১৯৯৯ সালে বুর্জ আল আরব হোটেলটি তৈরি হয়। সে বছরের ১ ডিসেম্বর হোটেলটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। আরবেরই এক হোটেল সংস্থা বুর্জ আল আরব হোটেলটি তৈরি করেছে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
বুর্জ আল আরব। আরব আমিরশাহির বিলাসবহুল বহুতল হোটেল। সেই হোটেল যেমন ঝাঁ-চকচকে, তেমনই তার উচ্চতা। বুর্জ আল আরবই বিশ্বের একমাত্র হোটেল যা ‘১০ তারা’ হোটেলের তকমা পেয়েছে।
০২১৫
১৯৯৯ সালে বুর্জ আল আরব হোটেলটি তৈরি হয়। সে বছরের ১ ডিসেম্বর হোটেলটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। আরবেরই এক হোটেল সংস্থা বুর্জ আল আরব হোটেলটি তৈরি করেছে।
০৩১৫
বুর্জ আল আরব বিশ্বের উচ্চতম হোটেলগুলির মধ্যে অন্যতম। যদিও বিলাসবহুল সেই ইমারত এমন ভাবে তৈরি, যাতে হোটেলটির মাত্র ৬১ শতাংশ ব্যবহার করা যায়। বাকি ৩৯ শতাংশ ব্যবহারযোগ্য নয়।
০৪১৫
প্রায় ২৪ বছর আগে বুর্জ আল আরব হোটেল তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১০০ কোটি ডলার। ভারতীয় টাকায় প্রায় ৮৩৩৭ কোটি টাকা।
০৫১৫
আরবের জুমেইরাহ সৈকত থেকে ২৮০ মিটার দূরে একটি কৃত্রিম দ্বীপে রয়েছে বিশ্বের একমাত্র ১০ তারা হোটেল। একটি সেতুর মাধ্যমে হোটেলটি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত।
০৬১৫
বুর্জ আল আরব দেখতে অনেকটা জাহাজের পালের মতো। হোটেলের মধ্যে মোট ১৯৯টি বিলাসবহুল কামরা রয়েছে। হোটেলের সবচেয়ে ছোট কামরার আয়তন ১৬৯ বর্গমিটার এবং সব থেকে বড় কামরাটির আয়তন ৭৮০ বর্গমিটার।
০৭১৫
বুর্জ আল আরব হোটেলের প্রতিটি কক্ষ থেকেই সমুদ্র দেখা যায়। প্রতিটি কক্ষেই রয়েছে কাচের দেওয়াল। এ ছাড়াও প্রতিটি কক্ষে রয়েছে অত্যাধুনিক গ্যাজেট।
০৮১৫
অন্যান্য সুবিধার মধ্যে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই, দেওয়ালজোড়া টিভি, স্পিকার তো রয়েইছে। বিশ্বের যে কোনও বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে গেলেই এই সুবিধা মেলে। তবে বুর্জ আল আরব আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, যা অন্যান্য হোটেল চট করে পাওয়া যায় না।
০৯১৫
বুর্জ আল আরব হোটেলে মোট আটটি রেস্তরাঁ রয়েছে। প্রতিটি রেস্তরাঁতে আলাদা আলাদা পদ তৈরি হয়। রেস্তরাঁর অন্দরে রয়েছে একটি বিলাসবহুল স্পা। হোটেলের নীচে বিভিন্ন ধরনের জলক্রীড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
১০১৫
হোটেলের মাঝামাঝি ‘মেরিনা গার্ডেন’ নামে একটি বড় বারান্দা রয়েছে। সেই বারান্দাতে দু’টি সুইমিং পুল, ৩২টি আরাম করার জায়গা, একটি রেস্তরাঁ এবং একটি পানশালা রয়েছে।
১১১৫
৬৫৬ ফুট উঁচু হোটেলটির ছাদেও একটি পানশালা রয়েছে। তবে অতিথিরা চাইলে সেখানে বসে গল্পও করতে পারেন। হোটেলের মধ্যে আলাদা করে জিম এবং খেলাধুলোর জায়গা রয়েছে। রয়েছে ছোটখাটো একটি হাসপাতালও।
১২১৫
বুর্জ আল আরবে অতিথিদের আপ্যায়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। হেলিকপ্টারে বা বহুমূল্য গাড়িতে চাপিয়ে অতিথিদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টার ওঠানামার জন্য হোটেলের ছাদেই হেলিপ্যাড রয়েছে। হোটেল থেকে কোনও অতিথি বাইরে ঘুরতে গেলেও হোটেলের তরফে তাঁর জন্য বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
১৩১৫
বুর্জ আল আরবের তরফে প্রত্যেক অতিথির জন্য আট জন করে ব্যক্তিগত সহায়কের ব্যবস্থা করা হয়। ২৪ ঘণ্টা হোটেলকক্ষের সামনেই থাকেন তাঁরা। যখন যা প্রয়োজন, হাতের কাছে এনে দেন।
১৪১৫
কিন্তু যে হোটেলে এত সুযোগসুবিধা, এত আরাম, সেই হোটেলে থাকার খরচ কত? সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুর্জ আল আরবে এক দিন থাকতে সর্বনিম্ন আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। সব থেকে দামি কক্ষে থাকার খরচ আরও অনেক বেশি। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
১৫১৫
উল্লেখযোগ্য যে, বুর্জ আল আরবে সারা বছর যত অতিথি আসেন, তাঁদের মধ্যে চিনের পর্যটকদের সংখ্যা বেশি।