Nusli Wadia, world’s richest biscuit manufacturer, check his Pakistan connection and whopping net worth dgtl
Nusli Wadia
বিশ্বের বৃহত্তম বিস্কুট কারখানার মালিক! ভারতীয় এই ব্যবসায়ী সম্পর্কে মহম্মদ আলি জিন্নার নাতি
বিস্কুট থেকে বিমান— দেশে একাধিক ব্যবসায় সফল তিনি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
সংবাদ সংস্থা
মুম্বইশেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
ব্যবসায়িক পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। দাদু, বাবা— সকলেই ব্যবসায় নাম উজ্জ্বল করেছেন। বড় হয়ে একই পথ বেছে নিয়েছেন তিনিও। আর তাতে সফলও হয়েছেন। তিনি নুসলি ওয়াদিয়া। ভারত তো বটেই, বিশ্বেরও অন্যতম বিত্তবান ব্যক্তি তিনি।
ছবি সংগৃহীত।
০২১৮
ভারতীয় ব্যবসায়ী নুসলির একাধিক সংস্থা রয়েছে। বিস্কুট থেকে বিমান— সব সংস্থাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।
ছবি সংগৃহীত।
০৩১৮
গত ২২ মার্চ বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘এমথ্রিএম গ্লোবাল রিচ লিস্ট’ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম ধনী বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার শিরোপা পেয়েছে নুসলির সংস্থা।
ছবি সংগৃহীত।
০৪১৮
যে বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছেন নুসলি, সেই সংস্থা এক সময় অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই কাহিনি বলার আগে বরং নেসের অতীতটা ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
ছবি সংগৃহীত।
০৫১৮
১৯৪৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে পার্সি ওয়াদিয়া পরিবারে জন্ম নুসলির। তাঁর বাবা নেভিল ওয়াদিয়া এবং দাদু নেস ওয়াদিয়ারও ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম রয়েছে।
ছবি সংগৃহীত।
০৬১৮
ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সে দিকে ঝোঁক ছিল নুসলির। ওয়াদিয়াদের পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে। দেশ জুড়ে এই সংস্থার খুবই নামডাক।
ছবি সংগৃহীত।
০৭১৮
১৯৬২ সালে ওই সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নুসলি। ৮ বছর পর, ১৯৭০ সালে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে যোগ দেন তিনি।
ছবি সংগৃহীত।
০৮১৮
পরের বছর নুসলি জানতে পারেন যে, সংস্থাটি অন্য এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করবেন তাঁর বাবা। তখন নুসলির মাত্র ২৬ বছর বয়স। নিজের কাঁধে সংস্থা চালাতে তখন মুখিয়ে ছিলেন নুসলি।
ছবি সংগৃহীত।
০৯১৮
মা, বোন, বন্ধুবান্ধব এবং মেন্টর জেআরডি টাটার সাহায্যে সংস্থাটির ১১ শতাংশ শেয়ার আদায় করে নেন নুসলি। বিক্রি ঠেকাতে কর্মীদের শেয়ার কেনার আহ্বান জানান। তার পর বাবাকে বুঝিয়ে সংস্থার বিক্রি রোখেন।
ছবি সংগৃহীত।
১০১৮
১৯৭৭ সালে সংস্থাটির চেয়ারম্যান হন নুসলি। তার পর থেকেই ব্যবসায়িক দুনিয়ায় রাজত্ব করতে শুরু করেন তিনি।
ছবি সংগৃহীত।
১১১৮
তবে প্রথম থেকেই একটি নামী বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থায় পা গলানোর ইচ্ছা ছিল নুসলির। এই সূত্রেই ওই সংস্থাটি অধিগ্রহণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
ছবি সংগৃহীত।
১২১৮
সেই সময় ওই সংস্থাটির মালিকানা ছিল আমেরিকার আরজেআর নেবিসকোর। বন্ধু রাজন পিল্লাইয়ের মাধ্যমে নেবিসকোর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন নুসলি।
ছবি সংগৃহীত।
১৩১৮
কিন্তু বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থার ভারতীয় শাখার চেয়ারম্যান হিসাবে নুসলির বদলে পিল্লাইকে বাছেন আমেরিকার ওই সংস্থা। ফলে স্বপ্নপূরণ অধরা থেকে যায় নুসলির।
ছবি সংগৃহীত।
১৪১৮
পরে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে পিল্লাইয়ের বিরুদ্ধে। সেই সময় ওই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করেন নুসলি।
ছবি সংগৃহীত।
১৫১৮
নুসলিদের ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর অধীনে বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। ২০০৫ সালে বিমান পরিবহণ ব্যবসাতেও পা রাখে তারা। সেখানেও সফল হয়েছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠী।
ছবি সংগৃহীত।
১৬১৮
নুসলির সম্পত্তির পরিমাণ নেহাত কম নয়! বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, নুসলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৩১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।
ছবি সংগৃহীত।
১৭১৮
এ তো গেল নুসলির ব্যবসায়িক দিকের কথা। ব্যবসায়িক পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি ঠিকই। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার নাতি। জিন্না সম্পর্কে নুসলির মাতামহ হন। ২০০৪ সালে মা, পুত্রদের সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে জিন্নার সমাধিস্থল ঘুরে দেখেছিলেন নুসলি।
ছবি সংগৃহীত।
১৮১৮
নুসলির স্ত্রীর নাম মৌরিন ওয়াদিয়া। তিনি এক সময় বিমানসেবিকা ছিলেন। পাশাপাশি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক তিনি। নুসলির দুই পুত্র রয়েছেন। তাঁরা হলেন নেস এবং জাহাঙ্গির ওয়াদিয়া।