আড়েবহরে বিশাল হয় এরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের মধ্যে গণ্য করা হয় এই প্রজাতিকে। চেহারা ভয়ের উদ্রেক করলেও সাপের এই প্রজাতি কিন্তু একেবারেই নির্বিষ। শিকারকে শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে ভয়াবহ চাপ দিতে থাকে এরা। সেই চাপেই শিকারের হাড়গোড় ভেঙে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। তার পর শিকারকে আস্ত গিলে খায় সাপটি। শিকার ধরার কায়দাও রোমহর্ষক। এদের চলাফেরা প্রায় নিঃশব্দ। তড়িৎগতিতে জল কেটে শিকারকে ঘায়েল করতে ওস্তাদ আমাজনের রাজা।
ওয়াওরানি অঞ্চলে দলটি যে সাপটি খুঁজে পেয়েছে, সেটি একটি স্ত্রী অ্যানাকোন্ডা। লম্বায় এটি ৬.৩ মিটার বা ২০.৮ ফুট। সাপের মাথাটি মানুষের মাথার সমান বড়। ওজনে মানুষের থেকে তিন গুণ ভারী। দেহটি গাড়ির টায়ারের সমান প্রশস্ত। গবেষকেরা বিশ্বের বৃহত্তম সাপের নতুন প্রজাতিটির ল্যাটিন নাম রেখেছেন ‘ইউনেক্টেস আকাইমা’। এর অর্থ ‘উত্তরের সবুজ বড় সাপ’।
দু’টি প্রজাতি দেখতে এতটাই এক যে, বিশেষজ্ঞেরাও তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। তবুও তাদের মধ্যে ৫.৫ শতাংশ জিনগত পার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। ওয়াওরানি সম্প্রদায়ের কাছে অন্যান্য অ্যানাকোন্ডা সম্পর্কেও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এদের দাবি, এই সাপ নাকি লম্বায় ৭.৫ মিটারেরও বেশি এবং ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy