সুজানও জবাব দিয়েছেন। আর জবাবে যা লিখেছেন, তা বেশ ইঙ্গিতবহ। একদা ‘গ্রিক গড’-এর ঘরনি লিখেছেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্ক ইউউউউ অ্যান্ড থ্যাঙ্ক ইউ ফর মাই ‘এভরিথিং’।’ বাংলা অর্থে ‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, অজস্র ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ ‘সব কিছু’র জন্য।’ ‘সব কিছু’ শব্দটিকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখে কী বোঝাতে চেয়েছেন সুজান, তা অবশ্য তিনিই জানেন। আর আশা করা যায় জানেন তাঁর ‘প্রেমিক’।

সুজানের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুজান এবং আর্সলানের এই বন্ধুত্বের বয়স নয় নয় করে ছ’মাস। আর যত দিন যাচ্ছে ততই নাকি ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে দু’জনের। যদিও প্রকাশ্যে সুজান-আর্সলানের কোনও ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত লেন্সবন্দি করতে পারেননি কেউ।

টিভি জগতেরই এক বন্ধু মারফৎ আলাপ হয়েছিল দু’জনের। সুজানের ওই ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, দু’জনে যে পরস্পরের কাছাকাছি এসেছেন, তা নাকি বিভিন্ন আড্ডায় দু’জনের শরীরীভাষা দেখলেই বোঝা যায়।

তবে বাকিরা যা-ই বলুন, সুজান অবশ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। আর্সলানকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও বলেছেন, ‘‘অনেকে তো অনেক কিছুই বলেন। আমরাও জানি এই সব আলোচনা কী ভাবে এড়াতে হয়। আমরা এই ধরনের গুঞ্জনে কোনও গুরুত্বই দিই না।’’

সুজানের বয়স এখন ৪২। তিনি দুই সন্তানের মা। হৃতিকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে বহু দিন। তার পর অভিনেতা অর্জুন রামপালের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ তৈরি হয়েছিল বলে শোনা যায়। দু’জনকে এক সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সময় কাটাতেও দেখা গিয়েছে বহু বার। যদিও অর্জুন বা সুজান কেউ-ই এ নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি। এ বারও ব্যাপারটা কিছুটা তেমনই।

কিন্তু কে এই আর্সলান? টিভি এবং ওটিটি-র এই উঠতি তারকার বয়স ৩৪। জন্মসূত্রে কাশ্মীরি। তবে পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা সবই মুম্বইয়ে। ‘বিগ বস’ বিজেতা আলি গনি তাঁর তুতো ভাই। আর্সলান একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ভাইকে দেখেই অভিনেতা হওয়ার সাধ জাগে তাঁর।

আর্সলানের প্রথম ছবি কল্কি কেঁকলার সঙ্গে। সে ছবি বক্স অফিসে চলেনি। যদিও ছবির প্রস্তুতি নিতে দু’বছর সময় নিয়েছিলেন অভিনেতা। পরে বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। বর্তমানে একতা কপূরের ‘ম্যায় হিরো বোল রাহা হুঁ’ সিরিজে অভিনয় করছেন তিনি।