Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
deadly computer virus

চিঠিতে লেখা ‘আই লভ ইউ’! ভালবাসার ছদ্মবেশে পৃথিবী জুড়ে সংক্রমণ, ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার

বাড়ির সাধারণ কম্পিউটার থেকে পেন্টাগনের সুপার কম্পিউটার, পার পায়নি কেউই। লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারকে সংক্রামিত করার ২০ বছর পরে কৃতকর্ম স্বীকার করে নিয়েছিলেন ওনেল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪০
Share: Save:
০১ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

নামের মধ্যেই লুকিয়ে রোমাঞ্চ। ‘আই লভ ইউ’-এর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এক মারাত্মক ভাইরাস। ভালবাসার ছদ্মবেশে এসে গোটা পৃথিবীর কম্পিউটার সিস্টেমকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

০২ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

২০০০ সালের ৪ মে মাসে তৈরি হয়েছিল ‘আই লভ ইউ’ বা লাভ বাগ নামে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর ইমেল ভাইরাস। ফিলিপিন্সকেই এই ভাইরাসের জন্মস্থান বলে ধরা হয়ে থাকে।

০৩ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ফিলিপিন্সের ২৪ বছর বয়সি ছাত্র ওনেল ডি গুজ়ম্যানের মস্তিষ্কপ্রসূত এই বিধ্বংসী ইমেল ভাইরাসটি।

০৪ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

লক্ষ লক্ষ কম্পিউটারকে সংক্রামিত করার ২০ বছর পরে কৃতকর্ম স্বীকার করে নেন ওনেল। ৪৪ বছর বয়সি এই ফিলিপিনো অবশ্য জানিয়েছিলেন এটি বিশ্ব জুড়ে ছড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

০৫ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

তাঁর তৈরি কোডের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে সে জন্যও তিনি অনুতপ্ত। ফিলিপিন্সের গণ্ডি ছাড়িয়ে এই ভাইরাস আমেরিকা বা ইউরোপে পৌঁছে যাবে তা ঘুণাক্ষরেও নাকি টের পাননি ওনেল।

০৬ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্য ‘লভ বাগ’ কম্পিউটার ভাইরাসটি বার করেছিলেন, যাতে তিনি বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।

০৭ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ওনেল ডি গুজ়ম্যানকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ঘটনার পর পরই। সে সময় কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের জন্য ফিলিপিন্সে কোনও আইন ছিল না এবং গুজ়ম্যান-সহ কাউকেই এ জন্য অভিযুক্ত করা হয়নি।

০৮ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

২০০০ সালের মে মাসের একটি সকাল। ‘আই লভ ইউ’ লেখা বিশেষ বার্তা ছড়াতে থাকে ইন্টারনেটে, ইমেলের মাধ্যমে। প্রথমে ফিলিপিন্স, তার পর হংকং থেকে ইউরোপের একাধিক দেশে। এবং সবশেষে আমেরিকায়।

০৯ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

মাইক্রোসফ্‌ট ছাড়াও গাড়ি নির্মাতা সংস্থা ফোর্ড (এফ) এবং রিয়্যাল এস্টেট সংস্থা মেরিল লিঞ্চ থেকে শুরু করে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কম্পিউটারের সিস্টেমে হানা দেয় ‘লভ বাগ’টি।

১০ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ইতিহাসে এর থেকে ভয়ঙ্কর ভাইরাস নাকি আসেনি, এমনই দাবি করেন কম্পিউটার বিশেষ়জ্ঞদের একাংশ। এর ফলে প্রায় ৪২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয় গোটা বিশ্বের তাবড় সংস্থাগুলিকে।

১১ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ফোটোগ্রাফ, অডিয়ো ফাইল এবং নথি-সহ সব ধরনের ফাইল ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এই মারাত্মক ভাইরাসটি। উইন্ডোজ় অপারেটিং সিস্টেমচালিত এক কোটিরও বেশি কম্পিউটারকে আক্রমণ করেছিল এই ভাইরাস।

১২ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

‘আপনার জন্য ভালবাসার বার্তা আছে’, খুবই অদ্ভুত পন্থায় এই শিরোনামে একটি সংযুক্ত ফাইল পাঠানো হত। এটি ব্যবহারকারীকে ইমেলের ফাইল খুলতে প্ররোচিত করত।

১৩ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ফাইলটিতে ছিল ভাইরাস কোড, যা প্রথমে কম্পিউটারটিকে সম্পূর্ণ অকেজো করে দিত। তার পর বিভিন্ন ফাইল নতুন করে লিখে দিত।

১৪ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ভাইরাসটির নিজের প্রতিচ্ছবি তৈরি করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা ছিল। মাইক্রোসফ্‌ট আউটলুকে থাকা সব ঠিকানায় স্বয়ংক্রিয় ইমেল পাঠাতে শুরু করত এটি।

১৫ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ফিলিপিন্সের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ফোরামে এক জন গ্রাহক ২০১৬ সালে দাবি করেছিলেন যে, এই ভাইরাসের জনক ডি গুজ়ম্যান ম্যানিলার কুয়াপো জেলায় একটি মোবাইল ফোন মেরামতির দোকান চালান।

১৬ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

বহু খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে সন্ধান মেলে ওনেলের। বেশ কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পর ম্যানিলার একটি শপিং মলে একটি ঘুপচি ও অগোছালো স্টলে দেখা মেলে একদা ত্রাস সৃষ্টি করা এই হ্যাকারের।

১৭ ১৭
I love you, the deadly computer bug caused millions damage

ঘটনার পর ২৪ বছর অতিক্রান্ত। আজও এই ভাইরাসের নাম শুনলে বুক কেঁপে ওঠে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের। বাড়ির সাধারণ কম্পিউটার থেকে পেন্টাগনের সুপার কম্পিউটার, কেউই এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy