সংবাদমাধ্যমের দাবি, মহাকাশযানের উৎক্ষেপণে ফরাসি সংস্থা ‘অ্যারিয়েনস্পেস’-এর বদলে ইসরোর পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল)-র উপর ভরসা করছে ইউরোপীয় সংস্থাটি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
ইউরোপীয় সংস্থা ‘দি এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি’র চন্দ্রাভিযানে সাহায্য করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো। সে জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা ‘নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড’ (এনএসআইএল)। এমনই জানিয়েছে ‘টেকক্রাঞ্চ’ নামে আমেরিকার একটি অনলাইন সংবাদপত্র।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৫
সংবাদমাধ্যমের দাবি, মহাকাশযানের উৎক্ষেপণে ফরাসি সংস্থা ‘অ্যারিয়েনস্পেস’র বদলে ইসরোর পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল)-র উপর ভরসা করছে ইউরোপীয় সংস্থাটি। সে জন্য আগামী বছরের জানুয়ারিতে ‘বিকিনি’ নামের প্রোটোটাইপ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। মহাকাশযানটির এমন নাম দিয়েছে ইউরোপীয় সংস্থাই।
চন্দ্রযান-৩-এর মাধ্যমে সাম্প্রতিককালে চন্দ্রাভিযানের সাফল্য পেয়েছে ইসরো। এর পর সূর্যের দিকেও এগোচ্ছে দেশের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১। এ বার ইসরোর মুকুটে আরও একটি পালক জুড়তে চলেছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৫
‘বিকিনি’টি তৈরি করেছে ‘দি এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি’। জার্মানির মিউনিখ এবং ফ্রান্সের বোর্দোয় তাদের দফতর রয়েছে। মূলত মহাকাশযান তৈরি করে এই স্টার্ট-আপ সংস্থাটি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৫
‘বিকিনি’কে চাঁদে ২০২৬ সালে পাঠানোই ইউরোপীয় সংস্থাটির লক্ষ্য বলে দাবি করেছে নানা সংবাদমাধ্যম। যদিও ‘দ্য নেক্স ওয়েব’ নামে ইউরোপীয় ওয়েবসাইটের দাবি, ওই অভিযান হবে ২০২৮ সালে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৫
‘বিকিনি’ তৈরির আগে অবশ্য ‘নিক্স’ নামে আরও একটি প্রোটোটাইপ মডিউল গড়েছে ইউরোপীয় সংস্থাটি। মহাকাশে মালপত্র-সহ যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কাজে লাগানো হবে সেটি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৫
চাঁদের মাটিতে পা রাখা ছাড়া আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাতায়াতের জন্যও ‘নিক্স’কে ব্যবহার করা হবে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৫
রকেট উৎক্ষেপণকারী যানের মাধ্যমে মহাকাশে অথবা কক্ষপথে উপগ্রহ পৌঁছে দেওয়ার পরে সাধারণত রকেটের অংশ বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে পুড়ে যায় অথবা মহাকাশে ভাসতে থাকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একই পরিণতি হবে ‘বিকিনি’র।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৫
এই পরীক্ষামূলক অভিযানে উৎক্ষেপণের পর বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে পুড়বে ‘বিকিনি’। তবে এই অভিযানের ‘মিশন পসিবল’ নামে একটি রি-এন্ট্রি প্রোটোটাইপ মডিউলও স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপীয় সংস্থাটির।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৫
ইসরোর কপালে শিকে ছিঁড়লেও প্রথমে ‘বিকিনি’কে নিয়ে অভিযানে যাওয়ার কথা ছিল ‘অ্যারিয়েনস্পেস’র। সে ক্ষেত্রে এই ফরাসি সংস্থাটির ‘অ্যারিয়েন ৬’ রকেটের মাধ্যমে ‘বিকিনি’র উৎক্ষেপণ হত। তবে ‘অ্যারিয়েন ৬’ রকেটের পূর্বনির্ধারিত উৎক্ষেপণ পিছিয়ে গিয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৫
সংবাদমাধ্যমের দাবি, সম্প্রতি ইউরোপ জুড়ে রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ‘অ্যারিয়েন ৫’ উৎক্ষেপণের পর ‘অ্যারিয়েন ৬’ এবং ‘ভেগা-সি’ও মাটি ছেড়ে ওঠেনি। গত ডিসেম্বরে ‘ভেগা-সি’-র দ্বিতীয় উড়ান ব্যর্থ হয়েছিল।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৫
‘অ্যারিয়েনস্পেস’র সময়সূচি ঘেঁটে যাওয়ার পর মহাকাশ অভিযানের জন্য অন্য সংস্থার খোঁজে নেমে পড়ে ইউরোপীয় ‘এক্সপ্লোরেশন’। এর পরেই ইসরোর সঙ্গে চুক্তি হয় বলে জানিয়েছে ‘টেকক্রাঞ্চ’।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৫
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)-র ডিরেক্টর জেনারেল জোসেফ আসখবাখার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, ‘‘ইউরোপীয় যানগুলিকে মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই আমাদের কাছে কোনও নিশ্চিত উপায় নেই। এটা অত্যন্ত সমস্যাজনক বিষয়।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৫
‘এক্সপ্লোরেশন’-এর দাবি, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য তাদের মতোই অন্য সংস্থার সাহায্য নিয়েছে ব্রিটেনের ‘ওপেন কসমস’। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, তাদের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজে ‘অ্যারিয়েন ৬’-এর বদলে ‘স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯’-এর সাহায্য নেওয়া হবে।