Waitress Tonda Dickerson tipped with 70 crore rupees lottery ticket and her life was ruined after that dgtl
Tonda Dickerson
বখশিশে পাওয়া লটারির টিকিটে ৭০ কোটি টাকা! ভাগ পেতে হল মামলা, অপহরণ, চলল গুলিও
১৯৯৯ সালের ৭ মার্চের ঘটনা। দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার আলাবামা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন টোন্ডা ডিকরসন। খাবার পরিবেশন করার পর এক ক্রেতার কাছ থেকে টিপ হিসাবে তিনি পান একটি লটারির টিকিট।
সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্কশেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১২:১১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
লটারির টিকিট কাটার পর হাতেগোনা কয়েক জনের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লটারির ফলাফল জানার পর কপালে কিছুই জোটে না। কিন্তু টোন্ডা ডিকরসনের জীবন একটি লটারির টিকিটই আগাগোড়া বদলে দিয়েছিল।
প্রতীকী ছবি।
০২১৭
১৯৯৯ সালের ৭ মার্চের ঘটনা। দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার আলাবামা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন টোন্ডা। সে দিন ওই রেস্তরাঁয় খেতে আসেন এডওয়ার্ড সেওয়ার্ড নামের এক ব্যক্তি। এডওয়ার্ডের টেবিলে খাবার পরিবেশন করেছিলেন টোন্ডা। খাবার খেয়ে ওঠার সময় টোন্ডাকে টিপ দিতে যান এডওয়ার্ড।
প্রতীকী ছবি।
০৩১৭
টিপ দেওয়ার সময় নোটের বদলে এডওয়ার্ডের হাতে উঠে আসে একটি লটারির টিকিট। সেই টিকিটই টিপ হিসাবে টোন্ডার হাতে ধরিয়ে দেন তিনি। এডওয়ার্ড ভাবেন, লটারির টিকিটে সামান্য কিছু টাকা জিতবেন টোন্ডা।
প্রতীকী ছবি।
০৪১৭
তবে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করে টোন্ডার হাত টিকিট আসার ৬ দিন পর থেকে। ১৩ মার্চ লটারির ফলাফল প্রকাশ পায়। সেই লটারি থেকে ৭০ কোটি টাকা জেতেন টোন্ডা!
প্রতীকী ছবি।
০৫১৭
২০ বছর বয়সি টোন্ডার তখন সদ্য বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আর্থিক অবস্থাও খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে এত টাকা একসঙ্গে পেয়ে যেন উড়তে শুরু করে দেন তিনি। রেস্তরাঁর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টোন্ডা। কিন্তু টাকা হাতে আসার পরেই তাঁর জীবনের একের পর এক ঝড় আসতে শুরু করে।
প্রতীকী ছবি।
০৬১৭
টাকা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আলাবামার আদালতে হাজিরা দিতে হয় টোন্ডাকে। তিনি যে রেস্তরাঁয় কাজ করতেন, সেখানকার কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রেস্তরাঁর নিয়ম অনুযায়ী, টিপ হিসাবে যত টাকা পাওয়া যায় তা রেস্তরাঁর সকল কর্মীর মধ্যে সমপরিমাণে ভাগ হয়।
প্রতীকী ছবি।
০৭১৭
কিন্তু লটারির টাকা পাওয়ার পর টোন্ডা ওই রেস্তরাঁর কর্মীদের এক টাকাও দেননি। পরিবর্তে সেখান থেকে চাকরিই ছেড়ে দেন তিনি। সাক্ষী হিসাবে এক যুগলও হাজির হয় আদালতে। ওই যুগলের দাবি, তাঁদের সামনে টোন্ডা স্বীকার করেছিলেন যে,লটারি জিতে টাকা পেলে তা রেস্তরাঁর অন্য কর্মীদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করবেন। কিন্তু এখন এত টাকার মালিক হয়ে যাওয়ার পর কথার খেলাপ করছেন টোন্ডা।
প্রতীকী ছবি।
০৮১৭
আলাবামা আদালতের তরফে টোন্ডার কাছে ২৪ কোটি টাকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি টাকা সকলের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলে আদালত। কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্ত মানেননি টোন্ডা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তিনি।
প্রতীকী ছবি।
০৯১৭
২০০০ সালে আলাবামার সুপ্রিম কোর্টের তরফে আগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওয়া হয়। তার পর টোন্ডা লটারিতে জেতা টাকা পারিবারিক ব্যবসায় খরচ করতে থাকেন।
প্রতীকী ছবি।
১০১৭
টোন্ডা নিজের জীবন এ ভাবে গুছিয়ে নিতে দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এডওয়ার্ড। তিনিও টোন্ডার কাছে এই টাকার ভাগ চান। কিন্তু টোন্ডা তাঁকে ফিরিয়ে দেন।
প্রতীকী ছবি।
১১১৭
রাগের টোন্ডার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এডওয়ার্ড। লটারিতে জিতলে টোন্ডা সেই টাকায় এডওয়ার্ডকে একটি ট্রাক কিনে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন, এমনটাই দাবি করেন এডওয়ার্ড। কিন্তু টাকা পাওয়ার পর টোন্ডা কথার খেলাপ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু এডওয়ার্ডের এই অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ করেন টোন্ডা। ফলে এই মামলা জিতে যান তিনি।
প্রতীকী ছবি।
১২১৭
এডওয়ার্ডের মামলা মেটার পর টোন্ডার জীবনে ঘনিয়ে আসে আরও বড় বিপদ। রাস্তার মাঝখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতীকী ছবি।
১৩১৭
উত্তর আলাবামার জ্যাকসন কাউন্টির একটি নির্জন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয় টোন্ডাকে। সেখানে একটি নৌকায় উঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। নৌকায় উঠে টোন্ডা দেখতে পান তাঁর সামনে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্টেসি মার্টিন, টোন্ডার প্রাক্তন স্বামী।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৭
টোন্ডার টাকায় ভাগ বসানোর সুযোগ ছাড়েননি স্টেসিও। তাই বন্দুকের নলের সামনে ভয় দেখিয়ে টোন্ডার কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন তিনি। কিন্তু টোন্ডাও এত সহজে ভয় পাওয়ার পাত্রী নন। স্টেসির হাত থেকে কোনও রকমে বন্দুক ছিনিয়ে তাঁর বুকে গুলি চালিয়ে দেন টোন্ডা।
প্রতীকী ছবি।
১৫১৭
প্রাণে বাঁচতে স্টেসি সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে যান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অপহরণ বা গুলি চালানোর অপরাধে কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
প্রতীকী ছবি।
১৬১৭
গুলি চালানোর ঘটনার পর স্টেসি আর টোন্ডাকে বিরক্ত করেননি। তবে, ঘটনার ১২ বছর পর টোন্ডাকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, তিনি যেন আয়করের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ উপঢৌকন করও দেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৭
টোন্ডা অবশ্য লটারির জেতা টাকা এখনও খরচ করতে পারেননি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের তিনি বাকি টাকা দিয়ে দেন। বর্তমানে মিসিসিপির একটি ক্যাসিনোয় কর্মরত রয়েছেন টোন্ডা। টিপ হিসাবে পাওয়া সামান্য লটারির টিকিট যে তাঁর জীবনে এমন পরিবর্তন এনে দিয়েছে, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না টোন্ডা।