বাংলার রাজনীতিতে তিনি ‘প্রকট’ হওয়ার পর থেকে ভাষাই তাঁর প্রধান হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। কিন্তু দিলীপ ঘোষের অগাধ আস্থা তাঁর ‘বাক্শক্তি’তে। শাসককে নিশানা করতে গিয়ে এমন এমন শব্দ প্রয়োগ করেছেন, যা নজিরবিহীন। কখনও তিনি ‘বিদেশি গরুকে’ ‘মাসি’ বলেন, কমিশনকে ডাকেন ‘মেসো’ বলে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন, যে অস্বস্তিতে পড়ে দলই। তাতে দিলীপের অবশ্য ভ্রুক্ষেপ নেই। দিলীপ আছেন দিলীপেই। বাংলার রাজনীতিতে ‘ভাষা সংস্কৃতিতে’ তিনি সাক্ষাৎ এক সভ্যতা। ‘মেসো’পটেমিয়া সভ্যতা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ যাওয়ার পর থেকে ‘দিলীপ-বাণী’তে কিঞ্চিৎ টান পড়েছিল। তবে চলতি লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে প্রার্থী হতেই ‘দিলীপ-দর্প’ চলছেই। এ বারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গুচ্ছ আক্রমণ এবং কটাক্ষের মধ্যে দিলীপ ভোটের বাজার সবচেয়ে বেশি ‘গরম’ করলেন অনেকগুলো মন্তব্য দিয়ে। নির্বাচন কমিশনের শো-কজ়, দলের নির্দেশিকা, কোনও কিছুই দিলীপের মুখের আগল ধরে রাখতে পারেনি এ বারও।