সোমবার অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের কিছু ক্ষণ পরেই দুপুরে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন মমতা। বেলা ৩টের সময় কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হয় সেই মিছিল। মিষ্টি, লাল শাড়ি দিয়ে মায়ের আরাধনা করেন তিনি। আরতি করে পৌঁছন হাজরা মোড়। সেখান থেকে শুরু হয় যাত্রা।
বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাসের পথে মমতা। পাশে ছিলেন না কোনও রাজনীতিক। হাঁটছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। পথে দু’টি শিশু এসে তাঁর হাতে ফুল তুলে দেন। সেই ফুল গ্রহণ করেন মমতা। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পদযাত্রা করে পার্ক সার্কাস পৌছন মমতা। সেখানে এক গির্জায় প্রবেশ করে প্রার্থনা করেন তিনি। পার্ক সার্কাসের গির্জা থেকে বেরিয়ে কাছের এক মসজিদে গেলেন মমতা। চড়ালেন চাদর। তার পরেই রওনা হলেন সভাস্থলের উদ্দেশে।
সব জল্পনা উড়িয়েই পার্ক সার্কাসের মঞ্চেই ছিলেন অভিষেকও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই বসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিনটা আমার কাছে গর্বের। কারণ যেদিন দেশে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভেদাভেদ চলছে, তখন বাংলায় ধর্মীয় সংহতি যাত্রা হচ্ছে। গরীবদের বঞ্চিত করে ধর্ম নিয়ে বিভাজন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী বার বার বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা বাড়ির ভিতরে ধর্ম করব। বাইরে নয়।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই। যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, কোনও প্রয়োজন আছে কি না। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকে ভুলে গিয়েছে। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গরিবদের বলি দেবেন না।“
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy