মাইলফলক: ‘দ্য গডফাদার’ ছবিতে মার্লন ব্র্যান্ডো। ইনসেটে, স্রষ্টা মারিয়ো পুজ়ো
জন্ম নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে। তারিখ ১৯২০-র ১৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন মারিয়ো জিয়ানলুইগি পুজ়ো। চাকরি করতেন জার্মানিতে। কিন্তু সে তো পেশা। নেশা ছিল গল্প লেখা। স্বপ্ন ছিল লেখক হিসেবে নিজের নাম দেখা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময় পেলেই লিখতেন টুকটাক। প্রথম স্বপ্ন সফল ত্রিশ বছর বয়সে। ১৯৫০-এ ‘অ্যামেরিকান ভ্যানগার্ড’-এ প্রকাশিত হল প্রথম ছোটগল্প ‘দ্য লাস্ট ক্রিস্টমাস’। পত্রিকার পাতায় ছাপা অক্ষরে নিজের নাম বার বার দেখার ইচ্ছেটা তাঁকে আরও পেয়ে বসল। তার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকাশিত হল তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দি ডার্ক অ্যারিনা’।
এরই মধ্যে বিয়েও করেছেন। স্ত্রী এরিকা ও পাঁচ সন্তান নিয়ে ভরা সংসার। পুজ়োর তখন সময়ের বড় অভাব। চাকরি আর সংসার সামলে আর লেখালিখির সময়ই হয় না। ১৯৬০ সালে, তখন ‘মেন্স পাল্প ম্যাগাজ়িন’ সম্পাদনা করতেন ব্রুস জে ফ্রেডম্যান। পুজ়োকে ডেকে সহকারী-সম্পাদকের চাকরি দিলেন। বললেন, “শুধু সম্পাদনা করলেই তো হবে না। বিশ্বযুদ্ধ দেখার অভিজ্ঞতা, সেই সব অ্যাডভেঞ্চারের গল্পও লিখতে হবে তোমায়। কিন্তু নিজের নামে লিখলে চলবে না!” এমন প্রস্তাবে পুজ়ো হাতে চাঁদ পেলেন, তৎক্ষণাৎ বললেন, “আমার একটা ছদ্মনাম মাথায় আছে— মারিয়ো ক্লেরি। চলবে?” সম্মতি দিলেন ফ্রেডম্যান।
ফুরফুরে মেজাজে কাজে ডুব দিলেন পুজ়ো। বছরপাঁচেক বাদে প্রকাশিত হল তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য ফরচুনেট পিলগ্রিম’। কিন্তু বই লিখে তেমন আয় হল না। এ দিকে স্ত্রী, পাঁচ সন্তানের সংসার। সংসার চালানোর পক্ষে সহকারী-সম্পাদক হিসেবে রোজগারও তেমন জুতসই নয়। ব্যাঙ্ক, আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে বাজারে প্রায় বিশ হাজার ডলার দেনা। দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল পুজ়োর। বেগতিক দেখে সম্পাদক ফ্রেডম্যান পরামর্শ দিলেন, “মাফিয়াদের নিয়ে একটা বই লিখতে পারো তো, পাঠকসমাজে এ সব কাহিনির বেশ চাহিদা। ভাল বিক্রিবাট্টা হলে উপরি কিছু ইনকাম...”
খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না, কিন্তু তখন খড়কুটো পেলেও তিনি আঁকড়ে ধরেন। মুখে বললেন, “চেষ্টা করব নিশ্চয়ই।”
সে দিন পুজ়ো অফিসে বসে কাজ করছেন, এমন সময় তাঁর এক বন্ধু এসে হাজির। তিনিও লেখালিখি করতেন। দুই বন্ধুতে আড্ডা হল। পুজ়ো তাঁকে ‘দ্য ফরচুনেট পিলগ্রিম’ বইটির একটি কপি উপহার দিলেন। এক সপ্তাহ বাদে সেই বন্ধু আবার এলেন। বললেন, “তুমি তো দুর্দান্ত গল্প-লিখিয়ে হে, এত কম লিখছ কেন?” পুজ়ো একটু ঘাবড়েই গেলেন তাঁর লেখক-বন্ধুর কথা শুনে। আনন্দের চোটে পুজ়ো তাঁর বন্ধুকে নিয়ে চললেন দুপুরের ভোজে। খাওয়াদাওয়া চলছে, হঠাৎ পুজ়োর মনে হল, মাফিয়াদের নিয়ে যে গল্পটার খসড়া করে রেখেছেন, সেটা তো সঙ্গেই রয়েছে, এক বার বন্ধুকে শোনালে কেমন হয়! বন্ধু রাজি হতেই দশ পৃষ্ঠার খসড়া পড়ে শোনালেন পুজ়ো। শুনে চমকে উঠেছিলেন সেই বন্ধু। পুজ়োর হাতদু’টো ধরে বলেছিলেন, “এই লেখার খসড়া করে ফেলে রেখেছ কোন আক্কেলে? আমি ‘জি পি পাটনাম’স সন্স’ প্রকাশনার সঙ্গে তোমার কথা বলিয়ে দিচ্ছি।”
যেমন কথা তেমনি কাজ। কিছু দিনের মধ্যেই ‘জি পি পাটনাম’স সন্স’-এর সম্পাদকদের সঙ্গে পুজ়ো আলোচনায় বসলেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সম্পাদকরা মন দিয়ে তাঁর মাফিয়ার গল্প শুনলেন। পুজ়োর গল্প শেষ হলেই তাঁরা একবাক্যে বললেন, “আপনি লিখতে শুরু করে দিন।” শুধু মুখের কথা নয়, পারিশ্রমিকের বেশিটাই আগে দিয়ে দিলেন পুজ়োর হাতে। ৫,০০০ ডলার! টাকা হাতে নিয়ে পুজ়ো পড়লেন চিন্তায়। সঙ্কল্প করলেন, লেখাটা শেষ করতে না পারলে টাকা ফেরত দিতে হবে, তাই শত অভাবেও এই টাকায় হাত দেওয়া চলবে না। মনে সংশয় ছিল, তিনি পারবেন তো! একটা সময় সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পুজ়ো মন দিলেন লেখায়। তা ছাড়া, একটু বাড়তি টাকা আয় করার জন্য সেই সময়ে তিনি ‘মার্টিন গুডম্যান’-এর জন্য প্রতি মাসে তিনটি করে অ্যাডভেঞ্চারের গল্প লিখতেন। পাশাপাশি চলল মাফিয়াদের নিয়ে উপন্যাস। টানা তিন বছর ধরে দিন-রাত জেগে ১৯৬৮ সালের জুলাই মাসে পুজো শেষ করলেন তাঁর উপন্যাস, নাম দিলেন—‘দ্য গডফাদার’। লেখা শেষ করতেই হল, কারণ সেই সময়ে পুজ়ো তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ইউরোপ যাবেন, হাতে টাকাপয়সা নেই। গোটা উপন্যাসটি জমা দিলে ‘জি পি পাটনাম’স সন্স’ তাঁকে বাকি পাওনা ১২০০ ডলার মিটিয়ে দেবেন। তবে ইউরোপ যাওয়ার ব্যবস্থা হবে।
উপন্যাস তো লেখা হল, কিন্তু প্রকাশ হতে একটু দেরি হয়। লেখকের কাছ থেকে রাইট্স কেনা নিয়ে অন্য প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে কিছু দরাদরি হয়। গ্রন্থস্বত্বের দাম উঠেছিল প্রায় চার লক্ষ দশ হাজার ডলার। আনন্দে আত্মহারা পুজ়ো সাত-পাঁচ না ভেবে ম্যাগাজ়িন-অফিসের চাকরি ছেড়ে দেন। ইটালীয়-আমেরিকান সাহিত্যিক ও চিত্রনাট্যকার মারিয়ো পুজ়ো পরে তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন— ‘গডফাদার’ উপন্যাসটি পুরোপুরি গবেষণাভিত্তিক। আমি কখনও সত্যিকারের কোনও গ্যাংস্টারের সঙ্গে দেখা করিনি!
শেষমেশ ১৯৬৯-এর ১০ মার্চ ‘জি পি পাটনাম’স সন্স’ থেকেই ‘দ্য গডফাদার’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হল। প্রচ্ছদশিল্পী ছিলেন এস নেল ফুজিতা। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেল বইটি। প্রকাশের পর প্রথম দু’বছরে ৯০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল, টানা ৬৭ সপ্তাহ ধরে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার লিস্ট’-এ ছিল এই বই। কেন এই আশ্চর্য জনপ্রিয়তা? কাহিনির মুখ্য চরিত্র নিউ ইয়র্ক সিটির মাফিয়া ভিটো কর্লিয়নি, যিনি ডন নামে খ্যাত। তিনি কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ভার্জিল সলোৎসো-র সঙ্গে মাদক-ব্যবসার প্রস্তাব নাকচ করে দেন, যার ফলে ডনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ডন বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হন। এমন সময়ে তাঁর বড় ছেলে সান্তিলো সনি কর্লিয়নি পরিবারের দায়িত্ব নেয়। আর ও দিকে ডনের ছোট ছেলে মাইকেল মাইক কর্লিয়নি সলোৎসো-সহ এক জন পুলিশ ক্যাপ্টেনকে হত্যা করে আমেরিকা ছেড়ে সিসিলিতে পালিয়ে যায়। কিছু দিন পরই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো খবর আসে, তার বড়দাদা সনির মৃত্যু হয়েছে। কাজেই মাইকেলকে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে আবার আমেরিকায় ফিরে আসতে হয়। মাইকেল কিছুতেই তার দাদার মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না, সে গোপনে পরিকল্পনা করে, কী ভাবে শত্রুদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায়— এই নিয়েই দীর্ঘ কাহিনি।
এ ছাড়াও সাবপ্লট হিসেবে এসেছে ডন-এর একমাত্র কন্যার কষ্টের বিবাহিত জীবন, পারিবারিক ব্যবসায় ডনের দ্বিতীয় ছেলে ফ্রেডি কর্লিয়নির উত্থান-পতন, এসেছেন ডনের সহকারী পিটার ক্লেমেঞ্জা, মাইকেল-এর কাছে বিশ্বাসঘাতক অনুচর সালভাদোর টেসিয়োলে-র মৃত্যুদণ্ড। কর্লিয়নিদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিপ টাটাগ্লিয়াও উপন্যাসটির অন্যতম চরিত্র।
‘দ্য গডফাদার’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন লীলা মজুমদার। তাঁর নব্বইয়ের দশকের দিনলিপি ঘাঁটতে গিয়ে এক জায়গায় জানা যায়, তিনি ‘দ্য গডফাদার’-এর বাংলা অনুবাদটি করেন সম্ভবত আশির দশকের শেষ দিকে।
এই রুদ্ধশ্বাস কাহিনি গোগ্রাসে পড়ে, বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা ছবি তৈরির প্রস্তাব নিয়ে এলেন পুজ়োর কাছে। পুজ়ো এই প্রস্তাবে খুব একটা অবাক হননি। বইটি নিয়ে গোড়া থেকেই চলচ্চিত্র পরিচালকদের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তিনি ফিল্ম রাইটস বিক্রি করতে রাজি হননি। কিন্তু ফ্রান্সিস কপোলার কথা আলাদা। এর আগে পুজ়ো তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু সফল চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। কপোলার ওপর পুজ়োর অগাধ ভরসা। কপোলা জানালেন, ছবিটির জন্য তাঁর সঙ্গে মিলিত ভাবে চিত্রনাট্য লিখতে হবে পুজ়োকে। পুজ়ো আর আপত্তি করেননি। গোল বাধল অন্যত্র।
প্রযোজক হিসেবে এগিয়ে এলেন আলফ্রান প্রোডাকশনস, আমেরিকান জোট্রুপ ও প্যারামাউন্ট পিকচার্স। পরিচালক কপোলার প্রথম থেকেই ভিটো কর্লিয়নি-র চরিত্রে পছন্দ ছিল মার্কিন অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডোকে। কিন্তু বেঁকে বসলেন প্রযোজকরা। ১৯৫৮ সালে ব্র্যান্ডো-অভিনীত ‘দ্য ইয়ং লায়ন্স’ ছবিটি চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। ফলে তাঁকে আর কোনও ছবিতেই প্রযোজকরা নিতে রাজি হচ্ছিলেন না। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের স্ট্যানলি জ্যাফি বললেন, “যত ক্ষণ আমি এই স্টুডিয়োর প্রেসিডেন্ট, তত ক্ষণ পর্যন্ত আমিও দেখব ব্র্যান্ডো কী করে এই ছবিতে থাকে!” এ দিকে কপোলাও জেদ ধরেছেন, ব্র্যান্ডো ছাড়া তিনি অন্য কাউকে ডনের চরিত্রে নেবেন না। শেষমেশ জ্যাফি শর্ত চাপালেন, কপোলা এবং ব্র্যান্ডোর যা পারিশ্রমিক, তার তুলনায় অনেক কম দেওয়া হবে। মরিয়া কপোলা তখন তাতেই রাজি।
বিভিন্ন টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে ‘দ্য গডফাদার’ ছবিটি মুক্তি পেল ১৯৭২-এর ১৪ মার্চ। কিছু দিনের মধ্যেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সিনেমাটি চূড়ান্ত সাফল্য পেল বক্স অফিসে। পরবর্তী কালে মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, “আমি এর আগে কোনও ইটালিয়ান চরিত্রে অভিনয় করিনি। ভাবতে পারিনি যে, এটা আমি সফল ভাবে করতে পারব!”
‘দ্য গডফাদার’ ছবিতে ব্র্যান্ডোর পাশাপাশি মাইকেলের চরিত্রে আল পাচিনো, সলোৎসোর চরিত্রে আল লেতিয়ারি ও অন্যান্য চরিত্রে জেমস কান, আল মার্টিনো, রিচার্ড এস কাস্তেলানা প্রমুখ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় আজও মুগ্ধ করে সকল দর্শককে। ১৯৭৩ সালেই ছবিটির জন্য ৪৫তম অ্যাকাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে নির্বাচিত হন যথাক্রমে ব্র্যান্ডো, কপোলা ও পুজ়ো। সেখানেও আর এক চমক। পুরস্কার মঞ্চে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মার্লন ব্র্যান্ডোর নাম ঘোষণা করেন লিভ উলমান ও রজার মুর। সকলকে অবাক করে দিয়ে মঞ্চে ওঠেন অভিনেত্রী সাচিন লিটলফেদার। তিনি মঞ্চে উঠে আপাচি ও ন্যাশনাল নেটিভ আমেরিকান অ্যাফারমেটিভ ইমেজ কমিটির প্রধান হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। তার পর ব্র্যান্ডোর প্রতিনিধি হিসেবে সকলকে জানান, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মূল ধারায় মার্কিন জনজাতিকে উপযুক্ত জায়গা না দেওয়ার প্রতিবাদে ব্র্যান্ডো অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছেন। এই ঘটনা প্রতিস্পর্ধার নিরিখে মার্লন ব্র্যান্ডো এবং ‘গডফাদার’ ভিটো কর্লিয়নিকে একাকার করে দিয়েছিল। মিলেমিশে গিয়েছিল চলচ্চিত্র আর বাস্তব।
এর পর কপোলার পরিচালনায় ও পুজ়োর সঙ্গে মিলিত চিত্রনাট্য অবলম্বনে ‘দ্য গডফাদার’-এর আরও দু’টি সিকুয়েল নির্মিত হয়— ‘দ্য গডফাদার সিজ়ন টু’ (১৯৭৪) ও ‘দ্য গডফাদার সিজ়ন থ্রি’ (১৯৯০)। এই ট্রিলজি মোট ন’টি অ্যাকাডেমি পুরস্কার পায়। কপোলা এবং পুজ়ো, ট্রিলজির তৃতীয় চলচ্চিত্রটির নাম ‘দ্য ডেথ অব মাইকেল কর্লিয়নি’ ভেবেছিলেন, কিন্তু প্যারামাউন্ট পিকচার্স এই নামটিতে আপত্তি করে। চলতি ২০২০-তে ট্রিলজির শেষ চলচ্চিত্রের ৩০তম বার্ষিকী। সেই উপলক্ষে প্রযোজনা সংস্থা ঘোষণা করেছে, মারিয়ো পুজ়োর ‘দ্য গডফাদার, কোডা: দ্য ডেথ অব মাইকেল কর্লিয়নি’ নামে চলচ্চিত্রের নতুন কাট আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে। গডফাদার-এর স্রষ্টা মারিয়ো পুজ়োর শতবর্ষে এর চেয়ে আনন্দের খবর আর কী-ই বা হতে পারে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy