স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, একরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যেই জুলিয়া বেঁচে ছিলেন। খালি পায়ে তাঁকে হাঁটাচলা করতে হত। দড়িতে বেঁধে নীচ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাছের উপরে তুলে নিতেন তিনি। ছোট্ট একটি স্টোভে করতেন রান্না। নিজেকে গরম রাখার জন্য স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করেছিলেন এই ‘গাছ-কন্যা’। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সৌরশক্তিচালিত সেলুলার ফোন ব্যবহার করতেন জুলিয়া। মজা করে নিজেকে ‘বৃক্ষবাসী’ সংবাদদাতা বলে উল্লেখ করতেন তিনি।
প্যাসিফিক লাম্বার পুরোপুরি হার স্বীকার করার পরেই গাছ থেকে নেমে আসেন জুলিয়া। সেই সময়ে তাঁর পায়ে জুতো ছিল না। মাটিতে নামার পর তিনি কিছুটা টলছিলেন। তবে তত ক্ষণে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন জুলিয়া। পরে গাছপ্রেমী এই তরুণী জানিয়েছিলেন, বিশ্বে প্রাচীন বনাঞ্চলের মাত্র তিন শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। আর সেগুলিকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত যত্নের প্রয়োজন।
জুলিয়ার এই জয় সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যেই লুনার উপর আঘাত নেমে এসেছিল। একটি চেইন-করাত দিয়ে প্রাচীন রেডউড গাছটিতে তিন ফুট গভীর গর্ত করা হয়েছিল। এর অর্ধেকের বেশি ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত লুনার জীবন রক্ষা করা গিয়েছিল। মহীরুহটিকে বাঁচাতে এক দিনের মধ্যে এটিকে ঘিরে ইস্পাতের রেলিং তৈরি করে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy