পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে ভেবেছেন? যদি ভেবে না থাকেন, তা হলে না ভেবেই খুলে ফেলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিস-সহ প্রায় সব ব্যাঙ্কেই এখন খোলা যায় এই অ্যাকাউন্ট। শুধু কর ছাড়ের সুবিধাই নয়, এই পথে সঞ্চয়ও কিন্তু লাভজনক। আসুন দেখে নেওয়া যাক এর কয়েকটি দিক:
- বেশির ভাগ কর ছাড়ের সঞ্চয় প্রকল্পেই জমা, সুদ বা টাকা তোলার কোনও একটাতে কর বসে। কতিপয় প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি যাতে এই তিনটিতেই কর ছাড় পাওয়া যায়, আয়কর আইনের ৮০-সি ধারা অনুযায়ী।
- পাওয়া যায় সুদের উপর সুদের সুবিধা।
- সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে যা কাগজ লাগে, এই অ্যাকাউন্টেও তাই লাগে।
- এই অ্যাকাউন্ট অবশ্য ১৫ বছরের আগে বন্ধ করা যায় না।
- নিকট আত্মীয়ের অসুস্থতা, সন্তানের উচ্চশিক্ষার মতো বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য ৫ বছর পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সুযোগ আছে।
- ১৫ বছরের মধ্যে অবশ্য মাঝে মাঝে আপনি টাকা তুলতেই পারেন।
- ১৫ বছর বাদে আপনি
- পুরো টাকা তুলে নিতে পারেন।
- অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ১৫ বছর পুরো হওয়ার আগেই অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা লিখিত ভাবে ব্যাঙ্কে জানাতে হবে। এই পর্যায়ে আপনি কোনও টাকা জমা না দিয়েও অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারেন। বছরে একবার জমা টাকার নির্দিষ্ট অংশ আপনি তুলতে পারবেন।
- ১৫ বছরের পরে একেক লপ্তে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাকাউন্টের সময়সীমা বাড়াতে পারেন।
- পুরো টাকা তুলে নিতে পারেন।
- অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ১৫ বছর পুরো হওয়ার আগেই অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা লিখিত ভাবে ব্যাঙ্কে জানাতে হবে। এই পর্যায়ে আপনি কোনও টাকা জমা না দিয়েও অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারেন। বছরে একবার জমা টাকার নির্দিষ্ট অংশ আপনি তুলতে পারবেন।
- ১৫ বছরের পরে একেক লপ্তে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাকাউন্টের সময়সীমা বাড়াতে পারেন।
মনে রাখবেন অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে বছরে অন্তত ৫০০ টাকা জমা দেবেনই। এই প্রকল্পে অবশ্য বছরে দেড় লক্ষ টাকার বেশি রাখলে তার উপর সুদ পাওয়া যায় না। এটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। পনের বছর বাদে টাকা তুলে নিতে চাইলে ফর্ম-সি ভরলেই হবে। অনেক ব্যাঙ্কই অবশ্য চায় সেই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা রাখতে। অ্যাকাউন্ট না থাকলে খুলতে বলা হয়। এটা কিন্তু আপনি করতে বাধ্য নন। আপনার অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ম্যাচিওরিটির পরে টাকা সরিয়ে নিতে পারেন।