Nana Patekar had been the reason behind divorce of Praksh Jha and Deepti Naval dgtl
bollywood
বাধ্য হয়ে গর্ভপাতের অভিযোগ, নানার জন্যই নাকি ভেঙে যায় প্রকাশ ঝা ও দীপ্তি নবলের দাম্পত্য
নানা পটেকরের সঙ্গে সিনেমা ও ছবি, দু’টি বিষয়েই আলোচনা চলত দীপ্তির। তাঁর প্রাক্তন স্বামী প্রকাশও উপভোগ করতেন নানার সঙ্গ ও সখ্য। তিনি নানার গুণগ্রাহী ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
সিনেমার পর্দায় নানা পটেকর সাধারণত ধরা দেন প্রতিবাদী চরিত্রে। কিন্তু বাস্তবজীবনে তাঁর বিরুদ্ধেই আছে ঘর ভাঙার অভিযোগ। তাঁর জন্যই নাকি ভেঙে যায় পরিচালক প্রকাশ ঝার বিয়ে। কিন্তু তার পরেও দু’জনের বন্ধুত্ব অটুট।
০২১৮
সেটা আটের দশক। বলিউডে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা মজবুত করছেন নানা পটেকর। অন্য ধারার ছবি উপহার দিয়ে পরিচিতি পাচ্ছেন প্রকাশ ঝাও।
০৩১৮
১৯৮৫ সালে অভিনেত্রী দীপ্তি নবলকে বিয়ে করেন প্রকাশ। মূলস্রোতের বাণিজ্যিক ছবির প্রতি ভালবাসাই দৃঢ় করেছিল তাঁদের সম্পর্ক। কিন্তু শোনা যায় বিয়ের ৩ বছর পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ১৯৮৮ থেকেই তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন।
০৪১৮
এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পরে বলেছিলেন তাঁদের সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণ দীপ্তির গর্ভপাত। গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে নাকি দীপ্তির গর্ভপাত হয়। এর পর থেকেই দু’জনের সম্পর্কে তিক্ততা শুরু। বহু দিন সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি। পরে অবশ্য প্রকাশ দাবি করেন যে দীপ্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল। রোজ তাঁরা দেখা করেন বলেও জানান প্রকাশ।
০৫১৮
তবে অন্য সূত্রের দাবি, তাঁদের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার কারণ হলেন নানা পটেকর। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন দীপ্তি।
০৬১৮
অনেকেই জানেন না অভিনেত্রী দীপ্তি একজন নামী চিত্রশিল্পীও। তাঁর মা-ও ছিলেন শিল্পী। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল দীপ্তি পরবর্তী সময়ে চিত্রশিল্পীই হন। কিন্তু দীপ্তি পা রাখেন বলিউডে।
০৭১৮
নানা পটেকরের সঙ্গে সিনেমা ও ছবি, দু’টি বিষয়েই আলোচনা চলত দীপ্তির। তাঁর প্রাক্তন স্বামী প্রকাশও উপভোগ করতেন নানার সঙ্গ ও সখ্য। তিনি নানার গুণগ্রাহী ছিলেন।
০৮১৮
সে সময় প্রকাশ-নানা-দীপ্তির আড্ডা চলত দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। প্রকাশের ধারণা ছিল তাঁর স্ত্রী এবং নানা দু’জনে খুব ভাল বন্ধু। তিনি টের পাননি তাঁদের সম্পর্ক অন্য দিকে মোড় নিয়েছে।
০৯১৮
শোনা যায়, প্রকাশের সঙ্গে বিবাহিত থাকা অবস্থাতেই নানা-র প্রেমে বিভোর হয়ে পড়েন দীপ্তি। অন্য দিকে নানাও সে সময় স্ত্রী নীলকান্তির থেকে আলাদা থাকতেন। খুব কমই তিনি বাড়িতে যেতেন।
১০১৮
বছরে হয়তো গণপতি উৎসবের সময় দিন দশেকের জন্য স্ত্রী ছেলে এবং মায়ের কাছে ফিরতেন নানা। সে সময় দীপ্তি নবলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বহুচর্চিত।
১১১৮
এমনকি এ রকম গুঞ্জনও ওঠে, দীপ্তির গর্ভের সন্তানের বাবা ছিলেন নানা। এই নিয়ে তাঁর ও প্রকাশের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়। শেষ অবধি দু’জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন।
১২১৮
কিন্তু নানাও এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি ছিলেন না। টিনসেল টাউনে কান পাতলে শোনা যায় তিনিই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। রাজি ছিলেন না অনাগত সন্তানের দায়িত্ব নিতেও। অভিযোগ, পরিস্থিতির চাপে গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন দীপ্তি।
১৩১৮
এর পর স্বামী প্রকাশ ও প্রেমিক নানা, দু’জনের থেকে দূরে সরে যান দীপ্তি। তার আগে তিনি এবং প্রকাশ একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন। মেয়ের নাম রেখেছেন দিশা।
১৪১৮
পণ্ডিত যশরাজের ভাইপো বিনোদ পণ্ডিতের সঙ্গে দীপ্তির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
১৫১৮
অন্য দিকে নানার জীবনেও এসেছিলেন মনীষা কৈরালা, আয়েশা জুলকার মতো নায়িকারা। পরবর্তীতে মিটু আন্দোলনের সময় আর এক নায়িকা তনুশ্রী দত্ত নানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। তবে নানা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
১৬১৮
তবে তাঁদের সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে নানা, প্রকাশ বা দীপ্তি, তিন জনের কেউ মুখ খোলেননি। কিন্তু গুঞ্জনের অনুরণন থেমে থাকেনি।
১৭১৮
প্রকাশ ও নানার সম্পর্ক মাঝে বিক্ষিপ্ত হলেও পরে তাঁরা সব দূরত্ব মুছে পেলেন। ‘রাজনীতি’, ‘অপহরণ’-এর মতো ছবিও উপহার দেয় তাঁদের যুগলবন্দি।
১৮১৮
একসঙ্গে কাজ করেছেন নানা এবং দীপ্তিও। গৌতম ঘোষের ‘যাত্রা’ ছবিতে তাঁরা দু’জনে অভিনয় করেন। প্রাক্তন স্বামী প্রকাশের সঙ্গেও দীপ্তির সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। তাঁদের মেয়ে দিশা পোশাক পরিকল্পক হিসেবে কাজও করেছেন বাবার ইউনিটে।
(ছবি: আর্কাইভ এবং সোশ্যাল মিডিয়া)