India calls for peaceful conversation to stop Russia-Ukraine conflict dgtl
Narendra Modi- Vladimir Putin
‘ওঁকে রাশিয়ায় দেখতে পেলে খুশি হব’, ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে ‘বন্ধু’ মোদীকে আহ্বান পুতিনের
এক দিকে যেমন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চাইলেন, তেমনই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে সমাধান করার কথাও বলা হল ভারত সরকার তরফে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৩৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
রাশিয়া ও ইউক্রেনের অশান্তি নিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টায় ভারত। এক দিকে যেমন সমস্যা সমাধানে নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চাইলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে সমাধান করার কথাও বলা হল ভারত সরকারের তরফে।
০২১৪
রাশিয়া সফররত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে নিজেদের অবস্থানের কথা। সশস্ত্র যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন— দুই পক্ষকেই শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে বলেছেন তিনি।
০৩১৪
শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেন সমস্যার ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানে’র জন্য ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চাইলেন তিনি।
০৪১৪
বুধবার ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জয়শঙ্কর। বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁদের কথা হয়। আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও।
০৫১৪
ওই বৈঠকেই জয়শঙ্করের মাধ্যমে মোদীকে রাশিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান পুতিন।
০৬১৪
প্রায় দু’বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ জন্য রুশ প্রশাসন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েও সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
০৭১৪
জয়শঙ্করকে পুতিন বলেন, “আমি জানি উনি (মোদী) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বার করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”
০৮১৪
এর পাশাপাশি মোদীকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” পুতিনের সঙ্গে দেখা করার আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করেন জয়শঙ্কর।
০৯১৪
লাভরভের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর জানান যে, তিনি আশাবাদী যে আগামী বছরে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে মোদী এবং পুতিনের।
১০১৪
প্রসঙ্গত, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে যুদ্ধের আবহেও রাশিয়া থেকে লাগাতার তেল আমদানি করে গিয়েছে ভারত।
১১১৪
যুদ্ধের জেরে ২০২১ সালের পর থেকে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বন্ধ থাকলেও বিদেশ মন্ত্রকের মতে, ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টেকসই হয়েছে।
১২১৪
পশ্চিমি বিশ্ব একঘরে করে দিলেও দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারই হয়েছে মস্কোর। এক কথায়, পশ্চিমের সামনে এই বার্তাই নয়াদিল্লি তুলে ধরতে চাইছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যাতে শেষ হয়, সে কারণে সংলাপ এবং কূটনীতির কথা বার বার বোঝাবে মোদী সরকার।
১৩১৪
কিন্তু নিজেদের জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা নিরাপত্তার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। আবার ইউক্রেন যুদ্ধের ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ চেয়েও সাম্প্রতিক অতীতে সরব হয়েছে ভারত।
১৪১৪
গত সেপ্টেম্বরে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘এই সময়টা যুদ্ধের নয়।’’