প্রতীকী চিত্র
সবাই বলেন চাকরির প্রথম দিন থেকেই টাকা জমান অবসরের জন্য। যুক্তিটা খুবই সহজ। অবসরের পরে আয়ের একমাত্র উপায় কর্মজীবনের সঞ্চয়কে খাটিয়ে রোজগার। আর কত টাকা জমালে একটু স্বস্তি পাওয়া যাবে? তার যে অঙ্কটা শোনা যায় তা কষতে হিসাবে রাখতে হয় মুদ্রাস্ফীতির কথাও। মাথায় রাখতে হয় অবসর উত্তর জীবনে সম্ভাব্য হাসপাতালের খরচ, স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম-সহ নানান ঝামেলা।
কিন্তু অবসরের পরে? অবসরের পরে কী আর এই অঙ্ক প্রয়োজন হবে না? জীবন থেকে মুদ্রাস্ফীতি হারিয়ে যাবে? নাকি স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বাড়বে না?
বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের দেশে অন্যতম বড় সমস্যা হতে চলেছে সহায়হীন বার্ধক্য! এখন যাঁরা ষাটের কোঠায় বা সদ্য ষাট পেরিয়েছেন এবং সরকারি চাকরি করেননি, সমস্যাটি তাঁদের নিয়েই বেশি। কারণ যাঁরা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁরা মাস গেলে আয়ের জন্য সঞ্চয়ের উপর নির্ভরশীল নন। আর তাঁদের অসুস্থতার সময়ও সরকারই ভরসা। কিন্তু সমস্যা হল তাঁদের নিয়েই যাঁদের অবসর ভাতার নিশ্চয়তা নেই!
মাথায় রাখুন অবসরের পরে আপনার আয় বলতে কিন্তু ওই সুদ। আর বিপদ আপদে ওই সঞ্চয়ে কিন্তু হাত দিতেই হবে। সঞ্চয় কমলেই আয় কমবে। এখানেই ভয়। রাষ্টপুঞ্জ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সবাই কিন্তু এটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে। সমীক্ষা বলছে দেশের একটা বড় অংশ অবসরের সময় হাতে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে অবসর যাপন করবে। ছয় শতাংশও যদি গড় সুদ ধরি তাহলে এঁরা বছরে ৩ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মতো গোটা বছরে সুদ সমেত আয় করবেন। সুদ কমলে তো আরও সমস্যা! তাই সমীক্ষা বলছে, খুব শীঘ্রই ভারতের প্রবীণ নাগরিকদের একটা বড় অংশ পরনির্ভর হয়ে বাঁচবেন।
এ ক্ষেত্রে বাঁচার একমাত্র উপায় হল, অবসরের পরে হাতে যে টাকাই আসুক তার থেকে একটা অংশ বাঁচিয়ে জমাতে থাকুন। আগামী ১০ বছরও যদি আরও কিছুটা পুঁজি বাড়িয়ে নিতে পারেন তা হলে তো রোজগারও কিছুটা বাড়বে। অন্তত মুদ্রাস্ফীতিকে ছাপিয়ে আগামী দিনে আজকের রোজগারটাও যদি ধরে রাখা যায় তাহলেও তো অনেক। তাই না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy