সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাগদাদের কাছে মজুত রয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। অর্থাৎ, পশ্চিম এশিয়ায় মোট জমে থাকা ‘তরল সোনা’র ১৭ শতাংশের মালিকানা আছে ইরাকের হাতে। বলা বাহুল্য, নতুন তৈলক্ষেত্র আবিষ্কারের জেরে অনেকটাই বাড়ল সেই পরিমাণ। এতে তেল মজুতের ক্ষেত্রে রিয়াধের সঙ্গে বাগদাদের ফারাক কমবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাগদাদ জানিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে দৈনিক পরিশোধিত তেল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ লক্ষ ব্যারেল। সে কথা মাথায় রেখে ‘তরল সোনা’ উত্তোলনের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ৪০ লক্ষ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশ। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত তেল তোলার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে বাগদাদ। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য বিপুল জরিমানাও আরোপ করেছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২০২৬ সাল নাগাদ ইরাকের দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে আরও দু’লক্ষ ব্যারেল। তবে গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) জানুয়ারি থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের জন্য ওপেক যে জরিমানা করেছে, সেই টাকা এখনও দিতে পারেনি বাগদাদ। আগামী দিনে রফতানি বৃদ্ধি পেলে সেটা পশ্চিম এশিয়ার দেশটি মিটিয়ে ফেলতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন তৈলক্ষেত্র আবিষ্কারের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানি। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী দিনে আমরা ‘তরল সোনা’র রফতানি বৃদ্ধি করব।’’ তা ছাড়া গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে ইরানের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছেন তিনি। পারস্য উপসাগরের তীরের প্রতিবেশী দেশটি বাগদাদের গ্যাসের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ পূরণ করে বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমি দুনিয়ার দেশগুলির মধ্যে ইরাকে অন্যতম বড় বিনিয়োগ রয়েছে ফরাসি সংস্থা টোটাল এনার্জির। একাধিক জ্বালানি সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য বাগদাদের সঙ্গে ২,৭০০ কোটি ডলারের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করছে তারা। এ ছাড়া কিরকুক এলাকায় নর্থ অয়েল কোম্পানি পরিচালিত চারটি তৈলক্ষেত্রের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে ব্রিটিশ সংস্থা বিপির সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে আরব মুলুকের ওই দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy