What are the problems NASA is facing to get back their astronomers from International Space Station dgtl
Sunita Williams
কমছে লোহিত রক্তকণিকা, ক্ষমতা কমছে পেশি আর হাড়ের! নাসার চেষ্টা ব্যর্থ করে মহাকাশেই আটকে সুনীতারা
মনে করা হয়েছিল যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সুনীতাদের নিয়ে ফিরবে বোয়িং স্টারলাইনার। কিন্তু তাঁদের না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরছে বোয়িং স্টারলাইনার।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
দুই মহাকাশচারী বুচ উইলমোর ও সুনীতা উইলিয়ামস আপাতত বন্দি মহাকাশেই। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে দিন কাটছে সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী নভোচরের।
০২২০
গত জুন মাসে মহাকাশে রওনা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচর সুনীতা উইলিয়ামস। মাত্র ৮-১০ দিনের জন্য মহাকাশ সফরের প্রস্তুতি নিয়ে বুচ উইলমোরের সঙ্গে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে পাড়ি জমান সুনীতা উইলিয়ামস।
০৩২০
কিন্তু মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহাশূন্যেই আটকে রয়েছেন ওই দুই মহাকাশচারী। মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মহাকাশচারীদের মহাকাশে রেখে দেওয়াই নিরাপদ পন্থা।
০৪২০
প্রথমে মনে করা হয়েছিল যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সুনীতাদের নিয়ে ফিরবে বোয়িং স্টারলাইনার। পরে জানা যায়, তাঁদের না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ওই মহাকাশযান ফিরে আসবে পৃথিবীতে।
০৫২০
বোয়িং স্টারলাইনার নামের ওই মহাকাশযান থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক হচ্ছিল। সেই অবস্থায় পৃথিবীতে ফেরার চেষ্টা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেছিল নাসা।
০৬২০
বোয়িং স্টারলাইনার সুনীতাদের ছাড়াই ফিরে আসার ফলে সংস্থার বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। অন্তত সাড়ে ১২ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বোয়িং, ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যা প্রায় ১০৪৮ কোটি টাকা।
০৭২০
তবে মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে। মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে যুক্তদের একাংশের অভিযোগ, ছিদ্রপথে হিলিয়াম বেরিয়ে আসছে, তা আগে থেকেই জানত নাসা এবং বোয়িং।
০৮২০
এখনই সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে না আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
০৯২০
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরও একটি মহাকাশযান পাঠাবে নাসা।
১০২০
ইলন মাস্কের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
১১২০
আগামী ছ’মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রেই কাজ করবেন সুনীতা এবং বুচ। মহাকাশে গবেষণার কাজেই তাঁরা কাটিয়ে দেবেন এই দীর্ঘ সময়।
১২২০
তবে সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে আশঙ্কা। দীর্ঘ দিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে সুনীতা ও বুচের। যদিও নাসা দাবি করছে, সুনীতা এবং ব্যারির প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা নেই।
১৩২০
শরীরের ওপর অভিকর্ষের নিরবচ্ছিন্ন টান না থাকায় মহাকাশে মানবদেহের পেশি ও হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। দুই সপ্তাহ পরেই পেশির ঘনত্ব ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ছয় মাস থাকলে তা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
১৪২০
এ ছাড়াও মহাকাশে থাকলে দ্রুত হারে কমতে থাকে লাল রক্তকণিকার পরিমাণ। সে ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার মতো শারীরিক সমস্যারও।
১৫২০
গবেষণা বলছে, মহাকাশে থাককালীন নভোচরের প্রতি সেকেন্ডে ২ লক্ষের বদলে ৩ লক্ষ লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায়।
১৬২০
আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই রয়েছেন সুনীতারা। এর আগে ২০০৬ ও ২০১২ সালে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুনীতা। সব মিলিয়ে ৩২২ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
১৭২০
হাড় ও পেশির ক্ষয় রোধে প্রতি দিন কয়েক ঘণ্টা করে ব্যায়াম করছেন তাঁরা। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখছেন চিকিৎসকেরাও।
১৮২০
নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি দিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন সুনীতা ও বুচ। তাঁদের ওজন যাতে না কমে যায় তার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে পুষ্টিকর খাবার ও পানীয়ের।
১৯২০
নভোচরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন মহাকাশে থেকেছেন নাসার ফ্র্যাঙ্ক রুবি। তিনি ৩৭১ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশে কাটিয়েছিলেন।
২০২০
মহাকাশে একটানা সবচেয়ে বেশি সময় থাকার রেকর্ড রাশিয়ান নভোচর ভ্যালেরি পলিয়াকভের। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি মির মহাকাশ স্টেশনে ৪৩৭ দিন কাটিয়েছিলেন। (এই প্রতিবেদনে বোয়িং স্টারলাইনারকে ইলন মাস্কের সংস্থা লেখা হয়েছিল। এই তথ্য সঠিক নয়। তথ্যটি সংশোধন করা হল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)