Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Presents
Retirement Plan

অবসরের পর কর ছাড়ের সুযোগ নিয়ে কী ভাবে বাড়াবেন নিজের আয়

আপনার সব থেকে বড় সুবিধা হল, ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে বছরে তিন লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না।

আয়করে ছাড় পেতে চাইলে আপনাকে কিন্তু সতর্ক হয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে।

আয়করে ছাড় পেতে চাইলে আপনাকে কিন্তু সতর্ক হয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে।

নীলাঞ্জন দে
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৯
Share: Save:

অবসর করলেন আর কর দেওয়ার পালা চুকে গেল, এমনটা নয়। প্রত্যক্ষ আয় কমে গেলেও আয়করের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না হতেও পারে। তবে বয়স ষাটের গণ্ডি পেরিয়ে গেলে আয়করের চাপ কমবেই। কারণ, ৬০ বছর হয়ে গেলেই আপনি প্রবীণ নাগরিক। আর সেই কারণেই আপনার উপর করের বোঝা একটু হলেও হালকা। তবে আয়করে ছাড় পেতে চাইলে আপনাকে কিন্তু সতর্ক হয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। এবং এ ব্যাপারে দেরি না করাই যে ভাল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার সব থেকে বড় সুবিধা হল, ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে বছরে তিন লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না। তাই আপনার করের হিসাব শুরু হবে আপনার মোট আয় থেকে তিন লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে। এখানেই আপনি একটা লাভ তুলে নিলেন।

এ বার আসা যাক অন্য ছাড়ের ক্ষেত্রে। আয়কর সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনি ৮০ সি ধারার অন্তর্গত ছাড় পেতে পারেন দেড় লক্ষ টাকা অবধি। যে কোনও অর্থবর্ষের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। ছাড় নিতে চাইলে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগ করতে পারেন। যে কোনও একটি বা একাধিক প্রকল্প বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।
আজকের হিসাবে কিন্তু ৬০ বছর বয়স তেমন কিছুই নয়। তাই বাজারের সুযোগ না নেওয়ার কোনও মানেই হয় না। তাই প্রথাগত চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম বা ‘ইএলএসএস’ বেছে নিতে পারেন। আয়করের ছাড়ের সুযোগ তো আছেই। আছে তার বাইরেও কয়েকটি এমন সুবিধা যা অন্য প্রকল্পে নেই।

সুবিধাগুলি কী কী?
১) সব থেকে কম লক-ইন পিরিয়ড। কেবল তিন বছরের।

২) পুরো ব্যবস্থাটিই বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত। অর্থাৎ আপনার সঞ্চয়ের লাভ পুরোটাই শেয়ার বাজারের উপর নির্ভরশীল। শেয়ার বাজারের উপর নির্ভর করে তিন বছর বিনিয়োগ ধরে রাখলে আপনি লাভও তুলনামূলক ভাবে বেশি ঘরে তুলতে পারেন।

৩) লক-ইনের মেয়াদ পুর্ণ হলেও এই প্রকল্পে টাকা রাখতে পারেন। সরাতেই হবে তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
এখানে মনে করিয়ে দিই ইএলএসএস প্রকল্পগুলি পুরোপুরি শেয়ার বাজারে লগ্নি করে। যে কোনও ওপেন এন্ড ফান্ডের মতোই এর ব্যবহার। লগ্নিকারী তিন বছর হলেই (এখানে একজিট লোড নেই) নিজের ইউনিট বিক্রি করতে পারেন।
সব থেকে বড় সুবিধা যা অন্য কর সংক্রান্ত লগ্নি দিতে পারে না তা হল, সম্পদ বৃদ্ধির বিরাট সম্ভাবনা। তবে এও ঠিক যে, কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় না এই ধরনের প্রকল্পে। বাজার উঠলে ফান্ড ম্যানেজার তার সুফল পান। তিন বছর তো এমনিতে টাকা রাখতেই হয়। সেটি বেশ ইতিবাচক। ন্যাভ বাড়ে, ভাগ্যবান বিনিয়োগকারীর জন্য তা হয়ে উঠতে পারে ধন বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ।

জীবনবিমার প্রিমিয়ামও কর ছাড়ের ব্যাপারে গণ্য করা হয়। তবে তা তো আপনার কাছে খরচই। বিমা করা হয় একেবারে ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে। বাজারে লগ্নি করে ধন বৃদ্ধির প্রচেষ্টার কারণটি ঠিক সে ভাবে এর সঙ্গে তুলনীয় নয়।
প্রায় প্রতিটি ফান্ড হাউসই এক বা একাধিক ট্যাক্স সেভিং ফান্ড পরিচালনা করে। কয়েকটির নাম লং টার্ম ইকুইটি ফান্ড হতে পারে। তবে সেগুলিরও পরিচয় তথা চাহিদা থাকে কর বাঁচানোর পন্থা হিসাবেই।

নিজের সুবিধা বুঝে এগুলিতে লগ্নি করতে পারেন। হয় যে কোনও একটি ফান্ডে, না হলে এক সঙ্গে কয়েকটিতে। আর কেবল দেড় লক্ষ টাকা লগ্নি করতে হবে তাও নয়। বেশি করতেও পারেন, যদি তেমন বাড়তি উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন লিমিট যা ঠিক করা আছে শুধু সেই অবধি, তার উপর আর একটুও নয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Retirement Plan income tax
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy