ছবি: শুভম দে সরকার
নিঃসীম দিগন্তরেখার দিকে এগিয়ে চলেছেন সেই বৃদ্ধা। ধূ ধূ শূন্য মাঠের পথ ধরে। সূর্যের তাপে জ্বলে বাদামি হয়ে গিয়েছে মাঠের সমস্ত ঘাস। কোথাও সবুজের আভাস পর্যন্ত নেই। সামনে কোনও গন্তব্যস্থল চোখে পড়ে না। তবু কিসের আশায় এগিয়ে চলেছেন তিনি? রোদের রং যেন ক্রমশ আরও লালচে হয়ে উঠছে। আগুন ধরে যাবে না কি! হঠাৎ শব্দহীন প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণে নিমেষে টকটকে লাল হয়ে গেল দিগন্তরেখা পর্যন্ত ঢালু হয়ে আসা আকাশ। বিমূঢ় চোখ তুলে উপর দিকে তাকালেন বৃদ্ধা। শূন্যে নিরালম্ব ঝুলে আছে কবন্ধ পশুরা। রক্তাক্ত। তার পরই দুলে ওঠে রুক্ষ প্রান্তর। কবন্ধ পশুদের ধড়গুলো প্রবল বেগে দুলতে থাকে যেন এক উন্মাদ ঘড়ির পেন্ডুলাম! ঘোলাটে হতে হতে আবছা হয়ে যায় সব দৃশ্য। ঝাঁকুনি লাগে।
আর ক্রমশ শ্রীলতার ভ্যাবলা মেরে থাকা চোখের সামনে ফুটে উঠতে থাকে এই এসি ট্রেনের ঠান্ডা ঠান্ডা কামরা। ওর উপরের বাঙ্ক থেকে ঝুলে আছে একটা সাদা চাদর। কলরব হচ্ছে। কোন স্টেশন এল? ট্রেন থামল এই মাত্র। কয়েক মুহূর্ত স্থির শুয়ে থাকে শ্রীলতা। যেন অবশ।
সামনের বাঙ্ক থেকে নেমে আসে একটা মেয়ে। সদ্য ঘুমভাঙা মুখে হাসি, “গুড মর্নিং, আন্টি।” শ্রীলতার মনে পড়ে যায়, মেয়েটার নাম দিয়া। নিজের গায়ের চাদর সরিয়ে উঠে বসে শ্রীলতা। তখনই ওর মনে হয়, লোপা কোথায়? এখনও ঘুমোচ্ছে না কি! তক্ষুনি লোপা ঢোকে। তার হাতে টুথব্রাশ, পেস্টের টিউব। সারা মুখে জলের ফোঁটা। শ্রীলতা ব্যাগ হাতড়ে তাড়াতাড়ি ফেস টাওয়েল এগিয়ে দেয় মেয়ের দিকে।
চল্লিশ পেরিয়ে শ্রীলতা এখন বেশ প্রাজ্ঞ। দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রায় এক কামরায় রাত কাটানো মানুষদের মধ্যে চটজলদি ফোন নম্বরের আদান-প্রদান, ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে নেমে আসা ইত্যাদির ধরন-ধারণ বুঝে ফেলেছে সে। “হ্যাঁ, নিশ্চয় যোগাযোগ করব” গোছের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির দেদার বিনিময় চলে। কিন্তু স্টেশনের চৌহদ্দি পেরোনো মাত্র, সব দেওয়া কথা স্মৃতিকোষ থেকে বেরিয়ে অনন্ত মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যায়। যুগ-যুগান্তর ধরে এ সব বঙ্গসংস্কৃতির ট্রেনযাত্রার অঙ্গ।
কিন্তু শ্রীলতার মেয়ে লোপা সবে বারো। তার পক্ষে এ সব বোঝা মুশকিল। কাজেই মায়ের সঙ্গে মুম্বইয়ের মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে, দিয়া নামের সমবয়সি বালিকাটির সঙ্গে তার বেজায় ভাব হয়ে যায়। “মাম্মা উই আর লাইক মাইন্ডেড!” দিয়া টয়লেট গেলে, লজ্জা লজ্জা মুখে বলে ফেলে উচ্ছ্বসিত লোপা।
দিয়া মুম্বই থেকে ফিরছে। সেখানে একাই বেড়াতে গিয়েছিল সে। একাই ফিরছে। মামারা বম্বে মেলে তুলে দিয়েছেন। হাওড়া স্টেশনে মা নামিয়ে নেবেন। লোপার নিজেরই বয়সি একটা মেয়ে এক্কেবারে একা একা, এতখানি রাস্তা— বাপ রে! লোপার বাবা-মা এমন সব ভাবনাচিন্তা থেকে ঢের দূরে। অতএব সে দিয়াকে প্রায় বীরপূজা করতে শুরু করে। নীচের বেঞ্চে শুয়ে শ্রীলতা শুনতে পাচ্ছিল অনেক রাত অবধি উপরের মুখোমুখি বাঙ্ক থেকে তাদের গুনগুন।
একটু পরে ট্রেন হাওড়া স্টেশনে পৌঁছলে শশব্যস্ত হয়ে হাজির মধ্যবয়স্কা মহিলাটি। শ্রীলতার থেকে একটু বড়ই হবেন। ভারী চেহারা। মহিলা অজস্র ধন্যবাদ দিলেন শ্রীলতাকে। সারা রাস্তা তাঁর মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য। তার পর বললেন, ‘‘মেয়ের কাছে তো কনট্যাক্ট নাম্বার আছে, আমি ফোন করব। এক দিন আসতে হবে আমাদের বাড়িতে।”
শ্রীলতাও সায় দিল।
হিসেব মতো অধ্যায়টি এ ভাবেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সেই রাতেই শুতে যাওয়ার আগে যখন দাঁত ব্রাশ করছে শ্রীলতা, তখনই শুনতে পেল, লোপার মোবাইল বাজছে। শ্রীলতা বেশ কড়া মা। যখন তখন মেয়েকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয় না। তার বন্ধুদের বলা আছে। শ্রীলতা বিরক্ত হল। কিন্তু দাঁত মাজার মুহূর্তে মানুষ এতই অসহায় হয়ে পড়ে যে, তার কিছু করার ছিল না।
লোপা তত ক্ষণে কথা শুরু করে দিয়েছে। সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হাসি। দিয়া।
এই ভাবে বন্ধুত্বটা চলতে লাগল ফোনাফুনি অথবা চ্যাটের মধ্য দিয়েই। মাসখানেক পর এক দিন শ্রীলতার মোবাইলে অচেনা একটা নম্বর ভেসে উঠল। শ্রীলতা শুনল, “আমাকে মনে করতে পারছেন কি? স্টেশনে সেই এক ঝলক দেখা হয়েছিল। তবে আমাদের মেয়েরা এখন খুবই বন্ধু।”
খানিক ক্ষণ পরে ফোন রেখে শ্রীলতা প্রথমেই ছাদের দিকে তাকিয়ে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল। এই বয়সে নতুন করে বন্ধুত্ব হয় না, যা হয় তার নাম পরিচিতি। কিন্তু ওই দিয়ার মা, এক্কেবারে নাছোড়বান্দা। শুধুই কন্যাদের বন্ধুত্বে আশ মিটছে না তাঁর, তিনি এখন এই বন্ধুত্বকে পারিবারিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান। এমনকি মেয়েদের বাবারাও যাতে পরস্পরের পরিচিত হয়ে যান, সেই নিয়েও আকুল অনুরোধ জুড়ে দিলেন। সামনের রবিবার তাঁর বাড়িতে যাওয়া আর রাতে খেয়ে আসার নেমন্তন্ন করে ফেললেন। শ্রীলতা দু’-এক বার কাটাতে চেয়েছিল, কিন্তু এমন সনির্বন্ধ এবং নাছোড় সে অনুরোধ, যে কাটানো মুশকিল।
শ্রীলতার বর আশিস শুনে রীতিমতো বিরক্ত। সে আদপে মিশুকে মানুষ নয়। পুরোপুরি অচেনা মানুষের বাড়ি নেমন্তন্ন খেতে যাওয়া ব্যাপারটা সে ধারণাতেই আনতে পারে না। সে বলেই দিল, “যেতে হলে মেয়েকে নিয়ে তুমি চলে যাও। আমার ব্যাপারে যা ইচ্ছে বানিয়ে বলে দিয়ো। আর চ্যাপ্টারটা ওখানেই ক্লোজ় করে ফেলো।” কোনও মতেই আর নরম করা গেল না তাকে।
শাঁখের করাত নামক অদৃশ্য বস্তুটির খোঁচা খেতে খেতে মেয়েকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল শ্রীলতা। হাসিমুখে দরজা খুললেন দিয়ার মা। বললেন, “মিস্টার ঘোষ এলেন না?”
মুখে হাসির সঙ্গে বিপর্যস্ত ভাব ফুটিয়ে শ্রীলতা “আর বলবেন না, ওদের অফিসে এমন হঠাৎ...’’ দিয়ে শুরু করল।
লোপা আর দিয়া লাফাতে লাফাতে অন্য ঘরে চলে গেল। দিয়ার মা আশা তাকে বসালেন বাইরের ঘরে। ঘরটি গোছানো, তবে সাজানো নয়। এক গোছা ফুল, একটি ছবি, কয়েকটা উজ্জ্বল রঙের কুশনের ম্যাজিক একটা সাদামাটা ঘরের ভোল পাল্টে দিতে পারে নিমেষে। ঘর সাজানো শ্রীলতার প্যাশন। ছেলেবেলা থেকেই। আশিস সে সব ফিরেও দেখে না।
একটা ছোট আধাশহরে শ্রীলতার ছেলেবেলা কেটেছিল। তখন সেখানে জীবনযাপনের ধরন নেহাতই মামুলি। উচ্চবিত্ত পরিবারেও স্নানঘরে মগের বদলে ব্যবহার করা হত পুরনো টিনের কৌটো। শ্রীলতা আজন্ম দেখেছে সে সব। তবু নিজের চার পাশকে যথাসম্ভব সুশ্রী করে তুলতে চাওয়ার এক আকুতি তার মধ্যে কাজ করত। ঠাকুমার পুরনো কাঁসার ঘটি মেজে-ঘষে ঝকঝকে করত সে নিজের হাতে। তাতে সাজাত পথের পাশের ঝোপ থেকে তুলে আনা লাল সাদা বুটি আঁকা বড় বড় পাতা। তার মনে হত, এই সামান্য বদলেই ঘর যেন ঝলমলিয়ে হেসে উঠল। বাড়ির লোকে কিন্তু লক্ষও করত না।
এক জনই বলত শুধু। বিদেশ ঘুরে আসা একটি লোক। তার বন্ধু ছন্দার মামাতো দাদা। কী যেন একটা কোর্স করতে জার্মানি গিয়েছিল। ছুটিতে ছন্দাদের বাড়ি এলে, শ্রীলতাদের বাড়িতেও আসত।
খুব খুঁটিয়ে দেখত শ্রীলতার ঘর-সাজানো। পাতাবাহার, জবা আর আকন্দ ফুল, মাটির হাঁড়ি, রঙিন কাচের চুড়ি, পুরী থেকে কুড়িয়ে আনা কয়েকটা ঝিনুক, এই তো সম্বল ছিল। সে কিন্তু সমঝদারের মতো দেখত। উৎসাহ দিত। ইন্টিরিয়র ডিজ়াইন বলে যে একটা ব্যাপার আছে, তা প্রথম ওই বুলানদাদার মুখেই শুনেছিল শ্রীলতা। কথাটা গেঁথে গিয়েছিল মগজে।
বুলানদা খুব সভ্য, ভদ্র ছিল। সেই সময়ে অমন আধাশহরে, বাইরের দেশ থেকে ঘুরে আসা কোনও মানুষকে ফিরে তাকিয়ে দেখত লোকে। কিন্তু বুলানদাদার জাঁক ছিল না একটুও। অল্প হাসি। নরম গলার কথা। এক দিন... শুধু এক দিনই...
দিয়ার মা আশা খুব হাসিখুশি মহিলা। কথা বলতে ভালবাসেন।
দিয়ার বাবা এ ঘরে আসতে একটু সময় নিচ্ছিলেন। শ্রীলতা যে কাউচে বসেছিল, সেটা ভিতরের দরজার মুখোমুখি। তার উল্টো দিকে বসেছিলেন আশা।
শ্রীলতা সামনের দরজার ফ্রেমে একটি মধ্যবয়সি মানুষকে দেখল। তাঁর চোখে বিস্ময়। পায়ের শব্দে মুখ ফিরে তাকিয়ে আশা পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছিল। মোটা কাচের চশমা পরা, ভারী চেহারার মানুষটি এসে বসলেন। হাসি মুখ। হাত তুলে স্ত্রীকে থামালেন, “পৃথিবীটা সত্যি সত্যি যে কত ছোট, আজ নতুন করে বোঝা গেল। আমি চিনি লতাকে।”
শ্রীলতা চেয়ে আছে অবাক চোখে। সরে সরে যাচ্ছে মেদ, চশমা, মুখের ভাঁজ। আর্তনাদের মতো চেঁচিয়ে উঠল, “বুলানদা!” সময়ের অনেক তলা থেকে আচমকা বেরিয়ে এল ডাকটা।
তার পর খুব মসৃণ হয়ে গেল শ্রীলতার অবাক হওয়া। খুব সহজ। পুরনো কথা প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্ন। হাসি-গল্পে সময় কেটে গেল। যাওয়ার আগে হাত ধরে আশা বললেন, “দেখো কত চেনাজানা বেরিয়ে গেল! এ বার আমাদের আসা যাওয়া চলতেই থাকবে, বুঝলে! পরের বার কিন্তু মিস্টার ঘোষকে অবশ্যই নিয়ে আসবে। কী আশ্চর্য! এখন তো ফেসবুকের কল্যাণে আগের জন্মের চেনা মানুষকেও খুঁজে পাওয়া যায় ভাই।”
শ্রীলতার বিয়ের সময়ে সেই ছোট শহরে কেটারিংয়ের ব্যবস্থা তেমন ছিল না। ভিয়েনের ঠাকুর এসেছিল। বাড়ির পিছন দিকে খোলা জায়গা কাপড় দিয়ে ঘিরে রান্নার ব্যবস্থা। বুলানদা তো বাড়ির ছেলের মতোই। ফাইফরমাশ খাটছিল সকাল থেকে।
অনেক রাতে বিয়ের লগ্ন। কাকলিবৌদি দুপুরে জোর করে শুইয়ে দিয়ে গিয়েছিল ভিতর দিকের একতলার একটা ঘরে। দরজা ভেজিয়ে রেখে গিয়েছিল।
হঠাৎ জোর ধাক্কায় খুলে গেল দরজা। একটা অচেনা মানুষ ঢুকে এল। এক্কেবারে অচেনা। টেনে তুলল ওকে বিছানা থেকে, “এসো, এসো বলছি।”
দুর্বোধ্য এক ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলতা। বাঁ কব্জিটা এত জোরে চেপে ধরেছিল, চিনচিন করছিল ব্যথা। কড়ে আঙুলের নখটা বড় ছিল। ছড়ে গিয়েছিল একটুখানি।
টেনে ওকে নিয়ে গেল বারান্দার ও ধারে, যেখান থেকে দেখা যায় রান্নার জায়গা। হাত তখনও শক্ত করে মুঠোয় ধরা। অন্য হাতের আঙুল বাড়িয়ে দিল সে দিকে। ঝুলে আছে কবন্ধ ছাগল। মুখের খুব কাছে মুখ এল। গরম নিঃশ্বাসের ভাপ লাগছে ওর গালে। হিসহিসে স্বরে বলল, “দেখতে পাচ্ছ! কতগুলো প্রাণ যাচ্ছে! তোমার জন্যে— শুধু তোমারই জন্যে...” ছুড়ে দিল ওর হাতটা। চলে গেল। ফিরে দেখল না আর। অনেক রাতে শুভাকাকি আক্ষেপ করছিলেন, ‘‘হঠাৎ বুলানের কোন বন্ধুর বাবার হার্ট অ্যাটাক, কলকাতায় চলে যেতেই হল... আহা আজকের দিনটাতেই...’’
অদ্ভুত ভয়ে, সেই সঙ্গে আরও কিছু না-জানা অনুভূতিতে কাঠ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলতা। বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান, হাসি, সুগন্ধ, কথা, লোকের ভিড়... কিছুই যেন বুঝতে পারছিল না সে। অনেক রাতে, বাসরের সকলে ঘুমিয়ে পড়লে শ্রীলতা কেঁদেছিল চুপিচুপি। অপ্রত্যাশিত আগুনের ছ্যাঁকা খেয়ে মেয়েরা যে বোকা বোকা কান্নাটা কাঁদে।
আশার কথার উত্তরে সুন্দর করে হাসল শ্রীলতা, “নিশ্চয়ই। তোমরাও যাবে। খুব আনন্দ হল...’’
বাড়ি ফিরে স্নানঘরে ঢুকবে শ্রীলতা। ছোট ফ্ল্যাটে তার একলা থাকার একমাত্র জায়গা। সে আজ বুঝে গিয়েছে সেই কঠিন সত্যকে। চোখের চাহনিই বলে দিচ্ছে অনুভূতি কী ভাবে সময়ের সমুদ্রে মিশে হারিয়ে যায়। কোথায় যেন পড়েছিল, সব আগুনই এক দিন ছাই হয়ে যায়। জানা কথারা কালো কালো অক্ষর হয়ে শুয়ে থাকে বইয়ের পাতায়। মনে হয় মৃত। হঠাৎ কখনও জ্যান্ত হয়ে ওঠে। শুধু তখনই ছোঁয়া যায় তাকে। এই ছুঁয়ে ফেলার গোলকধাঁধায় পড়ে, আজ কাঁদবে শ্রীলতা। অনেক দিন পরে। অচেনা আগুন ঝলসে উঠেছিল এক দিন। সময়ে সব মায়াছবি পুড়ে যায়। আদিগন্ত রুক্ষ প্রান্তরে এক মুঠো ছাই পড়ে থাকে শুধু। এক ক্রান্তদর্শী বৃদ্ধা কাঁদেন। শব্দহীন।
রবিবাসরীয় বিভাগে
১৪০০-১৬০০ শব্দের মধ্যে ছোটগল্প পাঠান। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। পিডিএফ-এ নয়, ওয়ার্ড ফাইল সরাসরি ইমেল করুন। ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: Rabibasariya Golpo. পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর ও সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকা আবশ্যক। সিদ্ধান্তের জন্য অন্তত সাত-আট মাস অপেক্ষা করতে হবে। মনোনীত হলে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানানো হবে। প্রেরিত ছোটগল্পটি অবশ্যই মৌলিক ও অপ্রকাশিত হতে হবে। অনুবাদ বা অনুকরণ হলে চলবে না। অন্য কোথাও মুদ্রিত বা ডিজিটাল ইত্যাদি অন্য কোনও রূপে প্রকাশিত লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না। এই নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করলে তাঁর কোনও লেখাই এই পত্রিকার জন্য ভবিষ্যতে কখনও বিবেচিত হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy