Advertisement
E-Paper

ELSS: কর বাঁচাতে সঞ্চয়ের ঝোলা থেকে দূরে ঠেলবেন না ইএলএসএস-কে, পরামর্শ বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের

স্রেফ তিন বছরের লক-ইন, ইকুইটির দরুণ ক্যাপিটাল গ্রোথ পাওয়ার সুযোগ, লক-ইন শেষ হলেও বিনিয়োগ ধরে রাখলে তা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নীলাঞ্জন দে

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১০:২২
Share
Save

কর বাঁচাতে সঞ্চয় করছেন।কিন্তু আপনার যাতে সবথেকে বেশি লাভ হতে পারে সেই শেয়ার বাজার নির্ভর ইএলএসএস (ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম) থেকেই আপনি দূরে থাকছেন এরকম নয় যে আপনি এই প্রকল্পের অস্তিত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।

কিন্তু জেনেও আপনি এটিকে শুধু উপেক্ষা করছেন তাই নয়, আপনি এই প্রকল্পটিকে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন দিলেও হয়ত আপনার সঞ্চয়ের ঝোলার তলনাতি নাম মাত্র অস্তিত্ব রয়েছে এই প্রকল্পের। ওই পুজোর উপচারে মূল্য ধরে দেওয়ার মতোই।

অথচ দেখুন আয়কর আইনে ৮০সি ধারায় আপনাকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ দিয়েছে সরকার।আর এই ধারায় সঞ্চয় করে কর থেকে আয় বাঁচানোর সুযোগ যে যে প্রকল্পে রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু রয়েছে ইএলএসএস-ও।

কিন্তু এদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় যে প্রকল্পগুলি রয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট-সহ পিপিএফ-এর মতো প্রকল্পগুলি সব থেকে বেশি জনপ্রিয়।অথছ এই প্রকল্পগুলিতে টাকা রাখলে তুলনামূলক লাভ কিন্তু অনেক কম। প্রথমত আপনাকে অনেক বেশি সময় ধরে এই প্রকল্পে টাকা ধরে রাখতে হবে।আর যখন সেই টাকা আপনার হাতে আসবে তখন সুদে আসলে মিলে তা হয়ত মূল্যবৃদ্ধির হিসাব করে আপনাকে নিট লাভ সেরকম নাও দিতে পারে।

তুলনায়, ইএলএসএস প্রকল্প বোঝা সহজ: স্রেফ তিন বছরের লক-ইন (অন্য জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির থেকে দুই বছর কম), ইকুইটির দরুণ ক্যাপিটাল গ্রোথ পাওয়ার সুযোগ, লক-ইন শেষ হলেও বিনিয়োগ ধরে রাখলে তা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা।

মাথায় রাখবেন, এই প্রকল্পটি সাধারণত ডাইভারসিফায়েড ইকুইটি ফান্ড হিসাবে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ আপনার টাকা কোনও বিশেষ শ্রেণির শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয় না। এই প্রকল্পের টাকা খাটে এমন শেয়ারে যেখানে লাভের সুযোগ বেশি।

অন্য সব প্রকল্পে কিন্তু এই ভাবে লগ্নির টাকা বাড়াবার সুযোগ নেই। অন্য সব প্রকল্পেই আপনার লাভ সেই নির্দিষ্ট হারের সুদ। কিন্তু ইএলএসএস-এ বাজারের তালে তাল মিলিয়ে আপনার লগ্নির টাকা বাড়ে। তিন বছর বাদে আপনি টাকা তুলে নিতে পারেন অথবা টাকা না তুলে আরও বাড়ার সুযোগ নিতে পারেন। খুব প্রয়োজন না থাকলে টাকা ধরে রাখাটাই ভাল। তাতে বাজারের সুযোগ নিয়ে আপনার প্রাথমিক লগ্নি আরও বাড়বে।

মনে রাখতে হবে, কর বাচানো ছাড়াও, আজকের মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষিতে আপনার লগ্নির বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্য।

এনএসসি-র মতো প্রকল্পে কেবল নির্দিষ্ট হারে কিছু রিটার্ন পাওয়া যায়। এই জাতীয় প্রকল্পের জনপ্রিয়তার সব থেকে বড় কারণ অবশ্যই এতে ঝুঁকি প্রায় না থাকা।আর তাতেই আমরা আকৃষ্ট হই। আলোচনার শুরুতেই যা বলে রাখা উচিত ছিল কিন্তু বলা হইনি তা হল বিমার প্রিমিয়ামের কথা।

এই আলোচনায় বিমার প্রিমিয়ামকে বাদ রাখার কারণই হল বিমাকে ঠিক সঞ্চয়ের রাস্তা হিসাবে ধরা হয় না। আর এই আলোচনার পুরোটাই কিন্তু কর বাঁচাতে সঞ্চয় নিয়েই।

তবে যে প্রকল্পই হোক, খরচ এবং ট্যাক্স দেওয়ার পর ঠিক কত টাকা লগ্নিকারীর হাতে পড়ে থাকে, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গটি ঘুরে ফিরে চলে আসে।

তুলনামূলক আলোচনায় দেখা যাচ্ছে সে ক্ষেত্রেও বাজার-নির্ভর বিকল্প কিছুটা এগিয়ে আছে। ইএলএসএস-জনিত রিটার্ন, আবার জানিয়ে রাখা ভাল, কিন্তু নিশ্চিত নয়।তিন বছর বাদে যদি টাকা তুলতে হয়, তখন ন্যাভ কী থাকবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারবে না। সেই সন্ধিক্ষণে যদি বাজার নিচে নামে, বা আরও পড়তে থাকে, তা হলে আটকে পড়াই স্বাভাবিক। কিছু সংখ্যক লগ্নিকারী নিশ্চয় তেমন হলে বেশ অসুবিধায় পড়বেন। তাই আবারও বলি ঝুঁকি অঙ্কে লগ্নি ছড়ান।এবং ঝুঁকি থাকলেও বাজার নির্ভর সঞ্চয় প্রকল্পকে কর বাঁচানোর রাস্তায় বাদ দিয়ে হাঁটবেন না।

Tax Saving Tax ELSS

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}