অঞ্জু রাজস্থানের বাসিন্দা এবং বিবাহিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে গিয়েছেন বলে রবিবার দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ‘আজ নিউজ়’।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
‘প্রেমিকের টানে’ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করা পাক মহিলা সীমা হায়দারকে নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল অঞ্জুর কাহিনি। তিনিও প্রেমিকের টানে সীমান্ত পেরিয়েছেন। তবে তিনি গিয়েছেন ভারত থেকে পাকিস্তানে। সীমার সঙ্গে তাঁর প্রেমকাহিনির মিলও অনেক।
০২১৭
অঞ্জু রাজস্থানের বাসিন্দা এবং বিবাহিত। সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে গিয়েছেন বলে রবিবার দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ‘আজ নিউজ়’।
০৩১৭
সীমা এবং সচিনের দাবি, ২০১৯ সালে অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় তাঁদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেম। ২২ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন ৩০ বছরের সীমা। সঙ্গে তাঁর চার সন্তানকেও নিয়ে আসেন তিনি।
০৪১৭
অন্য দিকে, ‘আজ নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সি অঞ্জু এবং ২৯ বছর বয়সি নাসেরুল্লাহর বন্ধুত্ব জমে ফেসবুকে। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় অচিরেই।
০৫১৭
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অঞ্জু এবং নাসেরের প্রেম নাকি এতটাই গড়িয়েছিল যে, তিনি প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের দুর্গম খাইবার পাখতুনখোয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
০৬১৭
তবে সীমার মতো অবৈধ ভাবে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশ করেননি অঞ্জু। রীতিমতো পাকিস্তান ভ্রমণের বৈধ কাগজপত্র এবং ভিসা নিয়ে তিনি সে দেশে প্রবেশ করেছেন। সীমার মতো সন্তানদের সঙ্গে করেও নিয়ে যাননি অঞ্জু।
০৭১৭
‘আজ নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখোয়ার আপার দিরের পুলিশ আধিকারিক জাভেদ খান জানিয়েছেন, অঞ্জু আইনত ভাবে এবং বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। পাকিস্তানে প্রবেশের পর অঞ্জু তাঁর প্রেমিক নাসেরের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কের প্রমাণ দিয়েছেন বলেও নাকি জাভেদ জানিয়েছেন।
০৮১৭
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবদন অনুযায়ী, জাভেদ জানিয়েছেন, অঞ্জু ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং ইসলামাবাদে যান।
০৯১৭
অঞ্জু পাকিস্তানে প্রবেশের পর তাঁকে নাকি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করে পাক পুলিশ। তবে তাঁর কাগজপত্র দেখে এবং নাসেরের ব্যাপারে শুনে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। অঞ্জুর ভিসা দেখে তাঁকে ৩০ দিন পাকিস্তানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
১০১৭
সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলেছে, ‘‘পাকিস্তান সফর সংক্রান্ত সমস্ত নথি ঠিকঠাক থাকার কারণে অঞ্জুকে সে দেশের পুলিশ ছেড়ে দিয়েছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য অঞ্জুকে নিরাপত্তাও দেওয়া হয়।’’
১১১৭
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অঞ্জু জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানে গেলেও নাসেরকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করে যাননি। অন্য দিকে, নাসেরের পরিবার নাকি জানিয়েছে, অঞ্জু দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য পাকিস্তান সফরে রয়েছেন।
১২১৭
রবিবার পাক সাংবাদিকেরা অঞ্জুর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নাসেরের পরিবারের তরফে তা করতে দেওয়া হয়নি বলে ‘আজ নিউজ়’-এর প্রতিবেদন উল্লেখ রয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যম এ-ও জানিয়েছে যে, নাসের ইতিমধ্যেই অঞ্জুকে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখাতে শুরু করেছেন।
১৩১৭
কিন্তু অঞ্জুর পাকিস্তান যাত্রা নিয়ে কী বলছেন তাঁর স্বামী অরবিন্দ? সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্জু তাঁর স্বামী অরবিন্দকে জানিয়েছিলেন, তিনি কয়েক দিনের জন্য বাপের বাড়ি জয়পুরে যাচ্ছেন।
১৪১৭
অরবিন্দ আরও জানিয়েছেন, অঞ্জু হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তবে রবিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিকেল ৪টে নাগাদ অঞ্জু অরবিন্দকে ফোন করেন। তখন অঞ্জু জানান, তিনি লাহোরে রয়েছেন। দু-তিন দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও নাকি অরবিন্দকে জানান অঞ্জু।
১৫১৭
অঞ্জু এবং নাসেরের প্রেমকাহিনি সম্পর্কে অরবিন্দকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তিনি এই সম্পর্কের বিষয়ে জানতেন। তবে অঞ্জু তাঁর কাছে ফিরবেন বলেও আশাবাদী অরবিন্দ।
১৬১৭
অরবিন্দ রাজস্থানের ভিওয়াড়িতে কাজ করেন। অঞ্জু একটি বেসরকারি সংস্থায় ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ হিসাবে নিযুক্ত। তাঁরা দুই সন্তানের সঙ্গে ভিওয়াড়িতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন।
১৭১৭
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র সঙ্গে কথা বলার সময় অরবিন্দ জানিয়েছেন, অঞ্জু বিদেশে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন এবং ২০২০ সালে পাসপোর্ট তৈরি করিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্টের জোরেই তিনি এখন পাকিস্তানে।