২০১৪ সালে পর্বতাভিযানের একটি দলের সঙ্গে ভিড়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল শীতলের। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘এককালে এনসিসি-র সদস্য ছিলাম। সে সময় পর্বতাভিযানের কথা জানিয়েছিল ওরা। তখন সে কথা বাড়িতে জানাতে পারিনি। বলেছিলাম, একটা ট্রিপে যাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে ‘না’ করে দিয়েছিলেন মা-বাবা। তবে কোনও রকমে মা-বাবাকে রাজি করিয়েছিলাম। ফিরে এলে ওঁরা জানতে পারেন যে আমি পাহাড়ে গিয়েছিলাম। ব্যস্! বাড়ির সকলের দেদার বকুনি শুরু হয়েছিল।’’
২০১৪ সালের পর থেকে বার বার ছোটখাটো অভিযান করেছেন শীতল। পরের বছর কোর্স করার পর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। শীতলের কথায়, ‘‘দার্জিলিঙের ইনস্টিটিউটে আমরা দেড়শো জন মেয়ে ছিলাম। বেসিক কোর্স করার সময় রিনোক নামে একটা পাহাড়ে চড়েছি। তবে আমাদের মধ্যে কেবলমাত্র ৫৩ জনই তাতে চড়তে পেরেছিল। আর একটি অভিযানে সফল হওয়ার পর আমরা ১৫ জন মিলে মাউন্ট ত্রিশূল চ়ড়েছিলাম। তাতে বেসিক কোর্স পাস করি।’’
শীতলের সঙ্গে আলাপচারিতার পর চৌহান জানতে পারেন যে পাহাড়ে অভিযানের আর্থিক সামর্থ্য নেই মেয়েটির। তিনি বলেন, ‘‘সে সময় ওএনজিসি-র তরফে আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানের তোড়জোড় করছিলাম। ওই অভিযানের জন্য ওএনজিসি-র আধিকারিকদের কাছে শীতলের নাম সুপারিশ করি। অভিযানের সময় শীতলের যাবতীয় ব্যয়ভার বহনে রাজি হয়ে যান তাঁরা।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানের শেষ মুহূর্তের কথা এখনও স্পষ্ট মনে রয়েছেন শীতলের। তিনি বলেন, ‘‘২১ মে রাত সাড়ে ৩টেয় আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘার শীর্ষে পৌঁছেছিলাম। মনে হয়েছিল, নিজের ঘরে এলাম। তবে এত অন্ধকার যে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে সূর্যোদয় হল। ভোরের আলোয় চোখে পড়ল, এক পাশে ভারত আর অন্য দিকে নেপাল। আর সামনে চিনের সীমান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy