ক্যাথলিন পারিবারিক সমস্যা এবং অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী। কেরিয়ারের গোড়ায় তিনি যে আইনি সংস্থায় কাজ করতেন, ঘটনাচক্রে সেখানে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সকলেই ছিলেন পুরুষ। তাঁদের কাছে ক্যাথলিনের দাবি ছিল, তিনি গোলাপি পোশাকে আদালতে সওয়াল করতে চান। তবে তাঁরা ক্যাথলিনকে সাফ জানিয়েছিলেন, আদালতে গোলাপি পোশাক পরা যথাযথ নয়।
ওই ভিডিয়োর সঙ্গে ক্যাথলিন লিখেছেন, ‘পুরুষ আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করার সময় তাঁরা বলেছিলেন, প্রথাগত পোশাক পরতে, যাতে লোকে আমাকে সিরিয়াসলি নেয়।’ ওই ভিডিয়োতে এর পরেই ফুটে উঠেছে ক্যাথলিনের ‘গোলাপি বিদ্রোহের’ ছবি। তাতে দেখা গিয়েছে, তিন জন সহকর্মীর সঙ্গে ক্যাথলিন। সকলের পরনেই গোলাপি স্যুট-জ্যাকেট। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘সুতরাং আমি নিজের গোলাপি ব্র্যান্ডের ফার্ম শুরু করি যা দিয়ে ওই পুরুষ আইনজীবীদের মক্কেলদের হয়ে কাজ করছি।’
খোলামেলা পোশাকে আদালতে গেলে তা কর্মক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না, তা-ও মনে করেন ক্যাথলিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘খাটো স্কার্ট হোক বা বক্ষ বিভাজিকা উন্মুক্ত করা পোশাক, মহিলা আইনজীবীরা কী পরে আদালতে যান, সেটা বিচার্য হওয়া উচিত নয়। আমার ফার্মের কর্মীদের ডক্টরেট-সহ আইনের ডিগ্রি রয়েছে, কারণ আমরা স্মার্ট। আইনি পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার দক্ষতার মাপকাঠি কখনই পরনের পোশাক হতে পারে না।’’
নিজের ফার্ম শুরুর সময় গোলাপি রংকেই কেন বেছে নিলেন ক্যাথলিন? তিনি বলেন, ‘‘ফার্ম শুরু করার সময় এ ভাবেই নিজেদের ব্র্যান্ড হিসাবে পেশ করেছি। আর গোলাপি রঙের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে স্মার্ট, পেশাদার নারীদের সামনের বাধাকে ভাঙতে চেয়েছি। আমরা তো নারীত্বকেই উদ্যাপন করেছি এবং তা সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy