ছবি: প্রত্যয়ভাস্বর জানা
লিফ্টের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। পুরনো দিনের লিফ্ট সশব্দে নীচ থেকে উঠে আসছে উপরে। কথায়-কথায় এত দেরি হয়ে গিয়েছে যে নির্ঘাৎ ট্রেনটা পাব না। আয় বাবা লিফ্ট, তাড়াতাড়ি আয়!
ফাঁকা লিফ্ট এসে দাঁড়াল আমার সামনে। ভিতরে ঢুকতে যাব, এমন সময় আচমকাই মনে পড়ে গেল আগের দিনের ঘটনাটা। এত ক্ষণ কেন মনে পড়েনি ভেবে অবাকই হলাম। এক মুহূর্ত থমকে দাঁড়াতে হল। আমার পিছনে ঘোরানো সিঁড়ি, নীচে নেমে গিয়েছে সেই ঘরের সামনে দিয়ে। সেই ঘর, দোতলায়, যার বাইরে সে দিন সে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে অসীমকাকার ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার দিকে দেখলাম। তার পর পা বাড়ালাম সিঁড়ির দিকে। এক পা-এক পা করে নামতে নামতে সে দিনের কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। দেরি হওয়ার চিন্তা আমার আর মাথায় এল না।
সে দিনও নামছিলাম পাঁচতলা থেকে, এ ভাবেই এক পা-এক পা করে। উঠার সময়েই প্রাণ বেরিয়ে গলায় আটকেছিল, নামতে অত যন্ত্রণা নেই কিন্তু এক কালে ফুটবল-খেলা এই শরীরে যে ভাল রকম মেদ জমতে শুরু করেছে, তা শ্বাসপ্রশ্বাসের ওঠা-নামা ভালই টের পাইয়ে দিচ্ছিল। ভাবছিলাম কী দিন দেখেই না এলাম দেখা করতে! অসীমকাকা কি জায়গাও পেল না ফ্ল্যাট কেনার! আর কেনা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে হল! সে দিনই কি খারাপ হতে হল লিফ্টটাকেও! ঘোরানো সিঁড়িগুলোর এক-একটা ধাপ নামতে নামতে দারুণ বিরক্ত হচ্ছিলাম, নিজের ভাগ্য ও ভুঁড়ি দুয়ের উপরেই।
এই সব এলোমেলো ভাবতে ভাবতে দোতলায় নেমেছি, তখনই শুনলাম তার কণ্ঠ, ‘‘শুনছেন?’’ সে দাঁড়িয়েছিল দরজার পাশে, দেয়ালে ঠেস দিয়ে। আমি এ পাশ-ও পাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বললাম, ‘‘আমাকে বলছেন?’’ সে আর্তস্বরে বলল, ‘‘হ্যাঁ, একটু হেল্প করবেন, প্লিজ।’’
পরনে নীল সালোয়ার-কামিজ, বয়স বাইশ-তেইশের বেশি হবে না, কিন্তু সুন্দর মুখশ্রীর স্নিগ্ধতা নষ্ট করেছে তার উদ্বিগ্ন চোখমুখ। অস্থির স্বরে শুনলাম, ‘‘আমাদের গ্যাস সিলিন্ডারটা... একটু দেখবেন... বিশ্রী গন্ধ ছাড়ছে।’’
বিল্ডিংয়ের প্রতিটা ফ্লোরেই দেখেছি মুখোমুখি দুটো করে ফ্ল্যাট, আর সামনে দিয়ে ঘোরানো সিঁড়ি উঠে গিয়েছে। পাশের ফ্ল্যাটটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, দরজায় অনেক দিনের ঝুল, ধুলো জমে মালিকের নামটাও নিশ্চিহ্ন। ইতস্তত করলাম তবুও, হুট করে ঘরে ঢুকে...! কয়েক মুহূর্ত ভেবে বললাম, ‘‘ঠিক আছে, চলুন।’’ কেন যে বলে ফেলেছিলাম তা বুঝতে পারি না। এ-ই কি বয়সের দোষ?
ড্রয়িংরুমে ঢুকে দেখি, সত্যিই গ্যাসের দুর্গন্ধে ঘর ভরে গিয়েছে। আমি দ্রুত ঘরের জানালাগুলো খুলে দিলাম। খুলতেই দেখলাম, ফ্ল্যাটের মেন গেটটা জানালার ঠিক নীচেই পড়ে। সে চলে গিয়েছিল ভিতরের ঘরে। বোধ হয় রান্না ঘরে। ফিরে আসতেই বলল, ‘‘যাক, যা ভয় পেয়ে গেছিলাম না!’’
‘‘সুইচ দেননি না কি?’’
সে আমার চোখের দিকে তাকিয়েছিল সোজাসুজি। কয়েক মুহূর্ত ভেবে বলেছিল, ‘‘মনে হয় পাইপটাই লিক করছে।’’
‘‘সর্বনাশ!’’
সে গম্ভীর মুখে বলল, ‘‘নাহ্, পাল্টে নেব। বাবাকে আজকেই বলতে হবে।’’
‘‘বুঝতে পারেননি আগে?’’
‘‘আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো। হঠাৎ কেমন একটা অস্বস্তি হতে উঠে দেখি সারা ফ্ল্যাটে গন্ধ...’’
আর কথা হয়নি। আমার এমনিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছিল। চারটের ট্রেনটাও পাব না হয়ত। তাড়াহুড়ো করে চলে আসি।
আজকে দোতলায় নামার আগে একটা উত্তেজনা অনুভব করলাম। জানি না কেন লজ্জা লাগছিল। কেন এলাম আজ? সে দিন একটা কারণ ছিল, আজকে তো...ভাবতে ভাবতে দোতলায় পা রাখলাম আমি। সিঁড়িটা ঘুরতেই দেখি, একই ভাবে সে আজও দেয়ালে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজও সেই নীল সালোয়ার-কামিজ, কী এক অস্থিরতা যেন তার চোখেমুখে। তখনই চোখাচোখি হয়ে গেল আমাদের। নামিয়ে নিলাম চোখ, হয়ত লজ্জাও পেলাম— দুজনেই। মুহূর্তের দ্বিধা কাটিয়ে আমি একটু হেসে জিজ্ঞেস করলাম, ‘‘আজও কি গ্যাসের প্রবলেম না কি?’’
‘‘না, না... এমনি দাঁড়িয়ে ছিলাম,’’ কিছুটা থতমত খেয়ে বলল সে, ‘‘আপনি?’’
‘‘এই এসেছিলাম,’’ বলে আমি চুপ করে গেলাম। আমার কেন জানি না ভয় হল, যদি সে জিজ্ঞেস করে যে আমি লিফ্টে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে নামছি কেন, আমি কী জবাব দেব! আমি একটা উত্তর ভিতরে ভিতরে তৈরি করার চেষ্টা করতে থাকলাম।
কিন্তু কোনও প্রশ্ন সে করল না। ভ্রু কুঁচকে আছে তার, মুখমণ্ডলেও কিছুটা অস্বাভাবিকতা। কিছু ক্ষণের অশেষ নিস্তব্ধতার আবহে আমি সিঁড়ি দিয়ে একতলা নামার বাঁকে দাঁড়িয়ে চুপচাপ। সেও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে, কথা নেই কোনও। চলে যাব কি না ভাবছি, আবার পা-ও সরতে চাইছে না, এমন সময় সে বলে উঠল, ‘‘আসবেন প্লিজ? আগের দিন আপনাকে বসতে বলিনি শুনে বাবা রাগ করেছিল!’’
আমি কী বলব বুঝতে পারলাম না। এখানে যে তাকে দেখতে পাব সে আশা করিনি, আবার সে যে আমায় এ ভাবে আমন্ত্রণ জানাবে সেটা আরও অপ্রত্যাশিত। অ্যালিস যখন প্রথম বার খরগোশের গর্ত দিয়ে ওয়ান্ডারল্যান্ডে গিয়েছিল সেটা ছিল একটা অ্যাক্সিডেন্ট, কিন্তু যখন সে আয়নার মধ্যে দিয়ে আবার অজানা দেশে পা বাড়ায়, সেটা ছিল তার সিদ্ধান্ত। আমারও তাই হল। এ বারও আমি পা বাড়ালাম তার ঘরের দিকে, এ বার নিজের সিদ্ধান্তে।
ড্রয়িংরুমের জানলাটা আগের দিনের মতোই বন্ধ। আর ঘরে কুপকুপে অন্ধকার।
‘‘ঘরের লাইটটা কেটে গেছে সকালেই,’’ সে জানালা খুলতে খুলতে বলল।
জানলা দিয়ে এসে পড়ছে শেষ বিকেলের আলো। দেখা যাচ্ছে উঁচু-উঁচু কিছু কংক্রিট নির্মিত বাড়ি, তারও উঁচুতে মোবাইলের টাওয়ার। কিন্তু আরও উপরে, আমার চোখে পড়ল, একটা একলা চিল একা একা পাক খেতে খেতে নিজস্ব কক্ষপথের বাইরে বেরিয়ে এসেছে আচমকাই, তার পাখনায় এসে লাগছে অচেনা রোদ, এই নতুন আলোয় তার শরীরের আগল খুলে গিয়েছে, সে উড়তে আরম্ভ করেছে বাঁচার নতুন আনন্দে।
‘‘আপনি চা খান তো?’’
‘‘না খেলে তো আপনার বাবা আবার রাগ করবেন?’’ আমি একটু মুচকি হেসে বললাম।
‘‘হা...হা, বসুন একটু,’’ বলতে বলতে সে সোফাটা একটু গুছিয়ে দিল।
আমি ড্রয়িংরুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলাম। সোফাটা বেশ পুরনো। একটা টেবিল, টেবিলের উপরে টুকটাক কাগজ রাখা, খবরের কাগজ থেকে চাঁদার রসিদ। আর একটা ফটোফ্রেম। তাতে তিন জনের ছবি, অনেক আগে তোলা, বোঝাই যায় মেয়েটি তার মা-বাবার সঙ্গে। আর সেই ভদ্রমহিলারই ছবি দেওয়ালে। এর থেকে কিছু আন্দাজ করা যায়।
ইতিমধ্যে সে চা আর বিস্কুট নিয়ে টেবিলের উপর রাখল। আমি নিঃশব্দে কাপ-প্লেট তুলে হাতে নিলাম। আচমকাই, একটু যেন বিরক্ত কণ্ঠস্বরেই সে বলল, ‘‘আপনার নাম বললেন না তো? আমি সুরভি।’’
বলে সে আমার দিকে সটান হাত বাড়িয়ে দিল করমর্দন করতে।
আমি তার আঙুল মুঠোয় নিয়ে নিজের নাম বললাম। সে বলল, ‘‘আপনি এখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন বুঝি?’’
‘‘নাহ্, আমি না, আমাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড এখানে এসেছেন, তাঁর কাছেই এসেছিলাম। ফোর্থ ফ্লোরে থাকেন। হয়তো চিনবেন...’’
‘‘না, আমি না তেমন একটা কাউকেই চিনি না।’’
খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। পাশের ফ্ল্যাটের লোককেই চেনে না অনেকে, দেখেছি।
‘‘আসলে কলেজ যাওয়া ছাড়া তেমন বেরোই না আর,’’ সে বলল, ‘‘আপনিও কি স্টুডেন্ট?’’
আমি চায়ের কাপ শেষ করে সেটা টেবিলের উপর রেখে বললাম, ‘‘না, ছিলাম। এই কিছু দিন আগে অবধি।’’
‘‘তা হলে এখন?’’
আমি তাকে আমার পেশার কথাটা বলি। আর সেই প্রথম, সেই প্রথম বার তার বাঁধভাঙা হাসি আমি দেখেছিলাম। সেই প্রথম দেখেছিলাম উদ্বিগ্ন, অস্থির মুখের ছদ্মবেশ ভেঙে তার বাঁধভাঙা হাসির একরাশ সুগন্ধ। আমার পেশার কথা শুনে লোকে যে কথা প্রথমেই ভাবে সেটাই আমি তার মুখে শুনেছিলাম। কিন্তু এ ভাবে সরল মনে কেউ মুখের উপর বলে না। আমি উত্তর দিয়েছিলাম যেমন সবাইকে দিই। সে বলেছিল, ‘‘জানি, জানি। আমি মজা করছিলাম।’’ তার পরেই আবার হেসে ফেলে। আর সেই হাসি আমার কানে বেজে যেতে থাকে।
এর পরের দুমাসে তিন বার আমি অসীমকাকার ফ্ল্যাটে গিয়েছি। অসীমকাকার অসুস্থতায় আমরা, বিশেষত বাবা মারাত্মক চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। বাবার পুরনো সহকর্মী হলেও বড্ড ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ওঁদের সঙ্গে! অসীমকাকার মেয়েরও বিয়ে হয়েছে, থাকে কানাডায়। তাই আমাকেই কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়।
সেই দ্বিতীয় বার চলে আসার আগে সুরভি বলেছিল, ‘‘আবার আসবেন কিন্তু, মনে করে।’’ যেন একটা আর্তি শুনেছিলাম তার কণ্ঠে। তাই প্রতি বারই দেখা করেছিলাম সুরভির সঙ্গে। তাও ভাবি, কী ভাবে সাহস হয়েছিল এ ভাবে সম্পূর্ণ অপরিচিত ডাকে সাড়া দেওয়ার! শেষ বার আড্ডা হয়েছিল অনেক ক্ষণ। ইচ্ছেই করছিল না চলে আসতে। তার পর আচমকাই কাকা-কাকিমাকে ওঁদের মেয়ে কানাডায় নিয়ে চলে গেলেন।
কিন্তু আমি কী করব? যাব কি সুরভির কাছে? আগে যাও বা ছুতো ছিল একটা, এখন তাও নেই।
শেষ মাসটা এই দ্বিধাতেই কাটিয়েছি। এর পরই একটা সেমিনারে যেতে হল দিল্লিতে। এই দূরত্ব আমাকে বোঝাল, সুরভিকে ভুলে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব। মানব-মনের নানা জটিলতার কথা সেমিনারে শুনতে শুনতে আমার নিজের
মনের ভিতরটাই দেখতে পাচ্ছিলাম আমি। আমার ভয়ানক অস্থির লাগতে লাগল।
দিন পনেরো বাদে ফিরতে ফিরতে যত না বাড়ির কথা মনে পড়ছিল, আরও বেশি মনে পড়ছিল তার কথা। ইস, সুরভির ফোন নম্বরও সাহস করে নিতে পারিনি আমি। এত রাগ হচ্ছিল নিজের উপর! ঠিক করেছিলাম, ফেরার পর দিন গিয়েই আমি সুরভিকে নিজের মনের কথা জানাব। জানাতে আমাকে হবেই।
ফিরেই সে দিন চেম্বারে গেলাম। দু’সপ্তাহ বসিনি তাই ভিড় হয়েছিল বেশ। রাত দশটা হবে, শেষ পেশেন্ট হিসেবে চেম্বারে ঢুকলেন এক ভদ্রলোক, তাঁর সঙ্গে একটি অল্পবয়সি মেয়ে।
দেখেই আমি চমকে উঠে দাঁড়ালাম চেয়ার থেকে। তাড়াতাড়ি বসতে বললাম তাঁদের। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তম্ভিত। সাধারণত কেউ এলে প্রথমেই বলি, ‘‘কমফোর্টেবল হয়ে সব খুলে বলুন। আমি আপনার বন্ধু।’’ এ বারে সব গুলিয়ে গেল। এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়িনি।
কথা শুরু হল, ভদ্রলোক বলছিলেন, ‘‘কিছু দিন হল আবার সমস্যাটা মারাত্মক বেড়েছে। সারা দিন চুপ করে থাকে, তিন দিন তো প্রায় কিছুই খায়নি। জিজ্ঞেস করলে বলছে ওর নাকি মন খারাপ।’’
আমার গলার কাছে কিছু একটা জমছিল।
‘‘বলছে কে নাকি আসছে না, সে না এলে খাবে না, ওর মন ভাল হবে না।’’
আমি চকিতে বললাম, ‘‘কে?’’
‘‘কেউ না। এটা স্রেফ ওর মনের কল্পনা। আসলে ছোট থেকেই সমস্যটা আছে, একা-একা থাকে, মিশতে দিতেও ভয় পাই কারও সঙ্গে। মাঝে মাঝে আমাদের ফ্ল্যাটের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নানা ছুতোয় আলাপ করত অচেনা লোকজনের সঙ্গে। এমনকি গ্যাস সিলিন্ডার লিক, বাল্ব কেটে গেছে বলে টলে... তাদের ডাকত,’’ তার পর কণ্ঠস্বর নিচু করে বললেন, ‘‘বিশেষ করে কোন ইয়াং ছেলে। এই বয়স তো... একটা আর্জ থাকেই। তাই ভয়ও হয় খুব। একা রেখে অফিসে যেতে হয়...’’
‘‘আগে কাউকে কনসাল্ট করেননি?’’
‘‘এক সময় নিয়মিত করেছিলাম, বছর চার আগে অবধিও। ঠিকই হয়ে গিয়েছিল... আবার... এই দিন পনেরো হল...’’
আমি ভদ্রলোককে বাইরে যেতে বললাম মেয়েটির সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার জন্য। তিনি বেরিয়ে যেতেই আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম। আমার এত দিনের পড়াশোনা আমাকেই ব্যঙ্গ করছে মনে হল।
‘‘সুরভি, কী হয়েছে বলো আমায়?’’
সে মাথা নিচু করে বসেছিল। তার পর খুব আস্তে আস্তে বলল, ‘‘আমার কিছু হয়নি। এক জন আসেনি তাই মনখারাপ। আমি ওকে খুব ভালবাসি।’’
আমার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল। আমি ঠিক করেছিলাম কালকেই ওর বাড়ি গিয়ে এই কথাই জানাব। কিন্তু... আমার কানে আচমকাই সে দিনের সেই হাসির ঝলক বেজে উঠল। অবিকল মনে পড়ল, সুরভি বলছে, ‘‘আপনি সায়কায়াট্রিস্ট, পাগলের ডাক্তার...হা...হা...হা।’’
ছবি: প্রত্যয়ভাস্বর জানা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy