Ukrainian millionaire Andrey Stavnitser claimed he contacted Kyiv's military to bomb his own house, disclosed the reason dgtl
Russia
Russia Ukraine War: কিভে তাঁর প্রাসাদে ঘাঁটি রুশ সেনার, ক্ষেপণাস্ত্রে নিজেরই বাড়ি ধ্বংস করলেন ধনকুবের!
দেশবাসীকে বাঁচাতে ইউক্রেনীয় সেনার সাহায্যে নিজের সাধের বাড়িটি ধ্বংস করিয়েছেন বলে দাবি সে দেশের ধনকুবের আন্দ্রে স্টাভনিৎসার।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে হয়তো অস্ত্র তুলে নেননি তিনি। তবে দেশবাসীকে বাঁচাতে ইউক্রেনীয় সেনার সাহায্যে নিজের সাধের বাড়িটি ধ্বংস করিয়েছেন সে দেশের ধনকুবের আন্দ্রে স্টাভনিৎসার। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করেছেন তিনি।
০২১৭
আন্দ্রের দাবি, গত ৫ মার্চ তাঁর বাড়িটির দখল করে নেয় রুশ সেনাবাহিনী। তাতে সেনাঘাঁটি গড়ে তুলে সেখান থেকেই কিভে হামলা চালানোর বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল তারা। এমনকি, কিভের বাসিন্দাদের থেকে লুঠপাট করা অসংখ্য টেলিভিশন, ল্যাপটপ, আইফোনের মতো দামি সামগ্রীও সেই বাড়িতে জমা করতে শুরু করেছিল রুশ সেনা।
০৩১৭
তাঁর বাড়িতে বসেই যে কিভ ধ্বংসের ছক কষা হচ্ছে, তা কী ভাবে টের পেলেন আন্দ্রে? ব্রিটিশ টেলিভিশনের এক শো-তে গোটা বিষয়টা খোলসা করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
০৪১৭
নিজের বিলাসবহুল বাড়ি ধ্বংস করাটা কি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল না? টিভি শোয়ে উল্টো দাবি আন্দ্রের। তিনি বলেন, ‘‘এমন যে করব, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। (দেশের) সেনাবাহিনীর সাহায্যে আপনি তো বেশি কিছু করতে পারেন না। এবং আমার কাছে ওই একটাই সুযোগ ছিল।’’
০৫১৭
আন্দ্রের দাবি, ইউক্রেন আক্রমণের দিন কয়েকের মধ্যেই কিভের শহরতলিতে তাঁর নতুন বাড়িতে হানা দিয়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। তার আগেই অবশ্য ওই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন আন্দ্রে। তবে সেখানে থেকে গিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা।
০৬১৭
বাড়ি দখল করার পর তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের উপর অত্যাচার চালানো হয় বলেও দাবি করেছেন আন্দ্রে। নগ্ন করে তল্লাশি এবং জেরা করা ছাড়াও তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় রুশ সেনারা।
০৭১৭
আন্দ্রের দাবি, তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল ঘেঁটে ‘নাৎসি-যোগ’-এর প্রমাণ খুঁজেছিল পুতিনের বাহিনী। তবে সে প্রমাণ না মেলায় মোবাইলগুলি নষ্ট করে ফেলে।
০৮১৭
দিন কয়েকের বন্দিদশার পর ওই নিরাপত্তারক্ষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। তবে তাঁদের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনও রসদ ছাড়াই জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিভের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছন ওই রক্ষীরা। সেখান থেকেই আন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা।
০৯১৭
নিজের বাড়ির থেকে দূরে থাকলেও তার উপর নজর রাখতে সেখানকার নজরদার ক্যামেরাগুলিকে সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি আন্দ্রের। তবে রুশ সেনারা সবক’টি ধ্বংস করে ফেলেছিলেন। বহু প্রচেষ্টার পর আন্দ্রের নজরে পড়ে, একটি ক্যামেরা তখনও রুশ সেনাদের অলক্ষে রয়ে গিয়েছে।
১০১৭
ওই ক্যামেরাটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সফল হয়েছিলেন আন্দ্রে। সেখান থেকেই নিজের বাড়ির ভিতরের ছবি দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ!
১১১৭
তাঁর বাড়িটিকে প্রায় সেনা ছাউনি বানিয়ে ফেলেছেন রুশ সেনারা। তাতে কিভ লুঠের সামগ্রী তো ছিলই, জানলা দিয়ে সাঁজোয়া গাড়িও দেখতে পান আন্দ্রে। গাড়িতে ছিল ক্ষেপণাস্ত্র (বা মাল্টিপল রকেট লঞ্চার) বিএম-২১ গ্রাদ।
১২১৭
প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যভেদে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যেই যে কিভ ধ্বংসের পরিকল্পনা ছিল রুশ সেনাদের, দাবি করেছেন আন্দ্রে। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর বাড়িকেই কেন্দ্র করে কিভে হানাদারির যাবতীয় ছক কষছে রুশ সেনা।
১৩১৭
দেশবাসীর প্রাণ বাঁচাতে এ বার অভিনব পন্থা নেন আন্দ্রে। রুশ সেনাঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়ার ছক কষেন তিনি। সে জন্য নিজের নতুন বাড়িটিতে বোমাবর্ষণ করাতেও পিছুপা হননি তিনি।
১৪১৭
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আন্দ্রে এ বার দেশের বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজের বাড়িতে বোমাবর্ষণের জন্য তাদের অনুরোধ করেন বলে দাবি।
১৫১৭
নিজের সদ্য তৈরি সাধের বাড়িটিতে বোমাবর্ষণ করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় বায়ুসেনা। আন্দ্রের দাবি, ওয়েবক্যামের সাহায্যে গোটাটাই দেখেছেন তিনি। বোমাবর্ষণে ওই বাড়ি ছাড়াও রুশ সেনাবাহিনীর ১২টি সাঁজোয়া গাড়িও ধ্বংস করা গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
১৬১৭
আন্দ্রের দাবি, ‘‘দু’মাস আগে হলেও বাড়িতে ওই সেনাদের দেখে হয়তো রেগে যেতাম। তবে তেমনটা মনে হয়নি। বরং বিরক্ত লাগছিল। শত্রুদেশের কতগুলি লোক আমার বাড়ির ভিতরে হেঁটেচলে বেড়াচ্ছে দেখে গা ঘিনঘিন করছিল।’’
১৭১৭
নিজের বাড়িটি যে তাঁর অতি সাধের ছিল, তা-ও জানিয়েছেন আন্দ্রে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অর্থকরী বিষয় নয়। একটা বাড়ি তৈরিতে যে প্রচেষ্টা লাগে, সেটাই আসল। ওই বাড়িটা বেশ সুন্দর ছিল বটে। তবে ইউক্রেনের জয় ছাড়াও ইউরোপকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যা সম্ভব, সব কিছু করার চেষ্টা করেছি।’’