Euphrates River dries up revealing mysterious tunnel which leads to several theories dgtl
Euphrates River Tunnel
গোপন সুড়ঙ্গ পৌঁছে দেয় রহস্যময় দেশে! কোন অভিশাপে শুকিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ইউফ্রেটিস?
টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস, মূলত এই দু’টি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। যে অঞ্চলের বর্তমান নাম ইরাক। যেখানে প্রাচীন দুই নদী আজও বহমান। কোন রহস্য লুকিয়ে সেই নদীগর্ভে?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
প্রাচীন নদী ইউফ্রেটিস। আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার বছর আগে এশিয়া মহাদেশের বুকে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতার ধারক ও বাহক বলা চলে এই নদীকে।
০২১৮
ইতিহাসের পাতায় মেসোপটেমিয়া বা ব্যাবিলনীয় বা সুমেরীয় সভ্যতার গুরুত্ব অপিরিসীম। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই সভ্যতা এবং সেখানকার মানুষজন নিয়ে ইতিহাসবিদদের আগ্রহের শেষ নেই।
০৩১৮
টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস, মূলত এই দু’টি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। এই অংশের বর্তমান নাম ইরাক।
০৪১৮
ইরাকে প্রাচীন ইউফ্রেটিস নদী আজও বহমান। টাইগ্রিসের পাশাপাশি এই নদী আজও বইছে সমান তালে। তবে নদীটির সমৃদ্ধি আগের মতো নেই। আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে গিয়েছে ইউফ্রেটিস।
০৫১৮
প্রাচীন এই নদীর নীচে তৈরি একটি সুড়ঙ্গ নিয়ে ইতিহাসবিদরা দীর্ঘ দিন ধন্দে রয়েছেন। আদৌ নদীর নীচে কোনও সুড়ঙ্গ আছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
০৬১৮
মেসোপটেমিয়া বা ইরাকের প্রাচীন কাহিনিতে ইউফ্রেটিস নদীর নীচে সুড়ঙ্গের কথা বলা আছে। সে সুড়ঙ্গকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনি, লোকগাথাও প্রচলিত স্থানীয়দের মধ্যে।
০৭১৮
সম্প্রতি ইউফ্রেটিসের জলস্তর কমে আসায় নদীগর্ভে একটি সুড়ঙ্গের হদিস মিলেছে। অনেকে দাবি করছেন, এই সেই প্রাচীন কাহিনিতে বর্ণিত সুড়ঙ্গ।
০৮১৮
দেখা গিয়েছে, নদীগর্ভে লুকিয়ে থাকা সুড়ঙ্গটি নেমে গিয়েছে অনেক গভীরে। ধাপে ধাপে সিঁড়ি কাটা রয়েছে নীচে নামার জন্য। সুড়ঙ্গের অধিকাংশই রয়েছে অক্ষত। তার কোনায় কোনায় প্রাচীনতার ছাপ স্পষ্ট।
০৯১৮
কে বানিয়েছিলেন এই সুড়ঙ্গ? কীই বা আছে তার অপর প্রান্তে? ইরাকের স্থানীয় ইতিহাসে তা নিয়ে কাহিনির ছড়াছড়ি।
১০১৮
প্রাচীন কাহিনি অনুসারে ব্যাবিলনের রানি সেমিরামিস ইউফ্রেটিস নদীর বুকে একটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন। তিনিই এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করতেন।
১১১৮
নদীর দুই প্রান্তে অবস্থিত দুই প্রাসাদের মধ্যে নাকি সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। কেউ আবার বলেন, ব্যাবিলন শহরের দুই প্রান্তকে যুক্ত করার জন্য নদীর ভিতর দিয়ে এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল।
১২১৮
প্রচলিত আছে, রানি সেমিরামিস নদীর উপর দিয়ে নদী পারাপার পছন্দ করতেন না। তাই তাঁর ইচ্ছাতেই নদীর মধ্যে দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়। পুরু ইটের তৈরি সুড়ঙ্গটির নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল ২৬০ দিন।
১৩১৮
সুড়ঙ্গ সম্পর্কে ইরাকে প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই সুড়ঙ্গের ও পারে রয়েছে এক অন্য দুনিয়া। সেখানে ডুবে আছে রহস্যের খনি।
১৪১৮
প্রচলিত ধারণা, এই সুড়ঙ্গ এক অজানা দেশে পৌঁছে দেয়। সেখানে থাকেন পরি এবং দেবদূতেরা। বছরের পর বছর ধরে ইউফ্রেটিসের বুকে তাঁরাই বিরাজ করছেন।
১৫১৮
বলা হয়, ইউফ্রেটিস নদী নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন স্বয়ং ইসলামের প্রবর্তক মহম্মদ। তিনি বলেছিলেন অদূর ভবিষ্যতে ইউফ্রেটিস শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবে।
১৬১৮
সেই শুকিয়ে যাওয়া নদীর বুক চিরে মাথা তুলবে সোনায় মোড়া পাহাড়। মানুষ সেই পাহাড়ের দখল নিয়ে যুদ্ধ করবে বলেও জানিয়েছিলেন মহম্মদ।
১৭১৮
প্রাচীন সেই ভবিষ্যদ্বাণীই কি ধীরে ধীরে ফলতে শুরু করেছে? ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদরা দেখিয়েছেন, গত কয়েক বছরে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে ইউফ্রেটিস নদীর জলস্তর।
১৮১৮
তবে কোনও পাহাড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এই নদীর নীচে। মেলেনি সোনাদানাও। কেবল রহস্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে ইউফ্রেটিসের সুড়ঙ্গ।