এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি শহরের গোসালা মোড়ে অনিমা রায় নামে এক মহিলা ঘূর্ণিঝড়ের বলি হয়েছেন। জলপাইগুড়ি পৌঁছে রাতেই তাঁর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আহতদের দেখতে মৃতার বাড়ি থেকে সোজা জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন তিনি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও রাজভবনে ‘ইমার্জেন্সি সেল’ চালু করেছেন। তিনিও সোমবার ভোরে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে জলপাইগুড়ির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সকলে একসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করছেন। আমি ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব, মানুষের সঙ্গে কথা বলব। যা যা করা সম্ভব, করব।’’
সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া বিকেলে সেখানে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। রবিবার রাতেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু পরিবার। এই ঝড়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
সোমবার সকালেও আবহাওয়া প্রতিকূল জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আকাশের মুখ ভার। মাঝেমধ্যেই আকাশে বিদ্যুতের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। রবিবারের দুঃসহ স্মৃতি, আবার ফিরে আসবে কি না, সেই আশঙ্কা ঘিরে ধরছে স্থানীয়দের মনে। এই আবহেই চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy