Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৪
Bengali Story

দৈবাদিষ্ট

ধনুকে গুণ বেঁধে টঙ্কার তুলে একটি তির নিক্ষেপ করে বসুষেণ, উদ্যানের মধ্যবর্তী একটি বৃক্ষের কাণ্ড ভেদ করে তা মাঝামাঝি পর্যন্ত ঢুকে যায়।

ছবি: রৌদ্র মিত্র

ছবি: রৌদ্র মিত্র

সৌরভ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ ০৫:৫৩
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: গুরু দ্রোণের অধীনে রাজপুত্রদের অস্ত্রশিক্ষা স্বস্তি দেয় রাজ্যের জনসাধারণকে। তাঁদের আশা, কুরু রাজপুত্ররাই এক দিন শত্রুরাজ্য মগধ ও পাঞ্চালকে উচিত শিক্ষা দেবে। অন্য দিকে, রাজসারথি অধিরথের পুত্র বসুষেণ তার পিতার কাছে এক আশ্চর্য অভিযোগ আনে দ্রোণাচার্যর বিরুদ্ধে। তিনি নাকি পক্ষপাতদুষ্ট এবং কপট। বসুষেণের পর্যবেক্ষণ, তাঁদের অস্ত্রগুরু গোপনে কিছু গূঢ় অস্ত্রশিক্ষা দেন অর্জুন এবং অশ্বত্থামাকে। স্বভাবদক্ষ ধানুকী বসুষেণ এতে বঞ্চিত বোধ করে। অধিরথকে উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থানে এনে বসুষেণ বলেন, “পিতা, এই শরক্ষেপণটি দেখুন।”

ধনুকে গুণ বেঁধে টঙ্কার তুলে একটি তির নিক্ষেপ করে বসুষেণ, উদ্যানের মধ্যবর্তী একটি বৃক্ষের কাণ্ড ভেদ করে তা মাঝামাঝি পর্যন্ত ঢুকে যায়। অধিরথ স্মিত হাসেন। তিনি জানেন, এই সামান্য জিনিস দেখানোর জন্য পুত্র তাঁকে এখানে আনেনি। তিনি প্রতীক্ষা করেন।

বসুষেণ এ বার একটি অদ্ভুত কাজ করে। ধনুর্গুণটিতে সে সুতীব্র টান লাগায়, পেশিগুলিকে প্রবল করে সর্বশক্তিতে মোচড় দেয় কার্মুকে। অধিরথ জানেন, তাঁর পুত্রের ধনুটি সাধারণ ধনুর চেয়ে কিছু বেশিই দীর্ঘাকার, সেটি যে-কেউ ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু সেই ধনুটি নিয়ে এ কী করতে চাইছে রাধেয়?

আশ্চর্য! এত ক্ষণ যে-ধনু ঈষৎ অর্ধডিম্বাকার ছিল, প্রচণ্ড টানে সেটি সম্পূর্ণ নিটোল এক অর্ধবৃত্তে রূপান্তরিত। ছিলাটির দৈর্ঘ্য কমে গিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। পূর্বের চেয়ে তার টান যে কয়েক গুণ বর্ধিত হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিচিত ধনুকেরই এমন অদ্ভুত আকার ও প্রয়োগ— অধিরথের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বাইরে।

এ বার সেই আকৃতি-পরিবর্তিত ধনুতে এক দীর্ঘ ও শাণিতাগ্র শর যোজনা করে বসুষেণ, দৃঢ় ও বলবান অঙ্গুলিতে আকর্ণবিস্তারী টান দেয়। অতি তীক্ষ্ণ-গম্ভীর, প্রায় অনৈসর্গিক এক টঙ্কার-ধ্বনি ওঠে। এমন নিনাদ যা শিহরিত করে অধিরথের রোমরাজি। সেই লোমহর্ষ অঙ্গে নিয়েই তিনি যা দেখলেন, তাতে তাঁর চক্ষুদু’টিও বিস্ফারিত হল মুহূর্তে। তিনি দেখলেন, জ্যামুক্ত শরটি বাতাসে অতি প্রখর শিসধ্বনি তুলে বিদ্যুৎগতিতে— একটি গাছ নয়, সরলরেখায় দাঁড়ানো পর পর পাঁচটি গাছ ভেদ করে চলে গেল!

“বুঝতে পারলেন, পিতা? রণভূমিতে এক শরে বিপক্ষের কত জন ব্যূহবদ্ধ পদাতিকের দেহভেদ করা সম্ভব, এই প্রক্রিয়ায়? এই ধরনের শরপ্রয়োগকেই অত্যুক্তিমণ্ডিত করে ‘শতঘাতী’ ইত্যাদি নাম দেওয়া হয়ে থাকে! এক শর থেকে নাকি শত শর উদ্ভূত হয়, ইত্যাদি...! তা নয়, এটি আসলে এক গুপ্ত কৌশল।”

অধিরথ প্রবল বিস্ময় সংযত করে বললেন, “এই কি সেই গূঢ় বিদ্যা, যার কথা লোকেবলাবলি করে?”

“হ্যাঁ। এক সামান্য উদাহরণ; কিন্তু সমগ্র বিদ্যাটি বিপুল ও বিচিত্র। এই যা দেখলেন, এ তার অতি ক্ষুদ্র এক ভগ্নাংশ মাত্র,” বসুষেণের নাসারন্ধ্র সামান্য স্ফুরিত হল, “আচার্যের অভিসন্ধি বুঝতে পারার পর, মাত্র দু’দিন— আমিও অশ্বত্থামা-অর্জুনের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ার মতো ঢুকে পড়েছিলাম ধাতুশালায়। আচার্য বিরক্ত হচ্ছিলেন বুঝতে পেরেও আমি হাল ছাড়িনি, পিতা। আমার উপস্থিতিতেই তিনি তাদের শিক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন, যদিও আমার সঙ্গে বাক্যালাপ করছিলেন না। আমি ওই দু’দিনেই ইঙ্গিত পেয়েছি— পরশুরামের থেকে পাওয়া ‘মন্ত্রসিদ্ধ গুপ্ত বিদ্যা’র অন্যতম পাঠ হল প্রাথমিক ভাবে অস্ত্রের গঠন ও কর্ম-প্রক্রিয়াটির বিজ্ঞানসম্মত ধারণা এবং তার কিছু অভিনব প্রয়োগ! পদার্থবিদ্যা মাত্র। মন্ত্র-টন্ত্র ইত্যাদি অলৌকিক কিছু নয়!”

অধিরথ বিস্মিত চক্ষে তাকিয়ে আছেন। রাধেয় আবার বলে, “আরও আছে, এর পরবর্তী স্তর। সেইটিই ধনুর্বেদের চূড়ান্ত সিদ্ধি। গুপ্ত কিছু রসায়ন, বিবশক কিছু ওষধি বা নতুন প্রকারের মারণ-বিষ, যা অস্ত্রমুখে প্রয়োগ করলে অকল্পনীয় ফলশ্রুতি! অদ্ভুত সব জাদুকরী প্রভাব আনতে পারে রসায়ন-প্রয়োগ-সমৃদ্ধ শর! বাণের আঘাতে প্রতিপক্ষকে তীব্র অগ্নিদাহের যন্ত্রণা দেওয়া যায়। তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল ও বোধশক্তি বিভ্রান্ত করে শত্রুমিত্রজ্ঞান লোপ পাইয়ে দেওয়া যায়। চলচ্ছক্তিহীন ও অর্ধনিদ্রিত পর্যন্ত করা যায়। এমন বাণ আছে যার প্রভাবে তীব্র স্নায়বিক বৈকল্য ঘটে, আহত যোদ্ধার মনে হয় সে ভূগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে! আরও আছে দুর্লভ এবং ভয়ঙ্করতম হননক্ষম রসায়নলিপ্ত বাণ, যেগুলি সর্বশ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ ছাড়া কারও অধিগম্যই নয়। সমরশাস্ত্রে এই সমস্ত বিস্ময়-অস্ত্রকেই ‘দিব্যাস্ত্র’ নামে অভিহিত করা আছে; কোনওটি অগ্নিবাণ, কোনওটি ত্বাষ্ট্র, কিংবা সম্মোহাস্ত্র, কিংবা ভৌমাস্ত্র!”

“তবে ওই কক্ষ নিছক কামারশালানয়, রসায়নাগারও!”

“অভ্রান্ত, পিতা! এই গূঢ়বিদ্যার অন্তিম ধাপই হল সেই অদ্ভুতকর্মা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। অভাবনীয় ভয়ঙ্কর তথা হননক্ষম। সাধারণের উপর প্রয়োগ নিষেধ!”

“শুনেছি, সমগ্র জম্বুদ্বীপে মহাত্মা গঙ্গাপুত্র ছাড়া অন্য কোনও ক্ষত্রিয়ের নেই এই ব্রহ্মাস্ত্রের জ্ঞান!” বললেন প্রৌঢ় সূত।

“তাই ভীষ্ম অপরাজেয় বীর। সমস্ত ধনুর্ধর যে প্রয়োগ শেখার জন্য ব্যাকুল— তা এই শ্রেষ্ঠতম কারিগরি আর উন্নততম রসায়নের মণিকাঞ্চন। দৈবাস্ত্র, ব্রহ্মাস্ত্র, ব্রহ্মশির... কিন্তু নির্বাচিত ব্যক্তি ভিন্ন তা আদৌ শেখানো হবে না। এই হল দ্রোণের গোপন, রুদ্ধদ্বার শিক্ষার রহস্য! এরই এক নিতান্ত সামান্য নমুনা এইমাত্র আপনি প্রত্যক্ষ করলেন, এই কার্মুক-কৌশল। একেবারে ভিত্তির পাঠ...”

“কিন্তু, এই যে কৌশল এইমাত্র দেখলাম, এতে নির্মাণ-কারিগরির কোন জ্ঞান...”

বসুষেণ ম্লান হাসে, “আছে, পিতা। ধনুর্বাণ নিয়ে যারা যুদ্ধ করে, সাধারণত তারা কেউ ধনুকের কারিগরি-জ্ঞান রাখে না। তার উপাদান-বস্তুটির স্থিতিস্থাপকতা, প্রসার-সঙ্কোচনের রহস্য, জ্যা-এর কম্পাঙ্ক নিয়ন্ত্রণের তত্ত্ব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা স্বল্প-প্রচলিত। পিতা, আমিও এই প্রথম জানলাম— প্রত্যেকটি ধনুর নিজস্ব ঘাতসহতা আছে, বৃত্তচাপের ভিন্ন-ভিন্ন কৌণিক মাত্রা। জ্যা-আরোপের ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে প্রতিটি কার্মুকে সেই স্বতন্ত্র গাণিতিক-জ্যামিতিক মাত্রাগুলি প্রবর্ধিত বা হ্রস্বায়িত করা সম্ভব— কিন্তু একমাত্র তবেই, যদি ধানুকী স্বয়ং সেই বিজ্ঞানটির সম্পর্কে পাঠ নেয়! আমি এই ধনুতে যে কর্মটি এইমাত্র করে দেখালাম, কোনও অজ্ঞ ধনুর্ধর এটি প্রয়োগ করতে গেলে হয় ধনুটি ভেঙে ফেলবে, নতুবা তার জ্যা ছিন্ন হয়ে যাবে, নচেৎ নিজেই আহত রক্তাক্ত হবে!”

“বাণটিও যেন কিঞ্চিৎ অন্য রকমের দেখলাম!”

“একেবারেই! ওর অগ্রমুখ কোমল ধাতুর নয়, যা সাধারণ ধানুকীর সংগ্রহে থাকে। এটি বিশেষ প্রক্রিয়াজাত, কঠিন ও দৃঢ়ীকৃত লৌহে নির্মিত। এই বিশেষ গুপ্ত ধাতুবিদ্যা আচার্য দ্রোণের আয়ত্ত আছে। কিন্তু এটি তিনি কেবল অর্জুনকে শেখাবেন, এ কেবল তার তূণীরেই থাকবে! আমি এই একটিমাত্র শর...,” বলতে গিয়ে ঈষৎ কম্পিত হল বসুষেণের স্বর, “আমি... আমি... তাঁর অলক্ষে... গোপনে সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছি, পিতা! হ্যাঁ, চৌর্য ভিন্ন উপায় ছিল না!”

অধিরথ স্তব্ধ হয়ে শুনলেন। তারপর বললেন, “কিন্তু... গুরু দ্রোণ কি তোমাকে চূড়ান্ত ওশ্রেষ্ঠ বিদ্যাগুলি দিতে প্রত্যক্ষ ভাবে অস্বীকার করেছেন, রাধেয়?”

“দ্রোণ ব্যক্তিটি অতি চতুর, পিতা। শুধু চতুর নয়, হীনচেতা। নিজের অভিপ্রায় পূরণের জন্য নীচ ছলনা পর্যন্ত করতে পারেন অবলীলায়!” বসুষেণ অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত নিজের চিবুকে স্পর্শ করায়, কয়েক পল চুপ করে থাকে, তার পর বলে, “আমি কাল এর একটা শেষ দেখব স্থির করেছি!”

আজ নিজের আশ্রম-বেষ্টনীর বাইরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছেন দ্রোণাচার্য। মাঝে মাঝে এমন মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাদানও প্রয়োজন। বিশেষত আরণ্য অঞ্চলে মৃগয়াচ্ছলে কিছু সময় কাটালে, বালকদের ক্রীড়া-কৌতুক ও অস্ত্র-অনুশীলন দুই-ই হয়। উপভোগ্য হয় শিক্ষা।

প্রাচীর-বেষ্টিত আশ্রম-উদ্যানের পিছনেই অরণ্য শুরু। প্রথমে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত কয়েকটি বৃক্ষের সমাবেশ বলেই ভ্রম হয়, কিন্তু যত গভীরে যাওয়া যায় তত ঘন হয় অটবী। কেন্দ্রস্থলটিতে বনস্পতিরা এত নিবিড়সন্নিবিষ্ট যে, দিবালোক প্রায় পৌঁছতেই পারে না। বহু যোজন বিস্তৃত এই বন শ্বাপদসঙ্কুল। আরণ্য উপজাতিদের বাস, অধিকাংশই শিকারজীবী, কেউ কেউ কাষ্ঠ ও অন্যান্য বনজ সম্পদের বিক্রেতা।

দ্রোণ কঠোর আদেশ দিয়ে রেখেছেন, শিক্ষার্থীরা কেউ যেন বনের গভীরে না যায়। গুরুকুলে দীর্ঘ কাল প্রশিক্ষণ চলছে, বালক-কিশোররা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে এল অনেকেই, কিন্তু শিক্ষা সম্পূর্ণ সমাপ্ত হতে এখনও কিছু দেরি আছে। এদের অনেকে, প্রদত্ত শিক্ষাটুকুতেই যথেষ্ট পারদর্শী নয় এখনও। শুধু রাজকুমারেরা নয়, রাজপুরী থেকে প্রেরিত অনুচর-ভৃত্য-পাচক-বাদকেরাও আছে, যেমন মৃগয়া-যাত্রার সময় থাকে। শিকারি কুক্কুর রয়েছে গুটিকতক, তারা পথ দেখায় বা হত শিকারগুলি অনুসন্ধান করে। এতগুলি আত্মরক্ষা-অপটু মানুষের সমাবেশ— বন্য বরাহ বা ভল্লুক বা শার্দূল যদি সহসা কাউকে আক্রমণ করে বসে, বা বিষধর সর্প— সমূহ ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা।

অস্ত্রবিদ্যা-শিক্ষার্থী রাজকুমারদের মধ্যে সর্বাধিক বলশালী এবং অকুতোভয় হল মধ্যম পাণ্ডব ভীমসেন। তার প্রিয় প্রহরণ গদা। জন্তু-আক্রমণের প্রসঙ্গ উঠতে সে নিজের গদাটিকে ঘূর্ণিত করে বলে উঠেছিল, “বাঘ সিংহ ভল্লুক বরাহ— যাই আসুক গুরুদেব, এই গদার একটি ঘা খেলেই ভবলীলা সাঙ্গ!”

তা, মহাকায় তরুণ ভীমসেনের এ দম্ভ শোভা পায়। তার শারীরিক শক্তি প্রায় অমানুষিক। মল্লযুদ্ধে তার সঙ্গে কোনও শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই চায় না, এমনকি পূর্ণবয়স্ক ও অভিজ্ঞ রাজ-মল্লগণ— যাদের হাতে দ্রোণ তার অনুশীলনের ভার ছেড়ে রেখেছেন— তাদেরও আজকাল সে হাসতে হাসতে পরাস্ত করে। গদাযুদ্ধেও তার প্রহার সহ্য করার ক্ষমতা একমাত্র দুর্যোধন ব্যতীত কারও নেই। হ্যাঁ, দুর্যোধন অপেক্ষাকৃত কম বলশালী হয়েও, শুধু অভ্যাসনৈপুণ্যে ভীমের সঙ্গে সমানে-সমানে গদাচালনা করতে পারে। অধিকাংশ দিনই আশ্রমে তাদের মুষল-দ্বন্দ্ব দীর্ঘ ক্ষণ চলার পরেও অমীমাংসিত থেকে যায়, কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন না আচার্য।

ভীমের দম্ভোক্তি শুনে দুর্যোধনও হুঙ্কার দিয়ে ওঠে, “হ্যাঁ গুরুদেব, আমার গদা সহ্য করবে এমন পশু এখনও জন্মায়নি এই অরণ্যে! ভয় কী?”

গুরু দ্রোণ হাসেন। এই দুই কুমার প্রতিস্পর্ধী এবং অতিরিক্ত দর্পী। ভালই। গদাযোদ্ধাদের কিঞ্চিৎ দম্ভোক্তি করার অভ্যাস থাকাই প্রয়োজন। শুধু গদা কেন— শস্ত্রধারী যে কোনও বীরকেই যুদ্ধের আগে ও যুদ্ধ-চলাকালীন আস্ফালন-সংলাপ বলতে শেখানো দরকার।

ক্রমশ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Story Rabibasoriyo Novel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy