মাত্র ৩০ বছরে হয়েছে এই বিপুল বৃদ্ধি, এমনটাই বলছে গবেষণা। দীর্ঘ দিন ধরে বনভূমি উজারের পর সূর্যের আলো মাটির ভিতরের বরফ গলিয়ে দিতে শুরু করলে বিশাল এই গর্তটি ধীরে ধীরে ভূপৃষ্ঠের উপর প্রকাশিত হতে থাকে। সাধারণত যেখানে ভূপৃষ্ঠের নীচের শিলায় চুনাপাথর, কার্বনেট বা অন্যান্য লবণ থাকে, সেগুলি জলে দ্রবীভূত হয়ে গেলে সেখানে এই ধরনের সিঙ্কহোল তৈরি হয়।
পৃথিবীর বুকে জমে থাকা বরফ পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ এগুলো কার্বন গ্যাস শোষণ করে নেয়। কিন্তু সাইবেরিয়ার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তে থাকা তাপমাত্রার জেরে মাটির নীচে জমে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস আরও বেশি পরিমাণে পরিবেশে মুক্ত হয়ে পড়ছে।
গবেষণা বলছে বাটাগাইকা গর্তটি প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা এবং ৮৬ মিটার গভীর। মাটির উন্মুক্ত স্তরগুলি ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ বছরের পুরনো। এটি বর্তমানে অস্থির এবং এর বৃদ্ধি অপ্রতিরোধ্য। এটি বছরে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিটার প্রসারিত হচ্ছে। এই হারে গর্তের আকার বাড়তে থাকলে এর আশপাশের সব কিছু গ্রাস করতে বেশি দিন সময় লাগবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
পারমাফ্রস্ট গলে গর্ত তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারমাফ্রস্টে জমাট বাঁধা জৈব পদার্থেরও ক্ষয় হতে শুরু করে এবং বায়ুমণ্ডলে আরও কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এই প্রক্রিয়া পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করে তোলে এবং আরও বেশি পরিমাণে পারমাফ্রস্ট গলানোর দিকে পরিচালিত করে। এই চক্র চলতেই থাকে অবিরত। একে আটকানো বেশ কঠিন।
যে হেতু গর্তটি এখনও গলে যাচ্ছে, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই প্রবেশদ্বারটি বেশির ভাগ জমি গ্রাস করতে পারে এবং তা কাছাকাছি গ্রামগুলির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে। নিকটবর্তী বাটাগাই নদীর জন্যও এটি ডেকে আনবে বিপদ। কারণ এটি নদীর তীরের ক্ষয় বৃদ্ধি করবে এবং আশপাশের জনজীবনকে প্রভাবিত করবে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy