আবার এদের বছরের হিসাবও অন্য রকম। এদের ক্যালেন্ডারের প্রতি মাসেই রয়েছে ৩০টি করে দিন। তবে এমনও কিছু বিশেষ দিন রয়েছে, যা কোনও মাসের আওতায় পড়ে না। নতুন বছরের প্রথম দিন এবং পুরনো বছরের শেষ দিনটি কোনও মাসেই পড়ে না। এ ছাড়াও গোটা বছরে তিনটি অতিরিক্ত মাসহীন দিন রয়েছে, যা ঋতুর সময় বিচার করে সময় মতো জুড়ে দেওয়া হয়।
পুরনো জিনিসের প্রতি বড্ড মায়া হবিটদের। সে জিনিস কোনও কাজে না লাগলেও তারা কাছছাড়া করতে চায় না। ফেলে দিতেও চায় না। এই ধরনের জিনিসের একটা নামও রয়েছে হবিটদের দুনিয়ায়। ‘মাথম’। হবিটেরা মাথম উপহার হিসাবে দেয়। কিন্তু কখনও-সখনও দেখা যায়, এই মাথম আবার ঘুরেফিরে চলে এসেছে তার আসল মালিকের কাছেই। তেমন যখন হয়, তখনকার মাথমটির মালিক তাকে দিয়ে দেয় হবিটদের মাথম জাদুঘরে।
অবিশ্বাসীরা বলতে পারেন, এ সব তো ফ্যান্টাসি লেখক টলকিনের কল্পনার কথা। কিন্তু ইতিহাস বলছে, হবিটদের অস্তিত্ব সত্যিই ছিল এই পৃথিবীতে। বিজ্ঞানীরা তাদের কঙ্কালও খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়েছিলেন, ১২ হাজার বছর আগেই নির্বংশ হয়ে গিয়েছিল হবিটেরা। তবে তার আগে পৃথিবীতে তারা টিকেছিল প্রায় ৫০ হাজার বছর।
যদিও সম্প্রতি সেই ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করেছেন এক নৃতত্ত্ববিদ গ্রেগরি ফোর্থ। ‘সায়েন্টিস্ট’ নামের একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় এ ব্যাপারে একটি নিজস্ব মতামত মূলক লেখও লিখেছিলেন তিনি। যেখানে ফোর্থ দাবি করেছেন, হবিটদের বাস্তব অস্তিত্ব ছিল এবং তারা আজও আছে। ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপে নাকি তাদের বসবাস।
গবেষক ফোর্থ দাবি করেন, হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস বা বাস্তবের হবিটরা আজও রয়েছে। এবং যে হেতু স্থানীয় মানুষ তাদের ভয় পায়, সে কারণে তারা আজকের মানুষের দ্বারা আক্রান্তও হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে হবিটদের রক্ষা করার জন্য সরকারের উদ্যোগী হওয়া জরুরি। যদিও ফোর্থের এই তত্ত্ব এখনও পর্যন্ত প্রমাণসাপেক্ষ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের কথায়, ৫০ হাজার বছর আগে বেঁচে থাকা এক বিলুপ্ত প্রাণীর এ যুগে বেঁচেবর্তে থাকার তত্ত্ব বড়ই আজগুবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy