বৃহস্পতিবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা করলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, উচ্চকক্ষে মনমোহনের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন মোদী।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
রাজ্যসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিদ্ধান্তকে প্রকৃষ্ট সাংসদের কর্তব্যের উদাহরণ বলেও দাবি করেন তিনি। মন্তব্য করেন কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্র সম্পর্কেও। আর কী কী বললেন তিনি?
০২১৯
কোনও পরিবারে যদি কোনও সন্তান হয়, কারও নজর যাতে না লাগে, সে জন্য কালো টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা শ্বেতপত্রের পাল্টা কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
০৩১৯
সেই কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
০৪১৯
বৃহস্পতিবার বিদায়ী সাংসদদের কাজ, কার্যকাল সম্পর্কে স্মৃতিচারণায় রাজ্যসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিদায়ী সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
০৫১৯
বৃহস্পতিবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা করলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, উচ্চকক্ষে মনমোহনের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন মোদী।
০৬১৯
দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার (আম আদমি পার্টি)-এর পরিবর্তে, আমলা নিয়োগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্র। গত বছরের অগস্টে সেই নিয়ে ভোটাভুটি ছিল সংসদের উচ্চকক্ষে। সেই ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন নবতিপর মনমোহন।
০৭১৯
কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে অসুস্থ শরীরে হুইলচেয়ারে চেপেই ভোট দিতে আসতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে মনমোহনের প্রশংসা করলেন মোদী।
০৮১৯
মোদী বলেন, ‘‘আমার মনে আছে ভোটের সময়ের কথা। সকলেই জানত যে ট্রেজ়ারি বেঞ্চ জিতবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনমোহন সিংহ হুইলচেয়ারে করে এসে ভোট দিয়েছিলেন। তিনি হুইলচেয়ারেও কাজ করে গিয়েছেন।’’
০৯১৯
মনমোহনের সেই সিদ্ধান্ত এক জন সাংসদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলেও মন্তব্য করেছেন মোদী।
১০১৯
মনমোহন সম্পর্কে দু’চার কথা বলার পর বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে দেশ যে উন্নতির পথে এগিয়েছে, দেশ যে নতুন নতুন সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছেছে, সেই উদাহরণও দেন প্রধানমন্ত্রী।
১১১৯
১০ বছরে দেশের সেই উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রের বিষয়টি টেনে এনে কৌতুকমিশ্রিত সুরে আক্রমণ করেন তিনি। মোদী বলেন, “কখনও কখনও কিছু কাজ এত ভাল হয় যে, দীর্ঘ কাল পর্যন্ত তার প্রভাব থাকে।”
১২১৯
এর পরই কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে কোনও পরিবারে কোনও শিশুর যাতে নজর না লাগে তার জন্য কালো টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়। গত ১০ বছরে সমৃদ্ধির নতুন নতুন শিখর ছুঁয়েছে দেশ। এমন এক বিশুদ্ধ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে নজর না লেগে যায়, তার জন্য কালো টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তার জন্য সম্মানীয় খড়্গেজিকে অংসখ্য ধন্যবাদ।”
১৩১৯
প্রসঙ্গত, সংসদের বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ এক দিন বাড়িয়েছে মোদী সরকার। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি অধিবেশনের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক জানায়, মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি হবে ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার।
১৪১৯
সরকারি সূত্রের খবর, সংসদে ‘ইউপিএ সরকারের আমলের আর্থিক অনিয়ম’ শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র পেশ করার উদ্দেশ্যেই এই মেয়াদ বৃদ্ধি।
১৫১৯
সূত্রের খবর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘটনাচক্রে, সীতারামন বাজেটেই শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন।
১৬১৯
মোদী সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে এই চর্চার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিতে কংগ্রেসও কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার। আর সেই কৃষ্ণপত্র নিয়েই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী।মোদী সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে এই চর্চার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিতে কংগ্রেসও কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার। আর সেই কৃষ্ণপত্র নিয়েই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী।
১৭১৯
তিনি বলেন, “এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভাল। দেশের প্রগতিতে যাতে নজর না লাগে, তার জন্য এই ‘কালো টিকা’ অত্যন্ত জরুরি ছিল। যখন ভাল কিছু হয়, তখন কালো টিকা নজর থেকে বাঁচায়। এই ব্যবস্থাকেও স্বাগত জানাচ্ছি।”
১৮১৯
উল্লেখযোগ্য যে, বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দিল্লির বাসভবনে সংবর্ধনা জানানো হবে রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের।
১৯১৯
তার আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিদায়ী সাংসদদের একসঙ্গে একটি ছবি তোলার কথা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চেয়ারম্যানের বাসভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদায়ী সাংসদেরা।