পাপ কাকে বলা যায়? এই প্রশ্ন সম্ভবত সভ্যতার আদি থেকেই মানুষকে ভাবিয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টীয় এবং ইসলামিক সংস্কৃতিতে পাপ বার বার আলোচিত। পাপের শাস্তিগুলিও ধর্মগ্রন্থে বা পুরাণগুলিতে উল্লিখিত। জীবনানন্দ তাঁর এক কবিতায় লিখেছিলেন ‘সৃষ্টির মনের কথা মনে হয়— দ্বেষ’। মানুষ কি কেবল মাত্র বিদ্বেষ থেকেই পাপ করে? নাকি ‘পাপ’ হিসেবে চিহ্নিত বিষয়গুলির পিছনে রয়েছে আরও কিছু ইন্দ্রীয়-তাড়না? বিভিন্ন ধর্মে উল্লিখিত প্রধান পাপগুলিকে এক বার ফিরে দেখা যেতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে।
নীতিশাস্ত্র অনুসারে সমাজের কোনও নিয়ম ভঙ্গকে ‘অপরাধ’ হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু ‘পাপ’ আর ‘অপরাধ’ এক জিনিস নয়। ‘পাপ’-এর সঙ্গে ধর্মের অঙ্গাঙ্গী যোগ রয়েছে। একেকটি ধর্ম পাপকে তার নিজস্ব সামাজিক প্রেক্ষিত থেকে দেখেছে। অপরাধ যদি সামাজিক নীতিভঙ্গ হয়ে থাকে, পাপ তবে ব্যক্তিগত নীতিবোধ লঙ্ঘন। এই বোধটিও অবশ্য সমাজেরই সৃষ্টি। এখানে একে একে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টীয় এবং ইসলামে বর্ণিত পাপগুলির কথা আলোচিত হল।