সংশ্লিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দু’কোটি ১১ লক্ষ মহিলা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকার। বাজেট পেশের সময় চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘আমাদের মা-বোনেদের হাত শক্ত করার জন্য এই মা-মাটি-মানুষের সরকার আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শ্রেণির জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করে মাসিক ১,২০০ টাকা এবং অন্যদের জন্য এই সহায়তা বৃদ্ধি করে মাসিক ১০০০ টাকা হবে।’’
অবহেলা নয় মৎস্যজীবীদেরও। নতুন প্রকল্প আনল রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের জন্য বাজেটে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পে বর্ষার দু’মাস ভাতা বাবদ মৎসজীবীদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বরাদ্দ করা হবে ২০০ কোটি টাকা। উপকৃত হবেন দু’লক্ষ মৎস্যজীবী। ঘোষণা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমার।
সুখবর সিভিক ভলিন্টিয়ারদের জন্যও। বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ এবং গ্রিন পুলিশদের ভাতা বাড়ল ১০০০ টাকা। এর জন্য ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এখন থেকে রাজ্য পুলিশের ২০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত থাকবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য, বলেও জানান অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। যা এত দিন ১০ শতাংশ ছিল।
রাজ্যের দারিদ্রের হার কমছে বলে বাজেট পেশ করার সময় জানান চন্দ্রিমা। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর আগে, ৫৭.৬০ শতাংশ রাজ্যবাসী দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন। তৃণমূল সরকার আসার পর দু’কোটির বেশি মানুষের জীবিকা সংস্থান হয়েছে। ফলে দারিদ্রসীমার নীচের মানুষের সংখ্যা কমে ৮.৬০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন বাংলায় বেকারত্বের হার দেশের তুলনায় ৩ শতাংশ কম।
প্রসঙ্গত, বাজেট শেষেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিধানসভা অধিবেশন শেষ হতেই কারা কী পেলেন না তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন ‘‘শূন্যপদে নিয়োগের কোনও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই এই বাজেটে। এখানে পাহাড়, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন উপেক্ষিত। কৃষকদের জন্যেও তেমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি বাজেটে। আশাকর্মী, পঞ্চায়েতে কর আদায়কারী, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আংশিক সময়ের জন্য কাজ করেন, তাঁদের জন্য বাজেটে কোনও বৃদ্ধির ঘোষণা নেই। শিল্পের কোনও দিশাও বাজেটে দেখাতে পারেনি সরকার।’’
জাতপাত প্রসঙ্গেও মমতা সরকারের এই বাজেটকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চেয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘যে সংখ্যালঘুরা ভোট দিয়ে ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন, বাজেটে তাঁদের উন্নয়নের জন্য কোনও ঘোষণা নেই। তাঁদের বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে। এমনকি, আদিবাসী, লেপচা, ভুটিয়ারাও এই বাজেটে উপেক্ষিত। হাসপাতাল, শিক্ষার খাতেও বাজেটে কোনও বরাদ্দ করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy