এ কথা প্রায় সকলেই জানেন যে, ‘রামায়ণ’-এর রচয়িতা মহাকবি বাল্মীকি। কিন্তু এই মহাকাব্যের আদিকাণ্ডেই বলা হয়েছে যে, রামকথা বাল্মীকির কল্পনা থেকে জাত নয়। বরং ইক্ষ্বাকু বংশের রাজা রামচন্দ্রের জীবন ও কাহিনি সম্পর্কে অনেকেই অবগত ছিলেন। কবিত্বশক্তি লাভের পরে যখন বাল্মীকি কী নিয়ে কাব্য রচনা করবেন বলে ভাবছেন, তখন দেবর্ষি নারদ তাঁর সামনে আবির্ভূত হন। বাল্মীকি দেবর্ষিকে তাঁর সমস্যার কথা জানান।
বাল্মীকি নারদকে জানান যে, তিনি সর্ব সুলক্ষণযুক্ত এবং সর্বগুণান্বিত কোনও পুরুষকে কেন্দ্র করে এক মহাকাব্য রচনা করতে আগ্রহী। তেমন কোনও পুরুষের সন্ধান কি নারদ তাঁকে দিতে পারেন? এর উত্তরে নারদ তাঁকে ইক্ষ্বাকু বংশের রাজা রামচন্দ্রের কথা জানান। তিনি কয়েকটি মাত্র শ্লোকে রামচন্দ্রের কীর্তি বর্ণনা করে বলেন যে, এই সর্ব সুলক্ষণযুক্ত ও সর্ব গুণান্বিত পুরুষোত্তম সম্প্রতি একশো অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন। কয়েক হাজার ব্রাহ্মণকে গাভী দান করেছেন এবং আরও অনেক সুকর্ম করেছেন। ধরাধামে ধর্ম প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হলে রামচন্দ্র ব্রহ্মলোকে ফিরে যাবেন। বাল্মীকি রামচন্দ্রের কাহিনিকে তাঁর কাব্যে অমর করে রাখতে পারেন।