Mangoes: কড়কড়ে ৫০০ টাকায় এক পিস আম কিনলেন কৃষিমন্ত্রী, সঙ্গে কাঠের ছুরি!
মুর্শিদ কুলি খাঁ এই আম এনেছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের ব্রহ্মদেশ (বর্তমানে মায়ানমার) থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১২:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
এক পিস আমের দাম ৫০০ টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই কোহিতুর আমের জন্ম আবার পশ্চিমবঙ্গের বুকে। স্বয়ং মুর্শিদ কুলি খাঁ এই আম এনেছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের ব্রহ্মদেশ (বর্তমানে মায়ানমার) থেকে।
০২১৮
বর্তমানে মুর্শিদাবাদে কোহিতুর আমের গাছ রয়েছে। কোহিতুর আমের বৈশিষ্ট্য হল— এই আমটি ধাতব কোনও ছুরি দিয়ে কাটা যায় না। কাটলেই সেই আমের স্বাদ ও রং দুই-ই নষ্ট হয়ে যায়। বরং কাঠের ছুরি দিয়ে কোহিতুর আম কাটা হয়।
০৩১৮
রসালো আমের স্বাদের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করা যায় না। শুধু কোহিতুর আমই নয়, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে এমন অনেক ধরনের আম রয়েছে, যা মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় জুড়ে পাকতে থাকে।
০৪১৮
এর মধ্যে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাঙড়া, আম্রপালি, লক্ষ্মণভোগ প্রভৃতি আমের স্বাদ সবার থেকে এগিয়ে। শুধু তা-ই নয়, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানিও করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির আম।
০৫১৮
সবার প্রথমে আসা যাক হিমসাগর আমের কথায়। জুন মাসের ৭ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে এই আম পাকে।
০৬১৮
জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে পাকতে শুরু করে ল্যাঙড়া আম। ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই প্রায় এক মাস ধরে ল্যাঙড়া আম পাকে।
০৭১৮
লক্ষ্ণণভোগ আমও একই সময়ে পাকে। ল্যাঙড়া আমের সমসাময়িক লক্ষ্মণভোগ আম পাকতেও এক মাস সময় লাগে।
০৮১৮
এর পর আসা যাক আম্রপালি আমের কথায়। জুন মাসের শেষের দিকে ২৮ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে এই আম পাকতে দেখা যায়।
০৯১৮
রানির কি সত্যিই পছন্দের এই ‘রানিপসন্দ’ আম? তা জানা না গেলেও, এই আমটি জুন মাসের গোড়ার দিকেই পাকতে শুরু করে। জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই এই আম পেকে যায়।
১০১৮
আমের মরশুম শুধু জুন-জুলাই মাসেই নয়, মে মাস থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এমন কয়েক প্রজাতির আম রয়েছে যা মে মাস থেকেই পাকা শুরু করে।
১১১৮
সারেঙ্গা আম মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পাকা শুরু করে ওই মাসের শেষ পর্যন্ত সময় নেয়। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে এই সারেঙ্গা আম পাকে।
১২১৮
গোলাপ তো সারা বছর পাওয়া যায়। তবে মে মাসের শেষের দিকে পাকতে শুরু করে গোলাপখাস আম। ২৭ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে এই আম পাকতে দেখা যায়।
১৩১৮
‘মুলায়মজাম’! নামে জাম থাকলেও এটি এক প্রজাতির আমের নাম। ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই আমটি পাকে।
১৪১৮
পেয়ারাফুলি আম ১২ জুন নাগাদ পাকতে শুরু করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই আম পেকে যায়।
১৫১৮
পেয়ারাফুলি আম যখন পাকার শেষ মুহূর্তে, ঠিক সেই সময়ই পাকতে শুরু করে মল্লিকা আম। ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এই আম পাকে।
১৬১৮
সূর্যপুরী আম পাকার সময় জুলাই মাস থেকে শুরু করে অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। ১৫ অগস্টের মধ্যে এই আম পেকে যায়।
১৭১৮
জুলাই মাসের গোড়া থেকে পাকতে শুরু করলেও প্রায় দু’মাস সময়কাল নিয়ে ফজলি আম পাকে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফজলি আম পাকা শেষ হয়।
১৮১৮
আশ্বিনা আম পাকতে শুরু করে জুলাই মাসের শেষের দিকে। ২৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আশ্বিনা আম পাকে।