসে কী যে অসাধারণ দেখাচ্ছিল ছবিটা, কী বলব! বিশ্বাসই হচ্ছিল না ওটা আমার কীর্তি। খবরের কাগজে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপনেও ছাপা হল এই ছবি। দুঃখ শুধু এটাই যে, স্বত্ব বিক্রি হয়ে যাওয়ায় ছবির কোথাও আমার নামোল্লেখ ছিল না।
আচ্ছা, ফুলি নিশ্চয়ই এই ছবিটা দেখেনি! কেমন হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওকে নিয়ে গেলে! খুব খুশি হবে নিশ্চয়ই। সে ক্ষেত্রে ওর মায়ের অনুমতি দরকার। ওকে কিছু টাকাও দেব ঠিক করেছি। না, করুণা বা দাক্ষিণ্য নয়, আমার এই আন্তর্জাতিক সম্মানের এক জন শরিকও বটে ফুলি। সেই হিসাবে এটা ওর প্রাপ্য। কিন্তু ফুলিকে পাব কোথায়?
“খালপাড়ের বস্তিতে এক বার খোঁজ নিয়ে দেখতে পারিস,” চায়ের দোকানের নিতাইদা বলল। “কাগজকুড়ুনিরা নাকি সব ও দিকের বস্তিতেই থাকে। এক জন কুড়ুনি আসে এ দিকে, তুই বলেছিলি বলে তাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম।”
এক বিকেলে পৌঁছোলাম খালপাড়ের বস্তিতে। পাঁচ হাজার টাকা নিলাম সঙ্গে, ফুলির মায়ের হাতে দিয়ে আসব। সংবর্ধনায় গেলে ফুলির ভাল পোশাকও তো চাই।
খালধারের বস্তিতে সারি সারি মাটির ঘর। টালি বা খাপরার চালের উপরে পলিথিন চাপানো। চার দিকে পিলপিল করছে মুরগি আর শূকরছানা। কলতলায় জলের বিশাল লাইনে ক্যাঁচরম্যাচর, খিস্তিখেউড়।
একটা বাচ্চা মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, “ফুলি নামে কেউ থাকে এখানে? জানিস?”
পাশেই খাটিয়ায় বসে মোবাইল ঘাঁটছিল এক চ্যাংড়া ‘রোমিও’— রোনাল্ডো-কাটিং চুল, কানে দুল। গালভর্তি থুতু ফেলে অত্যন্ত কর্কশ ভাবে বলল, “ফুলিকে কী দরকার?”
ওর কথায় রাগ হলেও মেজাজ হারালাম না। এটা বোঝা গেল ও ফুলিকে চেনে, আর ফুলি এখানেই কোথাও থাকে। দৃঢ় ভাবে বললাম, “দরকারটা ওর মায়ের সঙ্গে, তাকেই বলব। কোথায় থাকে ওরা?”
সন্দেহের দৃষ্টিতে আমায় আগাগোড়া মেপে নিয়ে ছেলেটা অদূরে একটা ঘর দেখিয়ে দিল।
ইতিমধ্যে সন্ধে হয়েছে। কোনও কোনও ঘরে টিভিতে বাংলা সিরিয়াল চলছে। ফুলির ঘরের সামনে এসে দেখলাম দরজা খোলা, ভিতরে সাড়াশব্দ নেই। আলো জ্বলছে টিমটিম করে। ঘরের বাইরে স্তূপীকৃত কাগজের বস্তা। মনে হয় ঠিক জায়গায় এসেছি। অপেক্ষা করা ঠিক হবে কি না ভাবছি, কলসি কাঁখে এক মহিলাকে আসতে দেখলাম। সামনে এসে মহিলা বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল, “কে তুমি... কাকে চাই?”
“ফুলির মা, থাকে এখানে?”
“কী দরকার?”
“তাকেই বলব।”
খুব সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে আমায় আপাদমস্তক দেখে সে বলল, “বলো, কী বলবে।”
বেশ গর্ব করেই ফুলির ছবি, পুরস্কার এ সব সবিস্তারে বলছি, ওর মা চোখ কপালে তুলে বলল, “তুমিই তাইলে ওর ফটোক দিয়েছ? কী দোষ করিচি বাবা যে গরিবের এত বড় সব্বোনাশ কল্লে?”
আকাশ থেকে পড়লাম। কী বলছে! ইতস্তত করে বললাম, “সর্বনাশ... কেন?”
কলসিটা নামিয়ে ফুলির মা বলল, “সব্বোনাশ নয়? ওই ফটোক দেখা এস্তক পাড়ার যত শ্যাল-শুকুনির নজর পড়েছে আমার ওই একরত্তি মেয়েটার ওপরে। তোমরা কি বাবা আমাদের বাঁচতেও দেবেনে?”
বলা বাহুল্য, এমন কথা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল।
“বাপ-মরা মেয়েটারে আগলে আগলে রাখি। ওই ফটোক দেখে এখেনকার ছোঁড়ারা সব টোন-টিটকিরি মারতে লাগল, হাত ধরে টানাটানিও করতে লাগল। মেয়ে আমার ভয়ে কাঁটা হয়ে দোরে খিল দিয়ে থাকত আর কানত। কে ওকে সারা দিন আগলে রাখবে বলতে পারো? কাজে না বেরোলে আমাদের মা-ঝিয়ের দুটো পেট...”
বলতে বলতে কান্নায় ধরে এল ফুলির মায়ের গলা। এর পর আর সংবর্ধনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলি কোন মুখে? ইতিমধ্যে কথার মাঝে সেই ‘রোমিও’ হাজির। এ বার একটু গলা তুলে রুক্ষ ভাবেই ওকে চলে যেতে বললাম। ও চলে গেলে টাকাটা বার করে ফুলির মাকে বললাম, “এতে পাঁচ হাজার আছে, এখন এটা রাখো। ওকে নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়ো... পরে আরও কিছু দেব।”
“ট্যাকা চাইনি বাবা, আমরা ভিকিরি নই। ফুলির থাকা-খাওয়ার একটা কাজ দেখে দাও না ভাল ঘরে।”
টাকাটা যে ভিক্ষার দান নয়, ফুলির প্রাপ্য, সেটা ওর মাকে বোঝানো গেল না। বললাম, “দেখব চেষ্টা করে। এক বার দেখা করা যায়, ফুলির সঙ্গে?”
আশপাশ দেখে চাপা গলায় ফুলির মা বলল, “সইরে দিইচি ওরে। নইলে ছিঁড়ে খেত ওরা।”
কেমন যেন অপরাধী মনে হতে লাগল নিজেকে। যার কারণে আমি এলাম পাদপ্রদীপের আলোয়, পরিস্থিতি তাকেই ঠেলে দিল অন্ধকারে? কে ভেবেছিল আমার ‘খুশির মুহূর্ত’ শেষে পূর্ণ হবে বিষাদে! ফুলির এই পরিণতি মানতে পারছিলাম না কিছুতেই।
ফিরছিলাম গভীর মন খারাপ নিয়ে। মনে হচ্ছে, আমি যে সম্মান পাব, তার জন্য চরম মূল্য দিতে হল আর কাউকে! হঠাৎ আক্রমণ নেমে এল অতর্কিতে। অন্ধকারে কয়েক জন আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে টাকা, মোবাইল সমস্ত ছিনিয়ে নিল। ওদের মুখ ঢাকা ছিল। গলায় ছুরি ঠেকিয়ে বলল, “ফুলিকে তুলতে আসছিস তো লাশ ভাসবে খালে... ইয়াদ রাখনা।”
এই সংবর্ধনাটাই বড় বেশি উপযুক্ত মনে হল নিজের জন্য। অন্ধকারে মিলিয়ে যাওয়ার আগে দেখলাম, এক জনের কানে জ্বলজ্বল করছে দুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy