Satish Kaushik's film Tere Naam helped Salman Khan's sinking career in Bollywood dgtl
Salman Khan
পর পর ফ্লপ, ঐশ্বর্যাকে মারধরের অভিযোগ! নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে ওঠা সলমনকে বাঁচান সতীশ
পরিচালক সতীশ কৌশিকের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন সলমন খান। সতীশের শেষযাত্রায় সলমনের আবেগঘন চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। এই সতীশই এক সময় সলমনকে বাঁচিয়েছিলেন।
সংবাদ সংস্থা
মুম্বইশেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ১৬:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
আশির দশকের একে বারে শেষলগ্নে বলিপাড়ায় হাতেখড়ি হয়েছিল সলমন খানের। তার পর যত দিন গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে তাঁর তারকা দ্যুতি। কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় থাকতে থাকতেই আচমকা ছন্দপতন ঘটেছিল ‘সল্লুভাই’-এর। নানা বিতর্ক ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। নায়ক থেকে রাতারাতি যেন ‘খলনায়ক’ হয়ে উঠেছিলেন। ধাক্কা খেয়েছিলেন বক্স অফিসেও। ফিল্মি কেরিয়ারে খাদের কিনারায় পৌঁছেছিলেন ভাইজান। এই অবস্থায় সলমনের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরিচালক সতীশ কৌশিক।
ছবি সংগৃহীত।
০২১৫
মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন সতীশ। অনেকের মতো তাঁর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন সলমনও। পরিচালকের শেষযাত্রায় সলমনের আবেগবিহ্বল চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এর পরই চর্চায় এসেছে সলমনের কেরিয়ারে সতীশের অবদানের কথা।
ছবি সংগৃহীত।
০৩১৫
১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডের নায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল সলমনের। তার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অশ্বমেধের ঘোড়ার মতোই ছুটেছেন। তবে এই দৌড়ের সময়ই হোঁচট খেতে হয়েছিল সল্লুভাইকে।
০৪১৫
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কেরিয়ারে খানিকটা ভাটার মুখে পড়েছিলেন সলমন। তাঁর কয়েকটি ছবি তেমন ভাবে সাড়া ফেলেনি। সেই সময় একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে বক্স অফিস মাতিয়েছিলেন শাহরুখ খান।
ছবি সংগৃহীত।
০৫১৫
এক দিকে, কেরিয়ারে হিট ছবির ভাটা, সেই সঙ্গে বিতর্ক— এই দুই মিলিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল সলমনকে। ১৯৮৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন সলমন।
ছবি সংগৃহীত।
০৬১৫
ওই ছবির শুটিংয়ের সময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। এই বিতর্ক থিতু হতে না হতেই বলিপাড়ায় রটে গিয়েছিল সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের প্রেমের গুঞ্জন।
ছবি সংগৃহীত।
০৭১৫
সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সময় সলমন এবং ঐশ্বর্যার বহুলচর্চিত প্রেমের শুরু। কিন্তু এই সম্পর্ক পরে তিক্ততায় পরিণত হয়। ঐশ্বর্যাকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় বি-টাউনে।
ছবি সংগৃহীত।
০৮১৫
সলমনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঐশ্বর্যার পরিবার। ২০০২ সালে মার্চ মাসে বিচ্ছেদ হয় এই তারকা জুটির। ছবির থেকেও তখন সলমনের ব্যক্তিজীবন খবরের শিরোনামে। এই সময় শাহরুখের সঙ্গেও তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়।
ছবি সংগৃহীত।
০৯১৫
ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাসের মধ্যেই আরও এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সলমন। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুম্বইয়ের ফুটপাতে সলমনের বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১ জনের। জখম হন আরও ৩ জন। দুর্ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে পালানোর অভিযোগ ওঠে নায়কের বিরুদ্ধে। এ জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।
ছবি সংগৃহীত।
১০১৫
একের পর এক বিতর্ক, সম্পর্কে ভাঙন— রাতারাতি বলিউডের ‘ব্যাড বয়’ হয়ে উঠেছিলেন সলমন। এই সময়ই ভাইজানকে তাঁর আগের সিংহাসন ফিরিয়ে দেন পরিচালক সতীশ কৌশিক।
ছবি সংগৃহীত।
১১১৫
তৈরি হয় ‘তেরে নাম’ ছবি। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সলমনের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ভূমিকা চাওলাকে।
ছবি সংগৃহীত।
১২১৫
সলমনের কেরিয়ারে ‘তেরে নাম’ একটা মাইলফলক ছবি। কারণ, এই ছবির হাত ধরেই নায়কোচিত কায়দায় বলিপাড়ায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল সলমনের।
ছবি সংগৃহীত।
১৩১৫
ছবিতে সলমনের ‘রাধে’ চরিত্রে মজেছিলেন দর্শকরা। বিশেষত, ছবিতে সলমনের কেশসজ্জা সেই সময় দেশের লাখ লাখ তরুণ অনুকরণ করেছিলেন।
ছবি সংগৃহীত।
১৪১৫
ছবির গানও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সবমিলিয়ে ‘তেরে নাম’ সলমনের ফিল্মি কেরিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই বলে থাকেন, সতীশ কৌশিক যদি সেই সময় সলমনকে ‘তেরে নাম’ ছবিতে না নিতেন, তা হলে হয়তো ডুবেই যেত সলমনের কেরিয়ার।
ছবি সংগৃহীত।
১৫১৫
তবে ‘তেরে নাম’ ছবি ঘিরেও সলমনকে নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল। শোনা গিয়েছিল, ছবির সেটে নাকি কথা কাটাকাটি হয়েছিল নায়ক এবং পরিচালকের। আর এর জেরে নাকি সতীশকে সপাটে চড় কষিয়েছিলেন সলমন। যদিও এই ঘটনার সত্যতা জানা যায়নি। পরে সতীশ জানিয়েছিলেন, এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তাঁর এবং সলমনের খুবই ভাল সম্পর্ক বলেও জানান। যাঁর হাত ধরে বলিউডে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সলমন, মঙ্গলবার সেই সতীশকে হারালেন ‘ভাইজান’।