এই শহর থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এই শহরের উপর দিয়েই ভারত আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে নিত্য যাতায়াত ছিল সাধারণ মানুষজনের। কখনও ব্যবসা, কখনও তীর্থের জন্য সেখানে যেতেন অনেকে। তার জন্য ধনুষকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার শহর তালাইমানারের মধ্যে ফেরি পরিষেবাও ছিল। তখনও দু’দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা গড়ে ওঠেনি। ফলে যাতায়াতে বাধানিষেধও ছিল না।
লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। শহরের বেশির ভাগটাই চলে গিয়েছিল জলের তলায়। অন্তত ১৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জানা যায়, ১১৫ যাত্রী নিয়ে রামেশ্বরমের পাম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাচ্ছিল সে সময়। ঘূর্ণিঝড়ে ট্রেনের সমস্ত যাত্রীই মারা যান। পাম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত একটা রেলব্রিজ ছিল। সেটাও পুরো ধ্বংস হয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা থেকে সামলে ওঠার পর পেম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত রেলব্রিজ এবং একটা গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নতুন করে গড়ে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। কিন্তু শহরটাকে আর নতুন করে গড়ে তোলা হয়নি। অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে শহরটা আজও ধ্বংসের চিহ্ন নিয়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে। পেম্বান-ধনুষকোডি রেলে পর্যটকেরা এই ভুতুড়ে শহরে গিয়ে ফিরে আসেন। পর্যটকদের জন্যও কোনও হোটেল গড়ে ওঠেনি।
যদিও এর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে ধনুষকোডির একেবারে শেষ বিন্দু থেকে বালির একটা সরু পথ শ্রীলঙ্কার দিক বরাবর ক্রমশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। সেটাই রাম সেতু বলে লোকের কাছে পরিচিত। রামায়ণ বলছে, লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর তীর-ধনুক দিয়ে এই সেতু ভেঙে দিয়েছিলেন রাম। সে জন্যই নাকি ওই পথ ক্রমশ জলের তলায় চলে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy